ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যুবলীগ নেতার ভবন নির্মাণ, এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশংকা

ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); চাঁদপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল করে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পাকা ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী এলাকার জমাদার বাড়ীর মৃত রতন জমাদারের পুত্রদ্বয় মনির হোসেন জমাদার ও মজিবুর রহমান জমাদারের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। চাঁদপুর সদর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক কফিলউদ্দিন আদালতে দাখিল করা তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আলোচ্য অভিযোগটি সার্বিক তদন্ত করিয়া সাক্ষ্য প্রমানে ২য় পক্ষ বিবাদী মনির জমাদার গংদের দ্বারা ভুক্তভোগী বাদী পক্ষের জান ও মালামালের ক্ষতির সম্ভাবনা রহিয়াছে। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধ মূলক ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করিলে বিবাদীদ্বয়ের দ্বারা যেকোনো সময়ে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা সহ খুন জখম হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাপদী এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেব জমাদারের পুত্র হানিফ জমাদার চাঁদপুর সদর থানায় গত ২২ মে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে একই বাড়ীর মৃত রতন জমাদারের ৩ পুত্র মনির হোসেন জমাদার, মজিবুর রহমান জমাদার ও মো. মমিন জমাদার এছাড়া পার্শ্ববর্তী মৃত বিল্লাল হোসেন জমাদারের পুত্রদ্বয় ফারুক হোসেন জমাদার ও কাউসার হোসেন জমাদারের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভূমি দখল ও হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ তদন্ত করিয়া চাঁদপুর সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক কফিল উদ্দিন গত ৪ জুন আদালতে প্রতিবেদনে দাখিল করেন। এতে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর থানার সাবেক-১০৯ নং হালে-১০৫ নং সাপদী মৌজার সিএস-৪২২ নং খতিয়ান ও এসএ-৩৪২ নং খতিয়ান, বিএস-২৫৯ নং খতিয়ান, সিএস-৬৬৫ দাগ ও হালে-১২১৪ দাগে উনিশ শতাংশ জমির ভিতরে দেড় শতাংশ জমি বাদী ও একই বাড়ীর মো. ইসমাইল জমাদার, রাহিমা বেগম এবং ইউসুফ আলী জমাদারদের। বাদীর মালীকীয় ও দখলীয় জমি বিবাদীগন জোরপূর্বক ভোগদখলের পায়তারা করার চেষ্টা করিলে বাদী হানিফ জমাদার আদালত মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু বিবাদীগন আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করিয়া পাকা ভবন নির্মাণ করে চলছেন।
এদিকে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে জোর জবরদখল ভাবে জমি দখল করিতে পারে উল্লেখ করিয়া একই বাড়ীর মৃত লুৎফর রহমানের ফ্রান্স প্রবাসী পুত্র খলিল জমাদারের পক্ষে আমমোক্তার ফাতেমা বেগম বাদী হইয়া চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় মামলা করে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চাঁদপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদেশ দেন। পরিপেক্ষিতে থানার সহকারী উপ পরিদর্শক কফিলউদ্দিন গত ২১ এপ্রিল উল্লিখিত বিরোধীয় ভূমিতে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকিয়া শাস্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করেন। নালিশী সম্পত্তিতে কোন ধরনের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিলে দায়ী পক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঐ নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মনির জমাদার গংরা নিজেদের ঘর সামনের দিকে বর্ধিত করে পাকা ভবন উঠাচ্ছেন এবং কনস্ট্রাকশনের জন্য পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে। অভিযোগের ব্যাপারে স্হানীয় বালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনির জমাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই প্রতিপক্ষের অভিযোগের পেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের অন্যতম প্রতিপক্ষ ইসমাইল আমাদের ঘরের পাশ ঘেঁষে দোতলা স্হাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা আদালতে সিদ্ধান্ত মানছেন না কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলেন এবং বিষয়টি নিয়ে তাদের বাড়ীর মুরুব্বি ও ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী হারেছ জমাদার এবং এডভোকেট মামুনের সাথে কথা বলার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
যুবলীগ নেতা মনির জমাদারের পরামর্শমত ঐ বাড়ির মুরুব্বি ও ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী হারেছ জমাদারের নিকট তাদের বাড়ীর বিরোধ নিয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ীর জমি অনেক আগেই পরিমাপ করে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে সকল সরিকের মালিকগন ঘর তুলে ভোগ দখল করিতেছেন। কিন্তু খলিল জমাদার গং পার্শ্ববর্তী মনির জমাদারদের ১০০ স্কয়ার ফিট জমি বেশি দখল করে আছেন। ইসমাইল গং ও খলিল গংরা বর্তমানে আপনাদের বাড়ির জমি পরিমাপ করার দাবী জানাচ্ছে কিন্তু আপনার তা মানছেন না এ প্রশ্নের উত্তরে হারেছ জমাদার বলেন, বাড়ীর জমি যদি পরিমাপ করা না হয়ে থাকে তাহলে ইসমাইল গংরা কিভাবে এত বড় দোতলা বিল্ডিং করেছে।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য মো. নেছার আহমেদ তালুকদার কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ৫নং ওয়ার্ডের তিন বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য, আমার জানামতে ঐ বাড়িতে মনির জমাদার গংদের জমি খুবই কম, মনির জমাদারের চাচা হারেছ জমাদার অনেক বড় ব্যবসায়ী এবং মনির জমাদার ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়াতে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একতরফা ভাবে বিরোধীয় জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করে চলেছেন যা খুবই নিন্দনীয়।
স্হানীয় বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার মো. রফিকুল্যা পাটওয়ারীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসমাইল জমাদার ও খলিল জমাদার গংরা আমার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানালে আমি তাদের প্রতিপক্ষকে নিয়ে স্হানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু মনির জমাদার গংরা এতে সহযোগিতা না করাতে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। কারণ জমাদার বাড়ীর লোকজন অনেক প্রভাবশালী। এ বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় তাদের মত প্রভাবশালী লোককে নোটিশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
হানিফ জমাদারের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক কফিলউদ্দিনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিরোধীয় জমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থাসহ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলি। এবং এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে সকল পক্ষের বক্তব্য নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি। চাঁদপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুর রশিদের নিকট এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি এখন আদালতে সুরাহা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যুবলীগ নেতার ভবন নির্মাণ, এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশংকা

আপডেট টাইম ০২:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২

ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); চাঁদপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল করে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পাকা ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী এলাকার জমাদার বাড়ীর মৃত রতন জমাদারের পুত্রদ্বয় মনির হোসেন জমাদার ও মজিবুর রহমান জমাদারের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। চাঁদপুর সদর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক কফিলউদ্দিন আদালতে দাখিল করা তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আলোচ্য অভিযোগটি সার্বিক তদন্ত করিয়া সাক্ষ্য প্রমানে ২য় পক্ষ বিবাদী মনির জমাদার গংদের দ্বারা ভুক্তভোগী বাদী পক্ষের জান ও মালামালের ক্ষতির সম্ভাবনা রহিয়াছে। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধ মূলক ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করিলে বিবাদীদ্বয়ের দ্বারা যেকোনো সময়ে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা সহ খুন জখম হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাপদী এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেব জমাদারের পুত্র হানিফ জমাদার চাঁদপুর সদর থানায় গত ২২ মে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে একই বাড়ীর মৃত রতন জমাদারের ৩ পুত্র মনির হোসেন জমাদার, মজিবুর রহমান জমাদার ও মো. মমিন জমাদার এছাড়া পার্শ্ববর্তী মৃত বিল্লাল হোসেন জমাদারের পুত্রদ্বয় ফারুক হোসেন জমাদার ও কাউসার হোসেন জমাদারের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভূমি দখল ও হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ তদন্ত করিয়া চাঁদপুর সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক কফিল উদ্দিন গত ৪ জুন আদালতে প্রতিবেদনে দাখিল করেন। এতে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর থানার সাবেক-১০৯ নং হালে-১০৫ নং সাপদী মৌজার সিএস-৪২২ নং খতিয়ান ও এসএ-৩৪২ নং খতিয়ান, বিএস-২৫৯ নং খতিয়ান, সিএস-৬৬৫ দাগ ও হালে-১২১৪ দাগে উনিশ শতাংশ জমির ভিতরে দেড় শতাংশ জমি বাদী ও একই বাড়ীর মো. ইসমাইল জমাদার, রাহিমা বেগম এবং ইউসুফ আলী জমাদারদের। বাদীর মালীকীয় ও দখলীয় জমি বিবাদীগন জোরপূর্বক ভোগদখলের পায়তারা করার চেষ্টা করিলে বাদী হানিফ জমাদার আদালত মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু বিবাদীগন আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করিয়া পাকা ভবন নির্মাণ করে চলছেন।
এদিকে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে জোর জবরদখল ভাবে জমি দখল করিতে পারে উল্লেখ করিয়া একই বাড়ীর মৃত লুৎফর রহমানের ফ্রান্স প্রবাসী পুত্র খলিল জমাদারের পক্ষে আমমোক্তার ফাতেমা বেগম বাদী হইয়া চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় মামলা করে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চাঁদপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদেশ দেন। পরিপেক্ষিতে থানার সহকারী উপ পরিদর্শক কফিলউদ্দিন গত ২১ এপ্রিল উল্লিখিত বিরোধীয় ভূমিতে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকিয়া শাস্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করেন। নালিশী সম্পত্তিতে কোন ধরনের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিলে দায়ী পক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঐ নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মনির জমাদার গংরা নিজেদের ঘর সামনের দিকে বর্ধিত করে পাকা ভবন উঠাচ্ছেন এবং কনস্ট্রাকশনের জন্য পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে। অভিযোগের ব্যাপারে স্হানীয় বালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনির জমাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই প্রতিপক্ষের অভিযোগের পেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের অন্যতম প্রতিপক্ষ ইসমাইল আমাদের ঘরের পাশ ঘেঁষে দোতলা স্হাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা আদালতে সিদ্ধান্ত মানছেন না কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলেন এবং বিষয়টি নিয়ে তাদের বাড়ীর মুরুব্বি ও ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী হারেছ জমাদার এবং এডভোকেট মামুনের সাথে কথা বলার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
যুবলীগ নেতা মনির জমাদারের পরামর্শমত ঐ বাড়ির মুরুব্বি ও ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী হারেছ জমাদারের নিকট তাদের বাড়ীর বিরোধ নিয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ীর জমি অনেক আগেই পরিমাপ করে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে সকল সরিকের মালিকগন ঘর তুলে ভোগ দখল করিতেছেন। কিন্তু খলিল জমাদার গং পার্শ্ববর্তী মনির জমাদারদের ১০০ স্কয়ার ফিট জমি বেশি দখল করে আছেন। ইসমাইল গং ও খলিল গংরা বর্তমানে আপনাদের বাড়ির জমি পরিমাপ করার দাবী জানাচ্ছে কিন্তু আপনার তা মানছেন না এ প্রশ্নের উত্তরে হারেছ জমাদার বলেন, বাড়ীর জমি যদি পরিমাপ করা না হয়ে থাকে তাহলে ইসমাইল গংরা কিভাবে এত বড় দোতলা বিল্ডিং করেছে।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য মো. নেছার আহমেদ তালুকদার কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ৫নং ওয়ার্ডের তিন বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য, আমার জানামতে ঐ বাড়িতে মনির জমাদার গংদের জমি খুবই কম, মনির জমাদারের চাচা হারেছ জমাদার অনেক বড় ব্যবসায়ী এবং মনির জমাদার ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়াতে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একতরফা ভাবে বিরোধীয় জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করে চলেছেন যা খুবই নিন্দনীয়।
স্হানীয় বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার মো. রফিকুল্যা পাটওয়ারীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসমাইল জমাদার ও খলিল জমাদার গংরা আমার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানালে আমি তাদের প্রতিপক্ষকে নিয়ে স্হানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু মনির জমাদার গংরা এতে সহযোগিতা না করাতে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। কারণ জমাদার বাড়ীর লোকজন অনেক প্রভাবশালী। এ বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় তাদের মত প্রভাবশালী লোককে নোটিশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
হানিফ জমাদারের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক কফিলউদ্দিনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিরোধীয় জমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থাসহ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলি। এবং এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে সকল পক্ষের বক্তব্য নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি। চাঁদপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুর রশিদের নিকট এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি এখন আদালতে সুরাহা হবে।