এস,এম, ওয়ালিদুজ্জামান শুভ কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার চাঁদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ড মোহন নগর পশ্চিম পাড়ার হবিবুর রহমানের পুত্র মেরাজুল ইসলাম নাবালক মেয়ের জীবন নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসলিমা খাতুন নামের একটি মেয়ে পান্টি গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসলিমা খাতুন এর মা হালিমা খাতুন জানান গত বৃহস্পতিবার ২৪/১২/২০২০ রাত থেকে তার মেয়েকে ছলে বলে কৌশলে অপহরণ করেছে । হালিমা খাতুন জানান মেরাজের পরিবার আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সান্তনা দিয়ে যাচ্ছে এবং সেই সাথে হুমকি দিয়ে বলেছে এই ব্যাপারে তোরা যদি কোন আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করিস তাহলে তোদের খবর আছে ।এদিকে লম্পট মেরাজ এর পরিবার অনেক ক্ষমতাশালী বলে তারা জানিয়েছে। এই ব্যাপারে আমরা ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বৃক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে পারব না, আমাকে আপনারা জড়াবেন না । আমরা চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশিদুজ্জামান তুষারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাদেরকে জানান নাই, যদি বিষয়টি না জানায় তাহলে কিভাবে এটা সমাধান করব। পাঁচ ছয় দিন পর গত 30/12/2020 তারিখে সাংবাদিকরা তাদের বাসায় গেলে সাংবাদিকদের চাপে পড়ে লম্পট মেরাজের পরিবার জানান সাংবাদিকদেরকে যে তারা আজকালের মধ্যে মেয়েকে উদ্ধার করে আনবে বলে মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করে। হালিমা খাতুন এর মেয়েকে উদ্ধার করে এনে না দিয়ে বরং উল্টা মেয়ের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। নাবালক মেয়েকে কিসের ভিত্তিতে লম্পট মেরাজ তার বসত বাড়িতে আটক করে রেখেছে এটাও দেখবার একটি বিষয়। এদিকে লম্পট মেরাজ জানায় এই নাবালক মেয়েকে সে বিয়ে করেছে। আমরা লম্পট মেরাজের পিতা হবিবর রহমান এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কত কৌশলে পালিয়ে চলে যায়। এদিকে বিয়ের বিষয়ে লম্পট মেরাজ স্বীকারোক্তি দিলেও কোন প্রকার রেজিস্ট্রি কাবিননামা দেখাতে সক্ষম হয়নি। মেয়েটির পরিবার ও তার মা হালিমা খাতুন এর ওপর প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে মেরাজের পরিবার ও একটি মহল। এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছে মেয়েটির পরিবার। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এর আগেও এই হবিবর রহমান এর এই লম্পট পুত্র মেরাজ বিভিন্ন মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ আছে। এলাকাবাসী জানান এটা নতুন কোন কিছু নয় এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে এই মেরাজ একে যদি এখনই থামানো না যায় আইনের আওতায় আনা না হয় দিন দিন এর সাহস বেড়ে চলেছে । তাই একে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।।। মেয়ের বাবা মা বলেন আমি আমাদের মেয়েকে বিয়ে দেয় নাই। আমার মেয়ের বয়স অল্প এবং মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আমার নাবালক অল্প বয়সী মেয়েকে কেন বিয়ে দিব। মেরাজ ও তার পরিবার জোর করে আমার মেয়েকে আটকে রেখেছে আমরা এর বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।।