ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চাটখিলে মাস্ক নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে যা দেখা গেল

মোঃ সাকিব স্টাফ রিপোর্টার
কারও বাসা থেকে মাস্ক আনতে মনে নেই, কারও তা পরলে দম বন্ধ লাগে; আবার কেউ কেউ মাস্ক নিয়ে বের হলেও ‘পড়ে গেছে’ পথে- এমনই নানা অজুহাতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এই উপকরণ পরছেন না বহু মানুষ। মাস্ক মুখে না জড়িয়ে যারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের অনেককে গুণতে হয়েছে নগদ জরিমানা, সঙ্গে পেয়েছেন বিনামূল্যের মাস্কও।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শাহপুর মধ্যবাজারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মুখে মাক্স দেওয়া নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর ’দ্বিতীয় ঢেউ’ সামলানোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। জরিমানা পরিশোধ করলে মাস্ক পরার জন্য উৎসাহিত করে ছাড়ার পাশাপাশি তাদেরকে দেওয়া হয় মাস্ক।
এরপর আসা একটি রিকশার আরোহীদের মুখে মাস্ক থাকলেও চালকের মুখে ছিল না। চল্লিশোর্ধ্ব রিকশাচালককে মাস্ক পরার জন্য উদ্বুদ্ধ করে একটি মাস্ক তুলে দেওয়া হয়।
সোমবার ২২-০৩-২১ দুপুর ১টার সময় চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসার নেতৃত্বে শাহপুর মধ্যবাজার থেকে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২ ব্যবসায়ীর মাক্স না থাকায় ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয় পরে এক ব্যববসায়ীর কাছ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য থাকায় ৫০০ টাকা, নিউ মিষ্টি মুখ দোকানে অন্যের ব্যবহৃত মোড়ক ব্যবহার করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ২০০০ টাকা, জলিল ক্লথ স্টোরে বিদেশি পণ্যে বাংলাদেশী কোন অনুমোদন না থাকায় ২০০০ টাকা একই সাথে ভূইয়া ক্লথ স্টোরকে ৫০০০ টাকা, মডার্ন গার্মেন্টস কে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় অভিযান পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসা বলেন, “মাস্কের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে আমরা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।
”দণ্ডবিধির যে ধারায় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। আমরা এখন ১০০-২০০ টাকা করছি। কারণ অনেকে মনে নেই, বাসায় রেখে আসছি, হারিয়ে গেছে- এমন খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে মাস্ক পরছেন না।” ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং অন্যান্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এখন দুয়েকজন ছাড়া বাকিরা মাস্ক পরছেন বলে পর্যবেক্ষণ এই ম্যাজিস্ট্রেটের।
মোসা আরো বলেন, “আমূল পরিবর্তন আসছে। শুরুর দিকে আমরা দেখেছি, বেশিরভাগের মাস্ক ছিল না, এখন মোটামুটি বেশিরভাগই মাস্ক পরছে।
“হয়ত কেউ কেউ সঠিক জায়গায় পরছে না। দুয়েকজন রিকশাওয়ালা ভাই ও নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। তাদেরকে বুঝিয়ে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক দিয়ে দিচ্ছি।”
অন্যদিকে কয়েকটি দোকানে বিদেশি পণ্য বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকায় ও বাংলাদেশী পণ্যে অনুমোদন না থাকায় তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

চাটখিলে মাস্ক নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে যা দেখা গেল

আপডেট টাইম ১১:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১

মোঃ সাকিব স্টাফ রিপোর্টার
কারও বাসা থেকে মাস্ক আনতে মনে নেই, কারও তা পরলে দম বন্ধ লাগে; আবার কেউ কেউ মাস্ক নিয়ে বের হলেও ‘পড়ে গেছে’ পথে- এমনই নানা অজুহাতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এই উপকরণ পরছেন না বহু মানুষ। মাস্ক মুখে না জড়িয়ে যারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের অনেককে গুণতে হয়েছে নগদ জরিমানা, সঙ্গে পেয়েছেন বিনামূল্যের মাস্কও।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শাহপুর মধ্যবাজারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মুখে মাক্স দেওয়া নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর ’দ্বিতীয় ঢেউ’ সামলানোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। জরিমানা পরিশোধ করলে মাস্ক পরার জন্য উৎসাহিত করে ছাড়ার পাশাপাশি তাদেরকে দেওয়া হয় মাস্ক।
এরপর আসা একটি রিকশার আরোহীদের মুখে মাস্ক থাকলেও চালকের মুখে ছিল না। চল্লিশোর্ধ্ব রিকশাচালককে মাস্ক পরার জন্য উদ্বুদ্ধ করে একটি মাস্ক তুলে দেওয়া হয়।
সোমবার ২২-০৩-২১ দুপুর ১টার সময় চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসার নেতৃত্বে শাহপুর মধ্যবাজার থেকে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২ ব্যবসায়ীর মাক্স না থাকায় ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয় পরে এক ব্যববসায়ীর কাছ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য থাকায় ৫০০ টাকা, নিউ মিষ্টি মুখ দোকানে অন্যের ব্যবহৃত মোড়ক ব্যবহার করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ২০০০ টাকা, জলিল ক্লথ স্টোরে বিদেশি পণ্যে বাংলাদেশী কোন অনুমোদন না থাকায় ২০০০ টাকা একই সাথে ভূইয়া ক্লথ স্টোরকে ৫০০০ টাকা, মডার্ন গার্মেন্টস কে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় অভিযান পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসা বলেন, “মাস্কের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে আমরা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।
”দণ্ডবিধির যে ধারায় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। আমরা এখন ১০০-২০০ টাকা করছি। কারণ অনেকে মনে নেই, বাসায় রেখে আসছি, হারিয়ে গেছে- এমন খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে মাস্ক পরছেন না।” ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং অন্যান্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এখন দুয়েকজন ছাড়া বাকিরা মাস্ক পরছেন বলে পর্যবেক্ষণ এই ম্যাজিস্ট্রেটের।
মোসা আরো বলেন, “আমূল পরিবর্তন আসছে। শুরুর দিকে আমরা দেখেছি, বেশিরভাগের মাস্ক ছিল না, এখন মোটামুটি বেশিরভাগই মাস্ক পরছে।
“হয়ত কেউ কেউ সঠিক জায়গায় পরছে না। দুয়েকজন রিকশাওয়ালা ভাই ও নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। তাদেরকে বুঝিয়ে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক দিয়ে দিচ্ছি।”
অন্যদিকে কয়েকটি দোকানে বিদেশি পণ্য বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকায় ও বাংলাদেশী পণ্যে অনুমোদন না থাকায় তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়।