ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক খুঁটি, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের জীবনের ঝুঁকি

রাফিউ হাসানঃ সড়কের মধ্যে কিংবা ঘরের মধ্যে বা দালান ঘেষে বৈদ্যুতিক খুঁটি এমন খবর নিয়ে দেশজুড়ে বেশ হই-চই হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে আর একটি ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে চাঁদপুর উপজেলার শাহরাস্তিতে।
চাঁদপুর উপজেলায় শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ৩ এর ফটিকখিরা নামক জায়গাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় এই ভয়াবহতা।
ফটিকখিরা এস এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পরে খুঁটি বসানো হয়। বিদ্যালয়ের টিনের স্থাপনা ঘেঁষে ১১ হাজার কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন লাইন প্রবাহিত হয়েছে। ধান লাগানোর মৌসুমে মাঠে পানি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত আরো দুটি সহ মোট তিনটি ট্রান্সমিটার বসানো হয়। ২৪২ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬ জন শিক্ষক ও অফিস কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলে। বৃষ্টি কিংবা হালকা বাতাসে আর্থিং এর কারণে গুনগুন শব্দে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরাও আতঙ্কে বিদ্যালয়ের সময়টি পার করেন। ফটিকখিরা গ্রামের বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ব্যাপারটি শঙ্কিত করলেও বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যাথা নেই পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের।  ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক কাঠের খুঁটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য  জরুরী ভিত্তিতে অন্যত্র জায়গায় সরিয়ে ফেলা একান্ত দরকার। নতুবা যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নূরে আফনান নামের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করি।  আমরা ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের আতঙ্কেও থাকি। আমরা পুরোপুরি আমাদের পড়ালেখায় ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারি না। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অফিসে গেলে তাকে বেলা ১১ ঘটিকায় অফিসে পাওয়া যায়নি। তার এই অনুপুস্থিতির ব্যাপারে অফিসের কেউই ঠিকমতো সদুত্তর দিতে পারেনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক খুঁটি, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের জীবনের ঝুঁকি

আপডেট টাইম ০৬:১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯

রাফিউ হাসানঃ সড়কের মধ্যে কিংবা ঘরের মধ্যে বা দালান ঘেষে বৈদ্যুতিক খুঁটি এমন খবর নিয়ে দেশজুড়ে বেশ হই-চই হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে আর একটি ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে চাঁদপুর উপজেলার শাহরাস্তিতে।
চাঁদপুর উপজেলায় শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ৩ এর ফটিকখিরা নামক জায়গাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় এই ভয়াবহতা।
ফটিকখিরা এস এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পরে খুঁটি বসানো হয়। বিদ্যালয়ের টিনের স্থাপনা ঘেঁষে ১১ হাজার কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন লাইন প্রবাহিত হয়েছে। ধান লাগানোর মৌসুমে মাঠে পানি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত আরো দুটি সহ মোট তিনটি ট্রান্সমিটার বসানো হয়। ২৪২ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬ জন শিক্ষক ও অফিস কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলে। বৃষ্টি কিংবা হালকা বাতাসে আর্থিং এর কারণে গুনগুন শব্দে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরাও আতঙ্কে বিদ্যালয়ের সময়টি পার করেন। ফটিকখিরা গ্রামের বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ব্যাপারটি শঙ্কিত করলেও বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যাথা নেই পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের।  ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক কাঠের খুঁটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য  জরুরী ভিত্তিতে অন্যত্র জায়গায় সরিয়ে ফেলা একান্ত দরকার। নতুবা যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নূরে আফনান নামের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করি।  আমরা ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের আতঙ্কেও থাকি। আমরা পুরোপুরি আমাদের পড়ালেখায় ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারি না। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অফিসে গেলে তাকে বেলা ১১ ঘটিকায় অফিসে পাওয়া যায়নি। তার এই অনুপুস্থিতির ব্যাপারে অফিসের কেউই ঠিকমতো সদুত্তর দিতে পারেনি।