ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম।বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের শরীয়তপুরের জাজিরায় অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের সংর্ঘষে নিহত ৬ জনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তারা হলেন- বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের আনারশিয়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে লুৎফুন্নাহার লিমা (২৫)। আরেকজন তাদের আত্মীয় দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা আ. রাজ্জাকের ছেলে ফজলে রাব্বী (২৯)। জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে লুৎফরন্নাহার লিমা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। গত তিন মাস আগে তারা বাড়িতে আসেন। নিহত জাহানারা বেগমের স্বামী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মা-মেয়ের মৃত্যুতে তাদের বাড়িতে ভিড় করেছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাড়িভর্তি মানুষের মনও শোকের আবরণে ঢাকা। এদিকে দশমিনার আদমপুরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফজলে রাব্বী চার বছর আগে বিয়ে করেন। ইয়াস নামে তার তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বরিশালের বেলভিউ ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেডের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন ফজলে রাব্বী। হঠাৎ দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে দশমিনা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একমাত্র শিশু সন্তান আর স্ত্রীসহ স্বজনদের কান্না আর আহাজারি থামছেই না। বাড়িতে ভিড় করেছেন পাড়া-প্রতিবেশী ও তার সহপাঠীরা।
নিহত ফজলে রাব্বীর ছোট বোন মারুফা বলেন, ফজলে রাব্বী তার বন্ধুর ফুফুকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সটি শরীয়তপুরের পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা এলাকায় গতিরোধক পার হতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলপি গ্যাসবোঝাই একটি ট্রাকে ধাক্কা লাগে। আমার ভাই এভাবে হঠাৎ চলে যাবে ভাবতেই পারিনি। তার তিন বছরের ছোট একটি ছেলে রয়েছে। তার এই সন্তানকে এখন কে তার বাবার স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে দেখাশোনা করবে। নিহত জাহানারা বেগমের বড় ভাই আশ্রাফ আলী খান বলেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে আমার বোন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশালের বাসা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মা ও মেয়ে ছাড়াও তাদের এক আত্মীয় ফজলে রাব্বী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ও তার এক সহযোগীসহ মোট ৬ জন ওই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আশ্রাফ আলী খান আরও জানান, গ্রামের বাড়ি বাউফলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। অন্যরা ঢাকায় অবস্থান করছেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম।

আপডেট টাইম ০১:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম।বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের শরীয়তপুরের জাজিরায় অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের সংর্ঘষে নিহত ৬ জনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তারা হলেন- বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের আনারশিয়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে লুৎফুন্নাহার লিমা (২৫)। আরেকজন তাদের আত্মীয় দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা আ. রাজ্জাকের ছেলে ফজলে রাব্বী (২৯)। জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে লুৎফরন্নাহার লিমা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। গত তিন মাস আগে তারা বাড়িতে আসেন। নিহত জাহানারা বেগমের স্বামী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মা-মেয়ের মৃত্যুতে তাদের বাড়িতে ভিড় করেছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাড়িভর্তি মানুষের মনও শোকের আবরণে ঢাকা। এদিকে দশমিনার আদমপুরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফজলে রাব্বী চার বছর আগে বিয়ে করেন। ইয়াস নামে তার তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বরিশালের বেলভিউ ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেডের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন ফজলে রাব্বী। হঠাৎ দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে দশমিনা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একমাত্র শিশু সন্তান আর স্ত্রীসহ স্বজনদের কান্না আর আহাজারি থামছেই না। বাড়িতে ভিড় করেছেন পাড়া-প্রতিবেশী ও তার সহপাঠীরা।
নিহত ফজলে রাব্বীর ছোট বোন মারুফা বলেন, ফজলে রাব্বী তার বন্ধুর ফুফুকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সটি শরীয়তপুরের পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা এলাকায় গতিরোধক পার হতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলপি গ্যাসবোঝাই একটি ট্রাকে ধাক্কা লাগে। আমার ভাই এভাবে হঠাৎ চলে যাবে ভাবতেই পারিনি। তার তিন বছরের ছোট একটি ছেলে রয়েছে। তার এই সন্তানকে এখন কে তার বাবার স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে দেখাশোনা করবে। নিহত জাহানারা বেগমের বড় ভাই আশ্রাফ আলী খান বলেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে আমার বোন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশালের বাসা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মা ও মেয়ে ছাড়াও তাদের এক আত্মীয় ফজলে রাব্বী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ও তার এক সহযোগীসহ মোট ৬ জন ওই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আশ্রাফ আলী খান আরও জানান, গ্রামের বাড়ি বাউফলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। অন্যরা ঢাকায় অবস্থান করছেন।