এফ.এ.মানিকঃনির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা যায় ৪ র্থ অথবা শেষ ধাপে ঘোষণা হবে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল,প্রচারে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সেলিনা আক্তার শেলী।
গত ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করে ২য় অবস্থানে ছিলেন সেলিনা আক্তার শেলী,তিনি এবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য।
সেলিনা আক্তার শেলী বলেন,আমি যদি আওয়োমীলিগের দলীয় মনোনয়ন পাই,এবং আপনাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হই,
পৌরসভার সকল রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ, বিদ্যুৎ,জলাবদ্ধতা সহ সকল খেত্রে উন্নয়ন করবো,
পৌরবাসীর উন্নয়নে নারী শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবো। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নারীরা যেনো সু-শিক্ষায় শিক্ষিত, স্বর্নিভর হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবো। সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ-সহ সামাজিক ব্যাধি দূর করে একটি সুখী-সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমার মূল লখ্য
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে ১৯৯২-১৯৯৬ সাল ও পরবর্তী ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামি প্রয়াত আ.স.ম ফয়সাল ছিলেন একজন ত্যাগি ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা আ.স.ম ফয়সাল বিএনপির হামলার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফয়সালকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপতালে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেলীর স্বামী ফয়সল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। শেলীর শশুর মো.ছালেহ আহমেদ ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আব্দুল গণির বড় মেয়ে সেলিনা আক্তার শেলী । দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার জন্য,জননেত্রী শেখ হাসিনার সু দৃষ্টি কামনা করছেন,এবং পৌরসভার সকল নাগরিকদের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন।