ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

অল্প বয়সের বালকের হাতে মোটরবাইক, ঘটছে বড় বড় দূর্ঘটনা এ দায় কার !

মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা,যশোর) : অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে দামী দামী দ্রতযান মোটরবাইক, ঘটছে ছোট বড় দূঘটনা। আর এ সব দূঘটনায় কেউ কেউ বেঁচে গেলেও হারাচ্ছে মূল্যবান অঙ্গ। দেশের বেশির ভাগ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে মোটরবাইকের জন্য, আর এ সব আরোহীদের বেশির ভাগ বয়স ১৫-২০ এর ভিতরে। তাদের বয়সের তুলনায় মোটরবাইকের গতি অনেক। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার প্রধান বাহন হলো মোটরবাইক। আকারে ছোট ও কিন্তু অধিক দ্রুতগামী আর এ জন্য অল্প বয়সের ছেলেরা ব্যবহার করছে এই মোটরবাইক। বেশির ভাগ আরোহীই মানেনা ট্রাফিক আইন, মানেনা কোন নিয়মনীতি। ট্রাফিকপুলিশ কঠোর ভূমিকা নিলেও বন্ধ হচ্ছেনা এই সব কম বয়সের ছেলেদের মোটরবাইক ব্যবহার। ফলে এ সব অল্প বয়সের ছেলের মোটরবাইক চালাতে ঝুঁকি বেড়েই চলছে। ট্রাফিক আইন অনুসারে নির্ধারিত বয়সের আগে কেউ মোটরবাইক চালাতে পারবেনা, তবে চালাতে হলে অবশ্যই চালকের বৈধ্য লাইসেন্স থাকতে হবে, চালক সহ আরহীর মাথায় থাকতে হবে হেলমেড, জানতে হবে ট্রাফিক নিয়ম। কিন্তু এই সব যুবক মানেনা কোন কথা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি মোকাবেলায় সবার আগে মোটরসাইকেলের ব্যবহার সীমিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। তারা বলছেন সর্ব সাধারণের জন্য নির্দিষ্ট সিসি’র অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। অল্প বয়সের ছেলেদের মোটরবাইক কিভাবে কিনে দেয় অভিভাবকরা, তারা জানেনা এই বাইক বেপরোয়া চালালে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা হারাতে পারে প্রিয় সন্তানকে। তারপরেও কেন মানছেনা এই সহজ কথাটি। সাধারণ মানুষেরর মতে, সরকারের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ আগে লাইসেন্স তারপর মোটরসাইকেল কারণ আমাদের দেশের রাস্তায় গাড়ির গতি থাকা উচিৎ সর্বচ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো হয়। মাত্রারিক্ত গতিতে মোটরবাইক চালানোর যার ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। গত কাল মোটরবাইকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন থেকে পুলিশের পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে এক চাকুরী প্রার্থী যুবক মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়, সাথে সাথেই সে মারা যায়। শুধু এটা নয় সারা দেশে প্রায় সময় লক্ষ করে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক চালক আরোহী সহ সড়ক দূর্ঘটনা মারা যায়। আজকাল অভিভাবকরা সন্তানের জোরের মাথায়, সন্তানের বিপদ জেনেও কিনে দিচ্ছেন এই আকর্ষনীয় দ্রুতগতীর মোটরবাইক। ফলে খরচের টাকা তুলতে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ মূলক কাজের সাথে। দ্রুত অপরাধ করে খুব সহজে পলাতে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সব মোটরবাইক, যার ফলে বাড়ছে নতুন নতুন অপরাধ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

অল্প বয়সের বালকের হাতে মোটরবাইক, ঘটছে বড় বড় দূর্ঘটনা এ দায় কার !

আপডেট টাইম ০৬:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা,যশোর) : অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে দামী দামী দ্রতযান মোটরবাইক, ঘটছে ছোট বড় দূঘটনা। আর এ সব দূঘটনায় কেউ কেউ বেঁচে গেলেও হারাচ্ছে মূল্যবান অঙ্গ। দেশের বেশির ভাগ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে মোটরবাইকের জন্য, আর এ সব আরোহীদের বেশির ভাগ বয়স ১৫-২০ এর ভিতরে। তাদের বয়সের তুলনায় মোটরবাইকের গতি অনেক। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার প্রধান বাহন হলো মোটরবাইক। আকারে ছোট ও কিন্তু অধিক দ্রুতগামী আর এ জন্য অল্প বয়সের ছেলেরা ব্যবহার করছে এই মোটরবাইক। বেশির ভাগ আরোহীই মানেনা ট্রাফিক আইন, মানেনা কোন নিয়মনীতি। ট্রাফিকপুলিশ কঠোর ভূমিকা নিলেও বন্ধ হচ্ছেনা এই সব কম বয়সের ছেলেদের মোটরবাইক ব্যবহার। ফলে এ সব অল্প বয়সের ছেলের মোটরবাইক চালাতে ঝুঁকি বেড়েই চলছে। ট্রাফিক আইন অনুসারে নির্ধারিত বয়সের আগে কেউ মোটরবাইক চালাতে পারবেনা, তবে চালাতে হলে অবশ্যই চালকের বৈধ্য লাইসেন্স থাকতে হবে, চালক সহ আরহীর মাথায় থাকতে হবে হেলমেড, জানতে হবে ট্রাফিক নিয়ম। কিন্তু এই সব যুবক মানেনা কোন কথা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি মোকাবেলায় সবার আগে মোটরসাইকেলের ব্যবহার সীমিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। তারা বলছেন সর্ব সাধারণের জন্য নির্দিষ্ট সিসি’র অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। অল্প বয়সের ছেলেদের মোটরবাইক কিভাবে কিনে দেয় অভিভাবকরা, তারা জানেনা এই বাইক বেপরোয়া চালালে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা হারাতে পারে প্রিয় সন্তানকে। তারপরেও কেন মানছেনা এই সহজ কথাটি। সাধারণ মানুষেরর মতে, সরকারের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ আগে লাইসেন্স তারপর মোটরসাইকেল কারণ আমাদের দেশের রাস্তায় গাড়ির গতি থাকা উচিৎ সর্বচ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো হয়। মাত্রারিক্ত গতিতে মোটরবাইক চালানোর যার ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। গত কাল মোটরবাইকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন থেকে পুলিশের পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে এক চাকুরী প্রার্থী যুবক মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়, সাথে সাথেই সে মারা যায়। শুধু এটা নয় সারা দেশে প্রায় সময় লক্ষ করে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক চালক আরোহী সহ সড়ক দূর্ঘটনা মারা যায়। আজকাল অভিভাবকরা সন্তানের জোরের মাথায়, সন্তানের বিপদ জেনেও কিনে দিচ্ছেন এই আকর্ষনীয় দ্রুতগতীর মোটরবাইক। ফলে খরচের টাকা তুলতে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ মূলক কাজের সাথে। দ্রুত অপরাধ করে খুব সহজে পলাতে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সব মোটরবাইক, যার ফলে বাড়ছে নতুন নতুন অপরাধ।