মেহেদী হাসান, ব্যুরো চিফ, গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে অটো স্পিনিং মিলের আগুনে নিহতে সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরও দুটি লাশ বের করে আনা হয়। এর আগে ভোর ৪টার দিকে তিনটি অঙ্গার দেহ বের করে আনা হয়। শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে কারখানার এসি প্ল্যান্ট থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার হওয়া সুজন সরদার (৩০) পাবনা জেলা আমিনপুর থানার নান্দিয়ারা গ্রামে কেরামত সরদারের ছেলে। অপরজন মো. আবু রায়হান (৩৫) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার ভুবনপোড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তারা দুজনই এসি প্ল্যান্টের শ্রমিক ছিল। এদিকে ভোরে উদ্ধার হওয়া নিহত আনোয়ার (২৭) উপজেলার দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে, শাহজালাল (২৬) শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের হাছেন আলীর ছেলে ও সেলিম কবির (৪২) গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার ভান্নারা গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে। কারখানার অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিখোঁজ ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ ভোরে কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুজন সরদার ও আবু রায়হানের স্বজনেরা জানান, সুজন উচু লম্বা ছিল এবং আবু রায়হান খাটো ছিল। পুড়ে যাওয়া অঙ্গার দেহ একটি লম্বা ও অপরটি একটি খাটো প্রকৃতির হওয়ায় তারা দেহগুলো তা সুজন ও রায়হানের বলে নিশ্চিত করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া লাশগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নিহতের পরিবারের সদস্যকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে লাগা আগুনে রাসেল নামে কারখানা এক নিরাপত্তা কর্মী মারা যান। আগুনের ঘটনায় চার শ্রমিক নিখোঁজ ছিল। বুধবার ভোরে কারখানার ভেতর থেকে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। নিখোঁজ শাহজালালের ভগ্নিপতি ইমরান জানান, পুড়ে যাওয়া মৃতদেহগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে শাহজালাল যে কক্ষে কর্মরত ছিল ওই কক্ষের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার হওয়ায় ধারণা করছি এটাই শাহজালালের লাশ। আর আনোয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার চাচাতো ভাই। আনোয়ারের চাচাতো ভাই সজিব জানান, আগুনের পরপরই তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এক দেড় ঘণ্টা পর তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে গেলেও তার মুখের দাড়ি না পোড়ায় আমরা নিশ্চিত এটাই আনোয়ারের লাশ।
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে স্পিনিং মিলে আগুন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৯:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯
- ৯৪০ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ