নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রতিদিন রাত পোহালেই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুল খলিল চৌধিরীর বৈঠকখানায় দেখা যায় মানুষের আনাগোনা। তাদের কেউ নিজের সমস্যা, কেউ অন্যের সমস্যা বলতে এসেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একে একে নিজের মতো করে ভালো-মন্দ সবই খুব কাছ থেকে মন খুলে বলছেন তাঁরা।তাদের কথা গভীর মনযোগ দিয়ে শুনছেন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল খলিল চৌধুরী। কথা শেষে সবাই হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।

এলাকার মানুষের আলাপচারিতায় একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা উঠলে সর্বাগ্রে যে মানুষটির নাম উঠে আসে তিনিই হচ্ছেন মেম্বার প্রার্থী খলিল চৌধুরী। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া- মহল্লার মানুষ তাকে “খলিল ভাই’ হিসেবে চেনেন এবং জানেন।
মেম্বার হয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে গৌরব করার মতো একটি সুন্দর ওয়ার্ড উপহার দিতে চান তিনি।
আব্দুল খলিল চৌধুরীর জন্ম টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।সে ছাত্র জীবন থেকে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মকান্ড, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে নেতৃত্ব দেয়া ও এলাকার মেহনতি-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় সেগুলি শিখেছেন।সে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের সাথে জড়িত ছিলেন।এখন শ্রমীকলীগ নেতা ও একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে মানুষের কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন ।
আব্দুল খলিল চৌধুরী উল্লেখযোগ্য সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডের মধ্যে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। কোরবানীর ঈদে গ্রামের গরিবদের জন্য আলাদা কোরবানী দিয়ে নিজ হাতে গোস্ত বণ্ঠন করা, প্রতিবছর এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা, এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো। এছাড়াও করোনার এ দু:সময়ে রাতের আঁধারে গ্রামের অসহায়দের ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানা যায়।
আগামী ইউপি নির্বাচনে ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের জন্য একজন মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছুটে চলেছেন এ সমাজ সেবক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও হিতাকাঙ্খিদের নিয়ে ভোটের জন্য দোয়া ও সমর্থন চাইতেছেন। তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটারসহ সাধারণ মানুষের থেকে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন তিনি ।
আগামী ইউপি নির্বাচনে অত্র ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তরুণ প্রজন্ম, সচেতন মহলসহ সকলে ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার,বিদ্যুৎ,পানি ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ভবিষ্যৎ কারীগর হিসেবে আব্দুল খলিল কে নিয়েই ভাবছেন।এখন নির্বাচনী আলোচনায়ও তিনি এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের আলোচনায় ফুটে ওঠেছে,বিগত কয়েকটি ইউপি নির্বাচনের আগে অনেক সাবেক মেম্বার প্রার্থীদের ওয়াদা শুনেছি কিন্তু দেওয়া ওয়াদা মতো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করেনি । ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা অনেক বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কিন্তু তা মেরামত করেননি । যেগুলো মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তাও করেননি ।এছাড়া ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ অনেক সুযোগ সুবিধা পাননি।
আবার এদিকে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে আব্দুল খলিল চৌধুরীর রয়েছে অবাধ বিচরণ। এলাকার ক্রিকেট ও ফুটবল প্রেমিকরা তাঁদের আবদার নিয়ে তাঁর নিকট গিয়ে কখনো খালি হাতে ফেরেননি বলে জানান অনেক খেলোয়াড়রা। অর্থের অভাবে যেনো তার এলাকার কোনো দরিদ্র ছেলে মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ না হয়, সেদিকে আব্দুল খলিল চৌধুরীর সুনজর খুবই সচল।
এ ধরণের একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি আগামীতে জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে এলাকায় শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতে অসাধারণ পরিবর্তন ঘটবে’এমনটি জানিয়েছেন ওয়ার্ডবাসী ।
একান্ত সাক্ষাতকালে আব্দুল খলিল চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা আমি আমার রাজনৈতিকবিদ ও সমাজসেবক আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় মুজিব আর্দশের সৈনিক গুরুজনদের খুব কাছ থেকেই পেয়েছি।আমি যেনো সারাজীবন মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারি সে প্রত্যাশা নিয়ে বর্তমানেও কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করবো এতে আমি আমার এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থনও পাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের সময় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও টাকার বিনিময়ে ভোটারদের মূল্যবান আমানত যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে, আমি সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই। মেম্বার হয়ে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করে উন্নতমানের পরিবেশবান্ধব নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে গৌরব করার মতো একটি সুন্দর ওয়ার্ড উপহার দিতে চাই।