ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা, থানার সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচি গত ১৯শে মে রাত ১১ টায় সাইনবোর্ড লিংকরোডে অটো সিএনজি ভাঙচুর বাকেরগঞ্জের এমপি হাফিজ মল্লিকের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দিশেহারা একটি কুচক্রী মহল।। টাঙ্গাইলে উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ও ৪র্থ ধাপের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় টাঙ্গাইলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বিড়ি শিল্প রক্ষায় পাবনা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের ৫ দফা দাবি ” ইউ, এস, জি, বি, সি, প্লাটিনাম সনদ অর্জন করলো এম,টি সোয়েটার্স”

চেয়ারে বসে ও ইশারায় কখন নামাজ পড়বেন

ফাইল ছবি

ধর্ম ডেস্কঃ   নামাজ সহিহ ও শুদ্ধ হওয়ার জন্য তার আরকান-আহকামগুলো যথাযথ পালন করা জরুরি। যেমন- নামাজের জন্য দাঁড়ানো, যথাযথভাবে রুক ও সেজদা আদায় করা।রোগী, মুসাফির কিংবা ভীত লোকদের জন্য নামাজ আদায়ে ছাড় দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাদের নামাজ আদায় করতে হবে না, বিষয়টি এমন নয়। বরং নামাজ আদায়ে তাদের যে সমস্যাগুলো হবে, তা বিকল্পভাবে আদায় করবে। যার ফলে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা নামাজের পরিপূর্ণ সাওয়াব থেকে মাহরূমও করবেন না।ক্ষমতা অনুসারে অক্ষম ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু যারা রুকু ও সেজদা যথাযথভাবে আদায় করতে পারে না, তারা কী করবে? তারা কি বিনা রুকু ও সেজদায় নামাজ আদায় করবে? চাই সে দাঁড়াতে কিংবা বসতে সক্ষম অথবা অক্ষম। এ ব্যাপারে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা।কিয়াম, রুকু ও সিজদা- নামাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; যা নামাজের রুকন বা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি এই রুকনগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও অবহেলা করে ছেড়ে দেয় বা চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করে, তার নামাজ আদায় হবে না। আর কেউ যদি কোন রুকন প্রকৃতপক্ষেই আদায় করতে সক্ষম না হয় বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে সে মাযুর (অক্ষম) সাব্যস্ত হয়, তাহলে সে এ রুকনটি ইশারার মাধ্যমে আদায় করে নিবে। এতে তার নামাজ পরিপূর্ণ বলে গণ্য হবে এবং সে পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে। -রদ্দুল মুহতার : ১/৪৪২।কোনো রোগী যদি দাঁড়াতে বা বসতে সক্ষম না হয় তবে শুয়ে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। প্রচলিত নিয়মে রুকু কিংবা সেজদা করতে না পারলে মাথা, মুখ কিংবা চোখের ইশারায় সেজদা আদায় করবে।

রুকু ও সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায়ে অক্ষম ব্যক্তির জন্য রয়েছে অনেক ছাড়। আর তাহলো-

> রোগী যদি দাঁড়াতে ও বসতে পারে কিন্তু রুকু ও সেজদা করতে না পারে তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায় ইশারা করে রুকু এবং বসা অবস্থায় ইশারা করে সেজদা করবে।> যে ব্যক্তি জমিনের উপর সেজদা করতে অক্ষম সে বসে বসে রুকু ও সেজদা করবে। তবে সেজদার সময় রুকুর চেয়ে বেশি নিচু হবে। উভয় হাত হাঁটুর উপরে রাখবে।> রোগীর জন্য অন্যান্যদের মতো কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক। যদি তার কেবলামুখী হতে সমস্যা হয় তবে তার অবস্থা হিসাবে যে দিকে সহজ হয়, সে দিকে হয়ে আদায় করবে।তবে রোগীর যদি জ্ঞান থাকে কিন্তু কোনো হাত, মাথা, দৃষ্টি কিংবা আঙ্গুল কোনোটি সচল তাকে, তবে যে অঙ্গ সচল থাকে তা দ্বারাই ইশারার মাধ্যমে হলেও নামাজ আদায় করতে হবে।বিশেষ করে শারীরিক বিশেষ সমস্যার কারণে যদি ধর্মীয় জ্ঞান থাকা বিজ্ঞ চিকিৎসক দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসে এবং উপুড় হয়ে রুকু না করতে কিংবা জমিনে মাথা রেখে সেজদা না করতে পরামর্শ দেয়, তবে তার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।সাধারণ অবস্থায় কাবার দিকে পা রেখে নামাজ আদায় বৈধ নয় কিন্তু অপারগ ব্যক্তির জন্য তা বৈধ। সুতরাং রোগ, মুসাফির কিংবা ভীতু লোকের জন্য নামাজে ছাড় নয়; বরং যে যে অবস্থায় থাকবে সে অবস্থার আলোকে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এমনটিই আল্লাহ তাআলার বিধান।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সর্বাবস্থায় নির্ধারিত অবস্থার আলোকে যথাযথ নিয়মে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা, থানার সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচি

চেয়ারে বসে ও ইশারায় কখন নামাজ পড়বেন

আপডেট টাইম ০১:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯

ধর্ম ডেস্কঃ   নামাজ সহিহ ও শুদ্ধ হওয়ার জন্য তার আরকান-আহকামগুলো যথাযথ পালন করা জরুরি। যেমন- নামাজের জন্য দাঁড়ানো, যথাযথভাবে রুক ও সেজদা আদায় করা।রোগী, মুসাফির কিংবা ভীত লোকদের জন্য নামাজ আদায়ে ছাড় দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাদের নামাজ আদায় করতে হবে না, বিষয়টি এমন নয়। বরং নামাজ আদায়ে তাদের যে সমস্যাগুলো হবে, তা বিকল্পভাবে আদায় করবে। যার ফলে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা নামাজের পরিপূর্ণ সাওয়াব থেকে মাহরূমও করবেন না।ক্ষমতা অনুসারে অক্ষম ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু যারা রুকু ও সেজদা যথাযথভাবে আদায় করতে পারে না, তারা কী করবে? তারা কি বিনা রুকু ও সেজদায় নামাজ আদায় করবে? চাই সে দাঁড়াতে কিংবা বসতে সক্ষম অথবা অক্ষম। এ ব্যাপারে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা।কিয়াম, রুকু ও সিজদা- নামাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; যা নামাজের রুকন বা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি এই রুকনগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও অবহেলা করে ছেড়ে দেয় বা চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করে, তার নামাজ আদায় হবে না। আর কেউ যদি কোন রুকন প্রকৃতপক্ষেই আদায় করতে সক্ষম না হয় বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে সে মাযুর (অক্ষম) সাব্যস্ত হয়, তাহলে সে এ রুকনটি ইশারার মাধ্যমে আদায় করে নিবে। এতে তার নামাজ পরিপূর্ণ বলে গণ্য হবে এবং সে পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে। -রদ্দুল মুহতার : ১/৪৪২।কোনো রোগী যদি দাঁড়াতে বা বসতে সক্ষম না হয় তবে শুয়ে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। প্রচলিত নিয়মে রুকু কিংবা সেজদা করতে না পারলে মাথা, মুখ কিংবা চোখের ইশারায় সেজদা আদায় করবে।

রুকু ও সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায়ে অক্ষম ব্যক্তির জন্য রয়েছে অনেক ছাড়। আর তাহলো-

> রোগী যদি দাঁড়াতে ও বসতে পারে কিন্তু রুকু ও সেজদা করতে না পারে তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায় ইশারা করে রুকু এবং বসা অবস্থায় ইশারা করে সেজদা করবে।> যে ব্যক্তি জমিনের উপর সেজদা করতে অক্ষম সে বসে বসে রুকু ও সেজদা করবে। তবে সেজদার সময় রুকুর চেয়ে বেশি নিচু হবে। উভয় হাত হাঁটুর উপরে রাখবে।> রোগীর জন্য অন্যান্যদের মতো কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক। যদি তার কেবলামুখী হতে সমস্যা হয় তবে তার অবস্থা হিসাবে যে দিকে সহজ হয়, সে দিকে হয়ে আদায় করবে।তবে রোগীর যদি জ্ঞান থাকে কিন্তু কোনো হাত, মাথা, দৃষ্টি কিংবা আঙ্গুল কোনোটি সচল তাকে, তবে যে অঙ্গ সচল থাকে তা দ্বারাই ইশারার মাধ্যমে হলেও নামাজ আদায় করতে হবে।বিশেষ করে শারীরিক বিশেষ সমস্যার কারণে যদি ধর্মীয় জ্ঞান থাকা বিজ্ঞ চিকিৎসক দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসে এবং উপুড় হয়ে রুকু না করতে কিংবা জমিনে মাথা রেখে সেজদা না করতে পরামর্শ দেয়, তবে তার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।সাধারণ অবস্থায় কাবার দিকে পা রেখে নামাজ আদায় বৈধ নয় কিন্তু অপারগ ব্যক্তির জন্য তা বৈধ। সুতরাং রোগ, মুসাফির কিংবা ভীতু লোকের জন্য নামাজে ছাড় নয়; বরং যে যে অবস্থায় থাকবে সে অবস্থার আলোকে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এমনটিই আল্লাহ তাআলার বিধান।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সর্বাবস্থায় নির্ধারিত অবস্থার আলোকে যথাযথ নিয়মে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।