ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

পবিত্র রমজান মাসে কিভাবে খুব সহজে কুরআন খতম করবেন।

হাঃমাওঃমুফতী মুহাম্মাদঃআল আমীন সাইফ
পবিত্র রমজান মাসে মানবজাতির জন্য
হেদায়েতের আলোকবর্তিকা হিসেবে পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাস শুধু সিয়াম পালন ও তারাবির নামাজ আদায়ের মাস নয়। বরং রমজান মাসে আমরা ইচ্ছে করলে প্রচুর নেক আমল করতে পারি।

এসব নেক আমলের অন্যতম একটি আমল হলো পবিত্র কোরআনে কারিম খতম করা কিংবা তেলাওয়াত করা। তাই যারা চলতি রমজানে কোরআন খতম কিংবা কোরআন তেলাওয়াত করতে চান, তারা প্রতিদিন কিভাবে এবং কতটুকু করে পড়লে এ মাসে কোরআন পাঠ শেষ করতে পারবেন, সে বিষয়ে একটি সুন্দর কৌশল ও পরামর্শ হলো—

প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করুন। প্রত্যেক ৫ ওয়াক্ত নামাজের শেষে ৪ পৃষ্ঠা করে তেলাওয়াত করুন, ফলে দৈনিক আপনার তেলাওয়াত হবে ২০ পৃষ্ঠা অর্থাৎ এক পারা। এতে খুব বেশি সময় খরচ হবে না। এভাবে দিনে এক পারা করে তেলাওয়াত করলে পুরো রমজানে ৩০ পারা কোরআন শরিফ তেলাওয়াত খুব সহজেই হয়ে যাবে।
এছাড়া প্রতি নামাজের সময় ৮ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ২ খতম হবে। ১৬ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ৪ খতম এবং ২০ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ৫ খতম হবে।

কোরআন শরিফ না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকি হয়।
(তিরমিজি, হা. ২৯১০)
পড়তে না জানলে কোরআন শরিফ খুলে আল্লাহর পবিত্র কালামের পাতা ও লেখার দিকে মহব্বতের সাথে তাকিয়ে থাকলেও সওয়াব পাওয়া যায়। বুঝে পড়লে আরও বেশি নেকি হয়। এছাড়াও রমজান উপলক্ষে নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তা’আলা ৭০০ থেকে অগণিত গুণ কিংবা বেহিসাব বৃদ্ধি করে থাকেন।

ইমাম আবু হানিফা নোমান ইবনে সাবিত (রহ.) রমজানের দিনে ১ রাতে ১ খতম হিসাবে একমাসে মোট ৬০ খতম করতেন বলে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে তাইমিয়া (রহ.) জেলখানায় ৮০ তম খতমের সময় কোরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় সেখানেই শাহাদত বরণ করেন।

আসুন, আমরা হাফেজ আলেমগণের মতো পাঁচ-দশ বা দুই-চার খতম কিংবা কমপক্ষে ১টি খতম হলেও করার নিয়ত করি। আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের তাওফিক দান করুন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

পবিত্র রমজান মাসে কিভাবে খুব সহজে কুরআন খতম করবেন।

আপডেট টাইম ০৯:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

হাঃমাওঃমুফতী মুহাম্মাদঃআল আমীন সাইফ
পবিত্র রমজান মাসে মানবজাতির জন্য
হেদায়েতের আলোকবর্তিকা হিসেবে পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাস শুধু সিয়াম পালন ও তারাবির নামাজ আদায়ের মাস নয়। বরং রমজান মাসে আমরা ইচ্ছে করলে প্রচুর নেক আমল করতে পারি।

এসব নেক আমলের অন্যতম একটি আমল হলো পবিত্র কোরআনে কারিম খতম করা কিংবা তেলাওয়াত করা। তাই যারা চলতি রমজানে কোরআন খতম কিংবা কোরআন তেলাওয়াত করতে চান, তারা প্রতিদিন কিভাবে এবং কতটুকু করে পড়লে এ মাসে কোরআন পাঠ শেষ করতে পারবেন, সে বিষয়ে একটি সুন্দর কৌশল ও পরামর্শ হলো—

প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করুন। প্রত্যেক ৫ ওয়াক্ত নামাজের শেষে ৪ পৃষ্ঠা করে তেলাওয়াত করুন, ফলে দৈনিক আপনার তেলাওয়াত হবে ২০ পৃষ্ঠা অর্থাৎ এক পারা। এতে খুব বেশি সময় খরচ হবে না। এভাবে দিনে এক পারা করে তেলাওয়াত করলে পুরো রমজানে ৩০ পারা কোরআন শরিফ তেলাওয়াত খুব সহজেই হয়ে যাবে।
এছাড়া প্রতি নামাজের সময় ৮ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ২ খতম হবে। ১৬ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ৪ খতম এবং ২০ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ৫ খতম হবে।

কোরআন শরিফ না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকি হয়।
(তিরমিজি, হা. ২৯১০)
পড়তে না জানলে কোরআন শরিফ খুলে আল্লাহর পবিত্র কালামের পাতা ও লেখার দিকে মহব্বতের সাথে তাকিয়ে থাকলেও সওয়াব পাওয়া যায়। বুঝে পড়লে আরও বেশি নেকি হয়। এছাড়াও রমজান উপলক্ষে নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তা’আলা ৭০০ থেকে অগণিত গুণ কিংবা বেহিসাব বৃদ্ধি করে থাকেন।

ইমাম আবু হানিফা নোমান ইবনে সাবিত (রহ.) রমজানের দিনে ১ রাতে ১ খতম হিসাবে একমাসে মোট ৬০ খতম করতেন বলে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে তাইমিয়া (রহ.) জেলখানায় ৮০ তম খতমের সময় কোরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় সেখানেই শাহাদত বরণ করেন।

আসুন, আমরা হাফেজ আলেমগণের মতো পাঁচ-দশ বা দুই-চার খতম কিংবা কমপক্ষে ১টি খতম হলেও করার নিয়ত করি। আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের তাওফিক দান করুন।