ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাউথ এশিয়ান বিসনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পেলো “M360 ICT ট্রাবিল সফটওয়্যার “ টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ঘূর্ণিঝড় মিধিলীর ১৫ দিন পরেও সড়কে গাছ, যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন। বাকেরগঞ্জ -৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চুন্নুর মনোনয়ন পত্র স্থগিত, দুইজনের বাতিল ময়মনসিংহে ডিবি পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর জানাজায় লাখো মুসল্লীর ঢল “জীবন্ত দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর” চট্টগ্রামে ভুয়া ভোটার দেখানোর দায়ে ৫ আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল সোনারগাঁয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এ এইচ এম মাসুদ দুলাল বিএনপি এখন সন্ত্রাসী জঙ্গী বাহিনীর মত হয়ে গেছে : মাহবুবউল আলম হানিফ

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা সারে এলার্জি, হাঁপানি, দাঁত ব্যথা হরিতকী কাচাঁ ও শুকনো অবস্থায় বিচি পানিতে ভিজিয়ে মহৌষধ গুঁড়া-রস

 

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি নাম হরিতকী। নানা গুণে ভরপুর হরিতকী ফল। এ ফল কাঁচা ও শুকনো দুইভাবে খাওয়া যায়। শুকনো অবস্থায় তিতা ও টক স্বাদের হয়ে থাকে। কিন্তু তিতা হলেও নিয়মিত কাঁচা বা শুকনো অবস্থায় এ ফলের বিচি পানিতে ভিজিয়ে পানি পান করলে নানা রোগে থেকে মুক্তি মিলে।

হরিতকীতে অনেক রোগের মহৌষধ বলা হয়। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ একটি ফল। হরিতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃদপি- ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। এটি পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক।

হরিতকী কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হরিতকীতে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরিতকী । হরিতকী পানিতে ভিজিয়ে পানি পান করলে অল্প সময়ের মধ্যে অ্যালার্জি রোগ থেকে মুক্তি মিলে। হরিতকী গুঁড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকবে। এ গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। দাঁতে ব্যথা দূর হতে হরিতকী গুঁড়া ভালো কাজে লাগে।

রাতে শোয়ার আগে অল্প বিট লবণের সঙ্গে ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। এটি জন্ডিস ও ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে। ফলের রস জ্বর, কাশি, হাঁপানি, ঢেকুর উঠা, বর্ধিত যকৃত ও প্লীহা, বাতরোগ ও মূত্রনালীর অসুখেও বিশেষ উপকারী। ফুসফুস ও শ্বাসনালী রোগে আক্রান্ত হলে হরিতকীর গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত খালি পেটে পান করলে অল্পতেই সমস্যার সমাধান হয়। ঘন ঘন পানির তৃষ্ণা কিংবা বমি বমি ভাব কাটাতেও হরিতকী ব্যবহৃত হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাউথ এশিয়ান বিসনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পেলো “M360 ICT ট্রাবিল সফটওয়্যার “

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা সারে এলার্জি, হাঁপানি, দাঁত ব্যথা হরিতকী কাচাঁ ও শুকনো অবস্থায় বিচি পানিতে ভিজিয়ে মহৌষধ গুঁড়া-রস

আপডেট টাইম ০৭:২০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

 

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি নাম হরিতকী। নানা গুণে ভরপুর হরিতকী ফল। এ ফল কাঁচা ও শুকনো দুইভাবে খাওয়া যায়। শুকনো অবস্থায় তিতা ও টক স্বাদের হয়ে থাকে। কিন্তু তিতা হলেও নিয়মিত কাঁচা বা শুকনো অবস্থায় এ ফলের বিচি পানিতে ভিজিয়ে পানি পান করলে নানা রোগে থেকে মুক্তি মিলে।

হরিতকীতে অনেক রোগের মহৌষধ বলা হয়। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ একটি ফল। হরিতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃদপি- ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। এটি পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক।

হরিতকী কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হরিতকীতে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরিতকী । হরিতকী পানিতে ভিজিয়ে পানি পান করলে অল্প সময়ের মধ্যে অ্যালার্জি রোগ থেকে মুক্তি মিলে। হরিতকী গুঁড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকবে। এ গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। দাঁতে ব্যথা দূর হতে হরিতকী গুঁড়া ভালো কাজে লাগে।

রাতে শোয়ার আগে অল্প বিট লবণের সঙ্গে ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। এটি জন্ডিস ও ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে। ফলের রস জ্বর, কাশি, হাঁপানি, ঢেকুর উঠা, বর্ধিত যকৃত ও প্লীহা, বাতরোগ ও মূত্রনালীর অসুখেও বিশেষ উপকারী। ফুসফুস ও শ্বাসনালী রোগে আক্রান্ত হলে হরিতকীর গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত খালি পেটে পান করলে অল্পতেই সমস্যার সমাধান হয়। ঘন ঘন পানির তৃষ্ণা কিংবা বমি বমি ভাব কাটাতেও হরিতকী ব্যবহৃত হয়।