ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর কালীগঞ্জে এলাকায়। ২০০৫ সালে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা- বর-মোঃ আওলাদ হোসেন(৩৯), পিতা ফজলুল হক, সাং-চুয়ারীয়াখোলা, পোষ্টঃ কালীগঞ্জ, থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-গাজীপুর।
কনে-মোছাঃ রেশমা খাতুন(৩১), পিতা-মোঃ হেমায়েত মোল্লা, সাং, হাড়ীবাড়ির টেক,পোস্টঃ পূবাইল, থানা- কালীগঞ্জ, জেলা-গাজীপুর। এর সাথে।
বিয়ের কিছু দিন পর চাকুরির উদ্দেশ্যে বিদেশে (সৌদি আরব) চলে যায়। বিদেশ থাকালিন সময় সমস্ত কষ্টে আর্জিত অর্থ স্ত্রী রেশমা খাতুনের নামে পাঠানো হয়। সেই টাকা দিয়ে রেশমা জমি ও চতুর্থ তলা ভবন নির্মান করে। ১৮ বছর পর দেশে ফিরে আসলে স্ত্রী রেশমা তাকে চিনেনা এবং অহেতুক বিভিন্ন ধরনের প্রলাপ করতে থাকে। জানাগেছে, বিদেশ থাকালিন সময়ে স্ত্রী নিজেই স্বামীকে তালাক দিয়ে গোপন রাখে। প্রবাসী স্বামীকে বোকা বানিয়ে ১৮ বছর ধরেই প্রতিমাসে ২ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিতেন সৌদি প্রবাসী স্বামী আওলাদ এর কাছ থেকে। এখন দেশের আসার পর স্থানীয় লোক মারফতে প্রবাসী স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি এমকি হত্যার পরিকল্পনা করছেন স্ত্রী রেশমা খাতুন। তথ্য অনুসন্ধান উঠে আসে রেশমার বেপরোয়া জীবন যাপনের বহু চিত্র। স্বামী বিদেশ থাকালিন সময়ে একাধিক বয়ফ্রেন্ড, দেশের বিভিন্ন স্থানে হোটেলে রাত্রি যাপন। বিভিন্ন বন্ধুদের নিয়ে খোলামেলা পোষাকে গোসলের দৃশ্য। যা বর্তমান দেশে সব চেয়ে সমালোচনার শীর্ষে পাপিয়াকেও হার মানিয়েছে গেছে এই রেশমা খাতুন। প্রবাসী স্বামী এখন রাস্তায় রাস্তায় পাগলের মত ন্যায় বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিগত ০৫/০২/২০১৯ ইং তারিখে এই বিষয় নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন অধীনে ৪১ নং ওয়ার্ডে দুই পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। তাতে স্ত্রী রেশমা দোষী বলে গন্য হয়। সালিশী সভায় সকল কিছু বিবেচনা করিয়া দুপক্ষের ভবিষ্যতে শান্তির লক্ষ্যে গত ২০/০২/২০১৯ ইং তারিখে পূনরায় শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয় ও উভয় পক্ষকেই জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু স্ত্রী উক্ত তারিখে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে উপস্থিত না হইয়া স্বামী আওলাদ নামে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে বিভিন্ন ভাবে হায়রানি করিতে থাকে। জিবনের সমস্ত উপার্জন টাকা ও নেই, স্ত্রী নেই। এখন জিবন মরণ সন্ধিক্ষণে কনোমতে আধমরা অবস্থায় বেচে আছেন। একাধিক বিশস্ত সুত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আওলাদের স্ত্রী রেশমাকে স্থানীয় শাজাহান ভুইয়া রাতের আধারে গোপনে দরজার করে বিভিন্ন সময়ে ডেকে নিয়ে অবৈধ মেলামেশা করে। শাজাহান ভুইয়া এলাকার বহু বিবাহিত সুন্দরী নারী দেখলেই তাদের সংসার ভাঙ্গার তান্ডবে উঠে পড়ে লাগেন। এলাকায় সে নারী খেকো নামে বেশ পরিচিত।