ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গৃহবধুর নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে গেছে –২৪ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মাধ্যমে ‘বরগুনা জেলার সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ’ মামলার পলাতক প্রধান আসামি খলিল ও বশির’কে রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-০৮ এর যৌথ আভিযানিক দল। –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ @ গুটি সোহাগসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। ডেমরার পরে আবারো সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীর কাছে হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক কর্মীরা ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ কর্তৃক ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন। সিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের রেকার অপারেটর সোহেলের আত্মকাহিনী দৈনিক মাতৃভূমির খবর ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ‘””শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ”” উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া

দুৃমকিতে অটোরিকশা বিক্রি করে চিকিৎসা, দেনা করে দুধ কিনছেন বাবা।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম, অটোরিকশা বিক্রি করে চিকিৎসা, দেনা করে দুধ কিনছেন বাবা।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সুমন হাওলাদার। অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এক মাস আগে পটুয়াখালী পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারে তার স্ত্রী তিন সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর থেকেই তিন নবজাতকই অসুস্থ থাকায় কয়েক দফা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও আজ শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর থেকে আবারও অসুস্থ। তিন সন্তানের জন্য চিকিৎসা চালাতে গিয়ে নিজের অটোরিকশাও বিক্রি করে দিয়েছেন সুমন। এখন সন্তানদের জন্য দুধও কিনতে পারছেন না। সুমন হাওলাদার বলেন, ‘অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতাম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা হই। কিন্তু আমার আর্থিক সংকটের কারণে তাদের চিকিৎসা চালাতে পারছি না। অটোরিকশাটাও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন প্রতিদিন ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়, যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ‘তবুও ধারদেনা করে কোনোরকম চালিয়ে নিচ্ছি। সরকার কিংবা সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তিরা আমার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো এ তিন সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন, শিশুদের জন্মগত অপুষ্টি, কম ওজন এবং এখন পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। তবে তিনটি বাচ্চা হওয়ায় মায়ের দুধে হচ্ছে না। বাইরের বাড়তি খাবার কিনে খাওয়াতে হচ্ছে, আর তাদের আর্থিক সামর্থ্যও নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শিলা রানি দাস দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে সে সময় আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারবো। পাশাপাশি তাকে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গৃহবধুর নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে গেছে

দুৃমকিতে অটোরিকশা বিক্রি করে চিকিৎসা, দেনা করে দুধ কিনছেন বাবা।

আপডেট টাইম ০৮:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম, অটোরিকশা বিক্রি করে চিকিৎসা, দেনা করে দুধ কিনছেন বাবা।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সুমন হাওলাদার। অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এক মাস আগে পটুয়াখালী পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারে তার স্ত্রী তিন সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর থেকেই তিন নবজাতকই অসুস্থ থাকায় কয়েক দফা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও আজ শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর থেকে আবারও অসুস্থ। তিন সন্তানের জন্য চিকিৎসা চালাতে গিয়ে নিজের অটোরিকশাও বিক্রি করে দিয়েছেন সুমন। এখন সন্তানদের জন্য দুধও কিনতে পারছেন না। সুমন হাওলাদার বলেন, ‘অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতাম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা হই। কিন্তু আমার আর্থিক সংকটের কারণে তাদের চিকিৎসা চালাতে পারছি না। অটোরিকশাটাও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন প্রতিদিন ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়, যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ‘তবুও ধারদেনা করে কোনোরকম চালিয়ে নিচ্ছি। সরকার কিংবা সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তিরা আমার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো এ তিন সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন, শিশুদের জন্মগত অপুষ্টি, কম ওজন এবং এখন পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। তবে তিনটি বাচ্চা হওয়ায় মায়ের দুধে হচ্ছে না। বাইরের বাড়তি খাবার কিনে খাওয়াতে হচ্ছে, আর তাদের আর্থিক সামর্থ্যও নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শিলা রানি দাস দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে সে সময় আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারবো। পাশাপাশি তাকে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’