ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে খাওয়ালেন হাজী আবুল কাশেম

জসীম মিয়া, ফরিদপুর প্রতিনিধি :

সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে মিলাদ বা কুলখানির আয়োজন করেন স্বজনরা। কিন্তু মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ হাজী মো: আবুল কাশেম মোল্যা।

৮০ বছরের এ বৃদ্ধের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়োইল গ্রামে। শনিবার নিজ বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা। দিনব্যাপী ভূরিভোজে গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কামতাল গ্রাম। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় গরু জবাইসহ রান্না-বান্নার কাজ। শনিবার ১২টায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে অংশ নেন মসজিদের ইমাম। মোনাজাতের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া, যা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
আরো আগেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেন তিনি। বড় ছেলে মো. মনিরুজ্জামান দ্বিতীয় ছেলে ওহিদুজ্জামান ফিরোজ, তৃতীয় ছেলে মো. লিটন মিয়া ও চতুর্থ ছেলে কায়ুমুজ্জামান। বৃদ্ধ হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, মৃত্যুর আগেই প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে খাওয়ালেন হাজী আবুল কাশেম

আপডেট টাইম ০৭:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

জসীম মিয়া, ফরিদপুর প্রতিনিধি :

সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে মিলাদ বা কুলখানির আয়োজন করেন স্বজনরা। কিন্তু মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ হাজী মো: আবুল কাশেম মোল্যা।

৮০ বছরের এ বৃদ্ধের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়োইল গ্রামে। শনিবার নিজ বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা। দিনব্যাপী ভূরিভোজে গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কামতাল গ্রাম। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় গরু জবাইসহ রান্না-বান্নার কাজ। শনিবার ১২টায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে অংশ নেন মসজিদের ইমাম। মোনাজাতের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া, যা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
আরো আগেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেন তিনি। বড় ছেলে মো. মনিরুজ্জামান দ্বিতীয় ছেলে ওহিদুজ্জামান ফিরোজ, তৃতীয় ছেলে মো. লিটন মিয়া ও চতুর্থ ছেলে কায়ুমুজ্জামান। বৃদ্ধ হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, মৃত্যুর আগেই প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।