ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

লেবুর খোসার যত উপকারিতা

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   লেবু খাওয়ার পর অনেকে খোসাকে অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দেন। এই লেবুর খোসা যে কতটা উপকারী এটা অনেকের অজানা। লেবু খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়,তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসা খেলে।
বেশ কিছু গবেষণার পর এ কথা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, লেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে আরো রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম,যা আমাদের শরীরের জন্য বহু উপকারী ।

চলুন জেনে নেই লেবুর খোসার উপকারিতা:

রোগ প্রতিরোধের উন্নতি ঘটে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি,শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা  শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

কিডনি স্টোনের মতো রোগ দূরে থাকে
গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে সাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। তাই এ ধরনের রোগের খপ্পরে পরতে না চাইলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেতে ভুলবেন না যেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন কিছু পরির্বতন আসে যে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আলসার এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও কমে যায়।

ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে পালায়
লেবুর খোসায় উপস্থিত সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখানেই শেষ নয়,লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটে
লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে এমন কিছু রদবদল হতে শুরু করে যে সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় সব ধরনের রোগই দূরে পালায়।

দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
পেকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
লেবুর খোসায় উপস্থিত পলিফেনল নামে একটি উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা প্রতিদিনের ডায়েটে লেবুর খোসাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

লিভারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে লিভারের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।

হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লেবুর খোসার অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা যেমন কমে,তেমনি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। এই কারণেই তো বয়স ৩০-এর কোটা পরলেই প্রতিদিন লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

হজম ক্ষমতার উন্নতি
ফাইবার সমৃদ্ধ যে কোন খাবার হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে লেবুর খেসায়। তাই তো বদ-হজম থেকে গ্যাস-অম্বল, যে কোনো ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন উপকারে আসে।

স্ট্রেসের মাত্রা কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের অন্দরে প্রবেশ করলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে সার্বিকভাবে মন,মস্তিষ্ক এবং শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই  যখনই দেখবেন শরীর আর চলছে না,তখন অল্প করে লেবুর খোসা নিয়ে চটজলদি খেয়ে ফেলবেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

লেবুর খোসার যত উপকারিতা

আপডেট টাইম ০১:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   লেবু খাওয়ার পর অনেকে খোসাকে অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দেন। এই লেবুর খোসা যে কতটা উপকারী এটা অনেকের অজানা। লেবু খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়,তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসা খেলে।
বেশ কিছু গবেষণার পর এ কথা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, লেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে আরো রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম,যা আমাদের শরীরের জন্য বহু উপকারী ।

চলুন জেনে নেই লেবুর খোসার উপকারিতা:

রোগ প্রতিরোধের উন্নতি ঘটে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি,শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা  শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

কিডনি স্টোনের মতো রোগ দূরে থাকে
গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে সাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। তাই এ ধরনের রোগের খপ্পরে পরতে না চাইলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেতে ভুলবেন না যেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন কিছু পরির্বতন আসে যে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আলসার এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও কমে যায়।

ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে পালায়
লেবুর খোসায় উপস্থিত সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখানেই শেষ নয়,লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটে
লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে এমন কিছু রদবদল হতে শুরু করে যে সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় সব ধরনের রোগই দূরে পালায়।

দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
পেকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
লেবুর খোসায় উপস্থিত পলিফেনল নামে একটি উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা প্রতিদিনের ডায়েটে লেবুর খোসাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

লিভারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে লিভারের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।

হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লেবুর খোসার অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা যেমন কমে,তেমনি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। এই কারণেই তো বয়স ৩০-এর কোটা পরলেই প্রতিদিন লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

হজম ক্ষমতার উন্নতি
ফাইবার সমৃদ্ধ যে কোন খাবার হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে লেবুর খেসায়। তাই তো বদ-হজম থেকে গ্যাস-অম্বল, যে কোনো ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন উপকারে আসে।

স্ট্রেসের মাত্রা কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের অন্দরে প্রবেশ করলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে সার্বিকভাবে মন,মস্তিষ্ক এবং শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই  যখনই দেখবেন শরীর আর চলছে না,তখন অল্প করে লেবুর খোসা নিয়ে চটজলদি খেয়ে ফেলবেন। দেখবেন উপকার মিলবে।