ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজী বর্ণে নাম ফলক, ভাষা সৈনিক ও ভাষা প্রেমীদের ক্ষোভ

সাহিদ বাদশা বাবু, লালমনিরহাট ।।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজী বর্ণে নাম ফলক তৈরী করেছে উপজেলা প্রশাসন। দৃষ্টি নন্দনের নামে তৈরী এ স্থাপনা বিতর্কের জন্ম দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ভাষা সৈনিক, ভাষা প্রেমীকসহ গোটা জেলাবাসী। ভাষার মাসে শহীদদের সম্মানার্থে দ্রুত ইংরেজী বর্ণ অপসারণ করে ফলকটিতে বাংলা বর্ণ ব্যবহারের দাবি স্থানীয়দের।

প্রাণের বিনিময়ে কেনা বাংলা ভাষা। মায়ের ভাষা রক্ষায় ঝরেছে কত রক্ত। সেই ভাষা শহীদদের মর্যাদা রক্ষায় নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। কিন্তু লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা চত্বরে সেই শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজী বর্ণ ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে নাম ফলক। এতে ক্ষুব্ধ ভাষা প্রেমিরা।

উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রীয় অর্থে এমন পরিকল্পনাহীন কাজে বির্তকের জন্ম দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে খোদ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তার দায়িত্বশীলতা নিয়ে।

লালমনিরহাট জেলার ভাষা সৈনিক আবদুল কাদের ভাসানী তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যে বাংলা ভাসার জন্য আমরা লড়াই করেছি, আন্দোলন করেছি, যে ভাষার জন্য কতোজন শহীদ হয়েছেন সেই ভাষাকে আজ আমরা অমর্যাদা করছি। বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রান দিয়েছেন তাদের স্বরণেই নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। অথচ সেই শহীদ মিনারের সামনেই না কি ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে নাম লেখা হয়েছে। যা বাংলা ভাষাকে অপমান এবং অমর্যাদা করা হয়েছে। তিনি স্থাপনাটি দ্রুত অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। সেই সাথে বাংলা ভাষার অমর্যাদাকারী যারা এই স্থাপনা তৈরীর সাথে জড়িত এই ভাষার মাসে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক বলে জানান তিনি।

এদিকে জেলার সচেতন মহলের দাবী উপজেলা প্রশাসনের এই নির্বুদ্ধিতা কখনোই মেনের নেয়ার মতো নয়। লক্ষ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলা ভাষা, রক্তে ঝড়া মায়ের ভাষাকে উপজেলা প্রশাসনের কর্তাগন কখনই অপমান করতে পারে না। দ্রুত ইংরেজি বর্ণমালায় লেখা নাম ফলকটি অপসারণ করে সেখানে বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে নাম ফলক নির্মাণের দাবী জানান জেলার সচেতন মহল।

জেলার একমাত্র বীর প্রতীক ক্ষেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক জানান, রক্তের বিনিময়ে মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাংলা ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নজির বিশ্বে আর নাই। ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না এবং বাংলা রাষ্ট্র ভাষা হতো না। আজ আমরা সেই বাংলা ভাষাকেই অবমাননা করছি। ভাষা শহীদদের স্বরনে নির্মিত শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে নাম তৈরি কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

যদিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনছুর উদ্দিন বলছেন, যৌথ পরিকল্পনায় ও সকলের সাথে আলোচনা করেই তৈরী করা হয়েছে এই নাম ফলকটি। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই শহীদ মিনারের পাশে ইংরেজি অক্ষরে
উপজেলার নাম ফলকটি নির্মান করা হয়। বিষয়টিতে দোষের কিছু আছে বলে তার মনে হয় না বলেও জানান তিনি।

মায়ের ভাষার রক্ষার গৌরবোজ্জল ইতিহাস ও দেশ প্রেমের চেতনাবোধ নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত না করে ভিনদেশী ভাষাকে মর্যাদাপূর্ণ করার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে সরকার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে- ভাষার মাসে এমনটাই প্রত্যাশা করেন ভাষা সৈনিক ও ভাষা প্রেমীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এদেশের আপামর ছাত্র সমাজের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে যে মাতৃভাষা বাংলা অর্জিত হয়েছে তার গণ্ডি এখন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং একুশে ফেব্রুয়ারি এবং ভাষা আন্দোলনের চেতনা আজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বতত্র। ভাষার জন্য বাঙালি জাতির এ আত্মত্যাগ আজ নতুন করে বিশ্বকে ভাবতে শিখিয়েছে মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO) সাধারণ পরিষদে আমাদের জাতীয় চেতনার ধারক একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ আজ বাঙালিদের মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা আজ যে বৈশ্বিক মর্যাদা লাভ করেছে তা মূলত আমাদের জাতীয় চেতনাবোধের বিজয়। ইউনেস্কোর গ্রহীত প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলা হয় যে, ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, তা ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন অনুধাবনের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। বাংলাদেশসহ জাতিসংঘভুক্ত ১৯৩টি দেশ বর্তমানে একুশে ফেব্রুয়ারিকে পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য এ প্রাপ্তি সহস্র মর্যাদার প্রতীক। অথচ লালমনিরহাটে এই ভাষার মাসে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে আজ অপমান করে শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নাম ফলক

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজী বর্ণে নাম ফলক, ভাষা সৈনিক ও ভাষা প্রেমীদের ক্ষোভ

আপডেট টাইম ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সাহিদ বাদশা বাবু, লালমনিরহাট ।।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজী বর্ণে নাম ফলক তৈরী করেছে উপজেলা প্রশাসন। দৃষ্টি নন্দনের নামে তৈরী এ স্থাপনা বিতর্কের জন্ম দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ভাষা সৈনিক, ভাষা প্রেমীকসহ গোটা জেলাবাসী। ভাষার মাসে শহীদদের সম্মানার্থে দ্রুত ইংরেজী বর্ণ অপসারণ করে ফলকটিতে বাংলা বর্ণ ব্যবহারের দাবি স্থানীয়দের।

প্রাণের বিনিময়ে কেনা বাংলা ভাষা। মায়ের ভাষা রক্ষায় ঝরেছে কত রক্ত। সেই ভাষা শহীদদের মর্যাদা রক্ষায় নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। কিন্তু লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা চত্বরে সেই শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজী বর্ণ ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে নাম ফলক। এতে ক্ষুব্ধ ভাষা প্রেমিরা।

উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রীয় অর্থে এমন পরিকল্পনাহীন কাজে বির্তকের জন্ম দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে খোদ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তার দায়িত্বশীলতা নিয়ে।

লালমনিরহাট জেলার ভাষা সৈনিক আবদুল কাদের ভাসানী তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যে বাংলা ভাসার জন্য আমরা লড়াই করেছি, আন্দোলন করেছি, যে ভাষার জন্য কতোজন শহীদ হয়েছেন সেই ভাষাকে আজ আমরা অমর্যাদা করছি। বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রান দিয়েছেন তাদের স্বরণেই নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। অথচ সেই শহীদ মিনারের সামনেই না কি ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে নাম লেখা হয়েছে। যা বাংলা ভাষাকে অপমান এবং অমর্যাদা করা হয়েছে। তিনি স্থাপনাটি দ্রুত অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। সেই সাথে বাংলা ভাষার অমর্যাদাকারী যারা এই স্থাপনা তৈরীর সাথে জড়িত এই ভাষার মাসে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক বলে জানান তিনি।

এদিকে জেলার সচেতন মহলের দাবী উপজেলা প্রশাসনের এই নির্বুদ্ধিতা কখনোই মেনের নেয়ার মতো নয়। লক্ষ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলা ভাষা, রক্তে ঝড়া মায়ের ভাষাকে উপজেলা প্রশাসনের কর্তাগন কখনই অপমান করতে পারে না। দ্রুত ইংরেজি বর্ণমালায় লেখা নাম ফলকটি অপসারণ করে সেখানে বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে নাম ফলক নির্মাণের দাবী জানান জেলার সচেতন মহল।

জেলার একমাত্র বীর প্রতীক ক্ষেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক জানান, রক্তের বিনিময়ে মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাংলা ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নজির বিশ্বে আর নাই। ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না এবং বাংলা রাষ্ট্র ভাষা হতো না। আজ আমরা সেই বাংলা ভাষাকেই অবমাননা করছি। ভাষা শহীদদের স্বরনে নির্মিত শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে নাম তৈরি কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

যদিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনছুর উদ্দিন বলছেন, যৌথ পরিকল্পনায় ও সকলের সাথে আলোচনা করেই তৈরী করা হয়েছে এই নাম ফলকটি। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই শহীদ মিনারের পাশে ইংরেজি অক্ষরে
উপজেলার নাম ফলকটি নির্মান করা হয়। বিষয়টিতে দোষের কিছু আছে বলে তার মনে হয় না বলেও জানান তিনি।

মায়ের ভাষার রক্ষার গৌরবোজ্জল ইতিহাস ও দেশ প্রেমের চেতনাবোধ নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত না করে ভিনদেশী ভাষাকে মর্যাদাপূর্ণ করার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে সরকার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে- ভাষার মাসে এমনটাই প্রত্যাশা করেন ভাষা সৈনিক ও ভাষা প্রেমীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এদেশের আপামর ছাত্র সমাজের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে যে মাতৃভাষা বাংলা অর্জিত হয়েছে তার গণ্ডি এখন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং একুশে ফেব্রুয়ারি এবং ভাষা আন্দোলনের চেতনা আজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বতত্র। ভাষার জন্য বাঙালি জাতির এ আত্মত্যাগ আজ নতুন করে বিশ্বকে ভাবতে শিখিয়েছে মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO) সাধারণ পরিষদে আমাদের জাতীয় চেতনার ধারক একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ আজ বাঙালিদের মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা আজ যে বৈশ্বিক মর্যাদা লাভ করেছে তা মূলত আমাদের জাতীয় চেতনাবোধের বিজয়। ইউনেস্কোর গ্রহীত প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলা হয় যে, ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, তা ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন অনুধাবনের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। বাংলাদেশসহ জাতিসংঘভুক্ত ১৯৩টি দেশ বর্তমানে একুশে ফেব্রুয়ারিকে পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য এ প্রাপ্তি সহস্র মর্যাদার প্রতীক। অথচ লালমনিরহাটে এই ভাষার মাসে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে আজ অপমান করে শহীদ মিনারের সামনে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নাম ফলক