ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

সময় বাড়লো পায়রা সেতু নির্মান কাজের – জুলাইয়ে যান চলাচল শুরু হতে পারে

মোঃ জাহিদুল ইসলাম দুমকি পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ দক্ষিন বাংলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীতে পায়রা নদীর উপর নির্মিত পায়রা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ ৫ ম দফায় বাড়ানো হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের ৩০জুন পর্যন্ত সময় পাবে। এর আগে আর‌ও ৪ -দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়, যার সর্বশেষ সময় ছিলো চলতি মাসের ৩০জুন পর্যন্ত।
তবে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেতু চলাচলের উপযোগী করতে তৎপর কর্তৃপক্ষ । পায়রা সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪৭০ মিটার, প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার।
২০০ মিটার করে দেশের দীর্ঘতম দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে এ সেতুটিতে । নদীর তলদেশে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল। যা দেশের সর্ববৃহৎ।
এক হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ ভাগ এবং মুল সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে সৌন্দর্য বর্ধন সহ আনুষাঙ্গিক কাজ।
৪ জুন শুক্রবার সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এটি বরিশাল পটুয়াখালীকে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আগামী অক্টোবর মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আমরা জুলাই মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য টার্গেট দিয়ে দিয়েছি।
আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলে আশা করেন তিনি। দুই সিফটে কাজ করে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পায়রা সেতুটি হচ্ছে আধুনিক মানের ফোরলেন বিশিষ্ট সেতু। সেতুটির মূল কাজ শেষ এখন এর ফিনিশিং চলছে এবং টোল প্লাজার কিছু ইকুইপমেন্ট বিদেশ থেকে আসছে এগুলোর কাজ শেষ হলেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, গুনগত মানের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। এখানে কনসালটেন্ট ও ঠিকাদার রয়েছে তারা সার্বক্ষণিক গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করছেন। এটা সরকারের একটি মাইলফলক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসচিব শামিমু-জ্জামান,পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম, বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল, বরিশাল সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ, পটুয়াখালী সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান, বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন।
পায়রা নদীর উপর নির্মাণাধীন লেবুখালী সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাথে লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কোম্পানী লিমিটেড নামক চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর ফলে দক্ষিনাঞ্চল বাসীর লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে, স্বল্পতম সময়ে ঢাকা থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যযাতায়াত সম্ভব হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

সময় বাড়লো পায়রা সেতু নির্মান কাজের – জুলাইয়ে যান চলাচল শুরু হতে পারে

আপডেট টাইম ০৭:১৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

মোঃ জাহিদুল ইসলাম দুমকি পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ দক্ষিন বাংলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীতে পায়রা নদীর উপর নির্মিত পায়রা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ ৫ ম দফায় বাড়ানো হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের ৩০জুন পর্যন্ত সময় পাবে। এর আগে আর‌ও ৪ -দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়, যার সর্বশেষ সময় ছিলো চলতি মাসের ৩০জুন পর্যন্ত।
তবে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেতু চলাচলের উপযোগী করতে তৎপর কর্তৃপক্ষ । পায়রা সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪৭০ মিটার, প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার।
২০০ মিটার করে দেশের দীর্ঘতম দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে এ সেতুটিতে । নদীর তলদেশে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল। যা দেশের সর্ববৃহৎ।
এক হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ ভাগ এবং মুল সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে সৌন্দর্য বর্ধন সহ আনুষাঙ্গিক কাজ।
৪ জুন শুক্রবার সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এটি বরিশাল পটুয়াখালীকে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আগামী অক্টোবর মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আমরা জুলাই মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য টার্গেট দিয়ে দিয়েছি।
আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলে আশা করেন তিনি। দুই সিফটে কাজ করে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পায়রা সেতুটি হচ্ছে আধুনিক মানের ফোরলেন বিশিষ্ট সেতু। সেতুটির মূল কাজ শেষ এখন এর ফিনিশিং চলছে এবং টোল প্লাজার কিছু ইকুইপমেন্ট বিদেশ থেকে আসছে এগুলোর কাজ শেষ হলেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, গুনগত মানের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। এখানে কনসালটেন্ট ও ঠিকাদার রয়েছে তারা সার্বক্ষণিক গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করছেন। এটা সরকারের একটি মাইলফলক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসচিব শামিমু-জ্জামান,পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম, বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল, বরিশাল সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ, পটুয়াখালী সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান, বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন।
পায়রা নদীর উপর নির্মাণাধীন লেবুখালী সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাথে লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কোম্পানী লিমিটেড নামক চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর ফলে দক্ষিনাঞ্চল বাসীর লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে, স্বল্পতম সময়ে ঢাকা থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যযাতায়াত সম্ভব হবে।