ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র থেকে ডাক্তার পুত্র সহ পরিবারের সম্মান রক্ষায় এক পিতার মানবিক আবেদন

শাহ আলম (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে ডাক্তার পুত্র মাসুদুল হকের নামে পত্রিকায় সংবাদে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মানহানী রক্ষা সহ সঠিক খবর তুলে ধরতে এক মানবিক আবেদন জানিয়েছেন তার পিতা ডাঃ জহুরুল হক। গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের বরাবর দেওয়া এক লিখিত আবেদনে শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওই ডাক্তারের পিতা ডাঃ জহুরুল হক উল্লেখ করেছেন, তিনি দীর্ঘ ৫০ বৎসর যাবৎ কালীগঞ্জ শহরে সুনামের সাথে মানুসের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তার তিন পুত্রের মধ্যে বড় ছেলে আনোয়ার ঔষুধের ব্যবসা এবং ছোট ছেলে ফিরোজ ও তার স্ত্রী এমবিবিএস ডাক্তার রোকসানা পারভিন ইলোরা নিজস্ব দারুস শেফা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পেশায় যুক্ত আছেন। মেঝ ছেলে ডাক্তার মাসুদুল হক পার্শবর্তি মাগুরা জেলা শহরে মাগুরা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চাকুরির পাশাপাশি দীর্ঘদিন জাহান প্রাইভেট হাসপাতাল নামে নিজস্ব হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতাটি সুনামের সাথে পরিচালনা করায় ওই প্রতিষ্ঠানটি আজ ১০ তলা ভবনে উন্নিত হয়েছে। কিন্তু তার এই ব্যবসার অগ্রগতি দেখে একটি কুচক্রি মহল ইর্ষানিত হয়ে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা মনগড়া তথ্য দেওয়া সহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি আমার মেঝ ছেলে ডাঃ মাসুদুল হককে নিয়ে ভূয়া ডাক্তার, সার্টিফিকেট ভূয়া, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মানবিক বিভাগে পাশ করে ডাক্তারী করছে বলে পত্রিকায় অপপ্রচারে আমার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ ও পরিবারের সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে। উত্থাপিত ওই অভিযোগগুলি একেবারেই মিথ্যা দাবী জানিয়ে ও সঠিক তথ্যাদীর কাগজপত্র ফটোকপি দিয়ে জানান, ডাক্তার মাসুদুল হক ১৯৮৮ সালে সরকারী নলডাঙ্গা ভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থানে কৃতকার্য হয়। তার সার্টিফিকেটের সিরিয়াল নং ০৩৪৫৫ এবং রেজিষ্ট্রেশন নং- ১৮৬৬৪/১৯৮৬-৮৭ যশোর বোর্ড। এরপর ১৯৯০ সালে ঝিনাইদহের সরকারি কেসি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতকার্য হয়। সিরিয়াল নং সি ০৭৮২৮, রেজিষ্ট্রেশন নং-৭৮২১/১৯৮৮-৮৯। লিখিত আবেদনে আরো উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে ডাঃ মাসুদুল হক বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এনওসি নিয়ে ডাক্তারী পড়তে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হতে প্রস্তুতিমূলক কোর্স সম্পন্ন করা সহ ছয় বছরের ডক্টর অফ মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে ইন্টাণর্নীশিপ সম্পন্ন করেন। এবং প্র্যাকটিস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) হতে রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ করে যার নাম্বার এ ৪৩২১৪। এরপর সে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে সার্জারিতে ট্রেনিং গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবা শুরু করে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের দেওয়া মিথ্যা তথ্যে সরবরাহে বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়াতে কালীগঞ্জের ইমামুল নামে এক রোগীকে ভূল অপারেশনে পলেথিন বাধা ও তার ডাক্তারী সার্টিফিকেট নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু বাস্তব ওই ঘটনাটি হলো গত ২০০৭ সালের একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অপারেশনের পর ওই রোগীকে কোন পলেথিন ব্যাগ দেওয়া হয়নি, কলোসটমি কালেকশন রাবারের ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল। যা ওই সময়ে ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ আরো কয়েকটি পত্রিকাতে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। তারা ঐ সময় আদালতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। আদালতে ঐ ঘটনা মিথ্যা প্রমান হয় এবং আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছিল। এর কয়েক বছর পর ডাঃ মাসুদুল হক মাগুরা ডায়াবেটিক হাসপাতাল চাকরি পাওয়ার সুত্রে মাগুরাতে সপরিবারে বসবাস শুরু করে। সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ঢাকা বারডেম থেকে ডায়াবেটলজিস্ট কোর্স ও সার্টিফিকেট কোর্স অন মেডিকেল আলট্রাসনোগ্রাফী সম্পন্ন সহ মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহন করে। এরিমধ্যে ২০১২ সালে সে মাগুরাতে প্রথমে সল্প পরিসরে জাহান ক্লিনিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। তার প্রতিষ্টানটি ধীরে ধীরে সুনাম ও পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। ব্যাবসার প্রসার দেখে মাগুরার কিছু অসাধু ব্যাবসায়িক প্রতিপক্ষ ঈর্ষন্বিত হয়ে তার প্রতি বিরোধিতা ও চক্রান্ত করতে শুরু করে। লিখিত আবেদনে আরো বলা হয়, ডাঃ মাসুদুল হকের সার্টিফিকেট নিয়ে একটি কুচক্রি মহল ২০১২ সালে মাগুরায় সিভিল সার্জনের নিকট প্রশ্ন তোলে। সে সময়ে সিভিল সার্জন মহোদয়কে তার সমুদয় সার্টিফিকেট কাগজপত্র তলব করায় তিনি তা জমা দিয়েছিলেন। এবং সনদপত্র যাচাই পূর্বক সিভিল সার্জন মহোদয় ডাঃ মাসুদুল হকের সকল সনদ সঠিক আছে মর্মে অভিযোগারীদের জানিয়ে দেয়। এরপরও তার প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিরা ষড়যন্ত্র ও কুৎসা রটনা অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ তাদেরই দেওয়া অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে পত্রিকা ও মিডিয়াতে আমার ডাক্তার ছেলের বিরুদ্ধে ১২ বছর পূর্বের ঘটনা সহ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা তুলে ধরেছে। এ ঘটনার পর মাগুরা সিভিল সার্জন অফিস ওই ক্লিনিকটির কার্ষ্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দ্দেশ প্রদান সহ একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে। তাই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ক্লিনিকটির কার্ষক্রম বন্ধ রাখায় তার ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্থ সহ পরিবারের সম্মানহানী হচ্ছে। এ বিষয়ে মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ প্রদিপ কুমার ঘোষ জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পত্র পত্রিকায় জাহান ক্লিনিকটি নিয়ে প্রশ্ন উঠায় তার সাময়িক কার্ষ্যক্রম বন্ধ রাখা সহ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ওই ক্লিনিক ও ডাঃ মাসুদুল হকের কাগজপত্র বৈধতার বিষয়ে বলেন, ২০১০ সালে একবার তদন্ত করে ওই ক্লিনিক ও সকল কাগজপত্র বৈধ পাওয়া যায়। বর্তমানে ২০২১ সাল পর্ষন্ত ক্লিনিকটি পরিচালনার বৈধ অনুমোদনপ্রাপ্ত কাগজপত্র আছে বলেও জানান তিনি। বন্ধ থাকা জাহান ক্লিনিকের স্বত্বাাধিকারী ডাঃ মাসুদুল হক জানান, ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের চক্রান্তের শিকার হয়ে তার ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সহ পরিবারের সম্মানহানী হচ্ছে। তার ডাক্তারী ও জাহান ক্লিনিকের সকল বৈধ কাগজপত্র আছে। তিনি ন্যায় বিচারের দাবী জানান। আবেদনকারী পিতা জহুরুল হক তার সন্তান ডাঃ মাসুদুল হকের ডাক্তারীর সমগ্র কাগজপত্র সঠিক আছে দাবী করে জানান, তার ডাঃ পুত্র সর্ব সময়ে মাগুরা বাসীর সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। তাই কুচক্রীদের রোষানল থেকে পুত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ ও সন্মানহানী থেকে রক্ষা সহ সঠিক ঘটনা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র থেকে ডাক্তার পুত্র সহ পরিবারের সম্মান রক্ষায় এক পিতার মানবিক আবেদন

আপডেট টাইম ০২:৩৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯

শাহ আলম (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে ডাক্তার পুত্র মাসুদুল হকের নামে পত্রিকায় সংবাদে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মানহানী রক্ষা সহ সঠিক খবর তুলে ধরতে এক মানবিক আবেদন জানিয়েছেন তার পিতা ডাঃ জহুরুল হক। গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের বরাবর দেওয়া এক লিখিত আবেদনে শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওই ডাক্তারের পিতা ডাঃ জহুরুল হক উল্লেখ করেছেন, তিনি দীর্ঘ ৫০ বৎসর যাবৎ কালীগঞ্জ শহরে সুনামের সাথে মানুসের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তার তিন পুত্রের মধ্যে বড় ছেলে আনোয়ার ঔষুধের ব্যবসা এবং ছোট ছেলে ফিরোজ ও তার স্ত্রী এমবিবিএস ডাক্তার রোকসানা পারভিন ইলোরা নিজস্ব দারুস শেফা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পেশায় যুক্ত আছেন। মেঝ ছেলে ডাক্তার মাসুদুল হক পার্শবর্তি মাগুরা জেলা শহরে মাগুরা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চাকুরির পাশাপাশি দীর্ঘদিন জাহান প্রাইভেট হাসপাতাল নামে নিজস্ব হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতাটি সুনামের সাথে পরিচালনা করায় ওই প্রতিষ্ঠানটি আজ ১০ তলা ভবনে উন্নিত হয়েছে। কিন্তু তার এই ব্যবসার অগ্রগতি দেখে একটি কুচক্রি মহল ইর্ষানিত হয়ে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা মনগড়া তথ্য দেওয়া সহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি আমার মেঝ ছেলে ডাঃ মাসুদুল হককে নিয়ে ভূয়া ডাক্তার, সার্টিফিকেট ভূয়া, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মানবিক বিভাগে পাশ করে ডাক্তারী করছে বলে পত্রিকায় অপপ্রচারে আমার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ ও পরিবারের সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে। উত্থাপিত ওই অভিযোগগুলি একেবারেই মিথ্যা দাবী জানিয়ে ও সঠিক তথ্যাদীর কাগজপত্র ফটোকপি দিয়ে জানান, ডাক্তার মাসুদুল হক ১৯৮৮ সালে সরকারী নলডাঙ্গা ভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থানে কৃতকার্য হয়। তার সার্টিফিকেটের সিরিয়াল নং ০৩৪৫৫ এবং রেজিষ্ট্রেশন নং- ১৮৬৬৪/১৯৮৬-৮৭ যশোর বোর্ড। এরপর ১৯৯০ সালে ঝিনাইদহের সরকারি কেসি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতকার্য হয়। সিরিয়াল নং সি ০৭৮২৮, রেজিষ্ট্রেশন নং-৭৮২১/১৯৮৮-৮৯। লিখিত আবেদনে আরো উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে ডাঃ মাসুদুল হক বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এনওসি নিয়ে ডাক্তারী পড়তে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হতে প্রস্তুতিমূলক কোর্স সম্পন্ন করা সহ ছয় বছরের ডক্টর অফ মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে ইন্টাণর্নীশিপ সম্পন্ন করেন। এবং প্র্যাকটিস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) হতে রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ করে যার নাম্বার এ ৪৩২১৪। এরপর সে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে সার্জারিতে ট্রেনিং গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবা শুরু করে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের দেওয়া মিথ্যা তথ্যে সরবরাহে বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়াতে কালীগঞ্জের ইমামুল নামে এক রোগীকে ভূল অপারেশনে পলেথিন বাধা ও তার ডাক্তারী সার্টিফিকেট নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু বাস্তব ওই ঘটনাটি হলো গত ২০০৭ সালের একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অপারেশনের পর ওই রোগীকে কোন পলেথিন ব্যাগ দেওয়া হয়নি, কলোসটমি কালেকশন রাবারের ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল। যা ওই সময়ে ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ আরো কয়েকটি পত্রিকাতে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। তারা ঐ সময় আদালতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। আদালতে ঐ ঘটনা মিথ্যা প্রমান হয় এবং আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছিল। এর কয়েক বছর পর ডাঃ মাসুদুল হক মাগুরা ডায়াবেটিক হাসপাতাল চাকরি পাওয়ার সুত্রে মাগুরাতে সপরিবারে বসবাস শুরু করে। সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ঢাকা বারডেম থেকে ডায়াবেটলজিস্ট কোর্স ও সার্টিফিকেট কোর্স অন মেডিকেল আলট্রাসনোগ্রাফী সম্পন্ন সহ মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহন করে। এরিমধ্যে ২০১২ সালে সে মাগুরাতে প্রথমে সল্প পরিসরে জাহান ক্লিনিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। তার প্রতিষ্টানটি ধীরে ধীরে সুনাম ও পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। ব্যাবসার প্রসার দেখে মাগুরার কিছু অসাধু ব্যাবসায়িক প্রতিপক্ষ ঈর্ষন্বিত হয়ে তার প্রতি বিরোধিতা ও চক্রান্ত করতে শুরু করে। লিখিত আবেদনে আরো বলা হয়, ডাঃ মাসুদুল হকের সার্টিফিকেট নিয়ে একটি কুচক্রি মহল ২০১২ সালে মাগুরায় সিভিল সার্জনের নিকট প্রশ্ন তোলে। সে সময়ে সিভিল সার্জন মহোদয়কে তার সমুদয় সার্টিফিকেট কাগজপত্র তলব করায় তিনি তা জমা দিয়েছিলেন। এবং সনদপত্র যাচাই পূর্বক সিভিল সার্জন মহোদয় ডাঃ মাসুদুল হকের সকল সনদ সঠিক আছে মর্মে অভিযোগারীদের জানিয়ে দেয়। এরপরও তার প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিরা ষড়যন্ত্র ও কুৎসা রটনা অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ তাদেরই দেওয়া অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে পত্রিকা ও মিডিয়াতে আমার ডাক্তার ছেলের বিরুদ্ধে ১২ বছর পূর্বের ঘটনা সহ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা তুলে ধরেছে। এ ঘটনার পর মাগুরা সিভিল সার্জন অফিস ওই ক্লিনিকটির কার্ষ্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দ্দেশ প্রদান সহ একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে। তাই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ক্লিনিকটির কার্ষক্রম বন্ধ রাখায় তার ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্থ সহ পরিবারের সম্মানহানী হচ্ছে। এ বিষয়ে মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ প্রদিপ কুমার ঘোষ জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পত্র পত্রিকায় জাহান ক্লিনিকটি নিয়ে প্রশ্ন উঠায় তার সাময়িক কার্ষ্যক্রম বন্ধ রাখা সহ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ওই ক্লিনিক ও ডাঃ মাসুদুল হকের কাগজপত্র বৈধতার বিষয়ে বলেন, ২০১০ সালে একবার তদন্ত করে ওই ক্লিনিক ও সকল কাগজপত্র বৈধ পাওয়া যায়। বর্তমানে ২০২১ সাল পর্ষন্ত ক্লিনিকটি পরিচালনার বৈধ অনুমোদনপ্রাপ্ত কাগজপত্র আছে বলেও জানান তিনি। বন্ধ থাকা জাহান ক্লিনিকের স্বত্বাাধিকারী ডাঃ মাসুদুল হক জানান, ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের চক্রান্তের শিকার হয়ে তার ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সহ পরিবারের সম্মানহানী হচ্ছে। তার ডাক্তারী ও জাহান ক্লিনিকের সকল বৈধ কাগজপত্র আছে। তিনি ন্যায় বিচারের দাবী জানান। আবেদনকারী পিতা জহুরুল হক তার সন্তান ডাঃ মাসুদুল হকের ডাক্তারীর সমগ্র কাগজপত্র সঠিক আছে দাবী করে জানান, তার ডাঃ পুত্র সর্ব সময়ে মাগুরা বাসীর সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। তাই কুচক্রীদের রোষানল থেকে পুত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ ও সন্মানহানী থেকে রক্ষা সহ সঠিক ঘটনা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।