মতলব উত্তরে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্বার
আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উত্তর সরদারকান্দি গ্রামের ফকির বাড়ীতে ইয়াছমিন আক্তার শান্তা (২১) নামে এক গৃহবধু রশি দিয়ে স্লিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে মেয়ের শশুর আয়নাল হক ফকির জানিয়েছেন ।
বুধবার ১৪ জুলাই আনুমানিক ভোর ৬টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পিতা মজিব সরকার বলেন,আমার মেয়েকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে মেরে ফ্যানের সাথে জুলিয়ে রাখা হয়েছে ৷
মেয়ের ভাই ফয়সাল বলেন,চার বছর পুর্বে আমার বোন ইয়াছমিন আক্তার শান্তাকে উত্তর সরদারকান্দি গ্রামের আয়নাল হক ফকিরের ছেলে আমিনের সাথে বিয়ে দেই বিয়ের পর থেকে তার জামাই আমিন,দেবর মাইনুদ্দিন,দেবর নাছির উদ্দিন,ননদ শ্যামলি আক্তারসহ তাদের পরিবারের সকলে মিলে প্রায় সমায় আমার বোনকে নানা ভাবে নির্যাতন করতেন ৷ বছর খানিক আগে আমার বোন অন্তসত্ত্বা হলে তার জামাই,ননদ ও দেবর মিলে আমার বোনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে তার পেটের বাচ্ছা নষ্ট করে ফেলেন ৷ এখন তারা আমার বোনকে মেৱে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে আমার বোন আত্ম হত্যা করে নাই ৷ তাকে হত্ম্যাকরা হয়েছে ৷
মেয়ের শশুর আয়নাল ফকির বলেন,আমি ফজরের নামাজ পড়ে ঘরের দরজা ভিতর দিয়ে লাগানো দেখি । কিন্তু আমার ছেলের বউকে দেখতে পারছি না। অনেক্ষন ধাক্কাধাক্কি করার পরও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকছি। পরে দেখি রশি দিয়ে ফ্যানের সাথে আমিনের বউ আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে আমিন সিরাজগঞ্জে একটি জাহাজে চাকুরি করে। তার সাথে বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল, কোন জগড়া বিবাদ ছিল না। কেন যে সে আত্মাহত্যা করল। কিছু বুজতে পারছি না।
মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল ও ওসি (তদন্ত) মো.মাসুদ বলেন,থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পোস্ট মর্টেমে পাঠানো হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলে সত্যিটা জানা যাবে।