ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মতলব উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাকের ডোগায় এমপিও ভূক্ত শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য।

রিপোর্টার তপছিল হাসানঃ চাঁদপুর মতলব সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাকের ডোগায় এমপিও ভূক্ত শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চারয়ে যাচ্ছে কোচিং এর ফাদ। কোচিং এর ফাঁদে রয়েছে শিক্ষার্থীরা,আর এতে শিক্ষকদের বাড়ি হয়ে ওঠেছে এখন ‘মিনি স্কুল’। বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের পরও দুর্বল শিক্ষার্থীদের অধিক যতœ নেওয়ার নামে চাঁদপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষক কোচিং এর নামে মিনি স্কুল খুলে বসেছেন। শ্রেণি কক্ষে দুর্বল শিক্ষার্থীরা পাঠদান বুঝে উঠতে পারেনা বলেই তাদের অভিভাবকরা প্রাইভেট পড়াতে দেন। কিন্তু প্রাইভেট পড়ানোর নামে শিক্ষকরা যেন তাদের বাড়িটি স্কুলে পরিণত করেছেন। তাঁরা এক একটি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে কোচিং করান। এতে প্রাইভেট পড়ার নামে শিক্ষার্থীরা কী সঠিক পাঠদান পাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানের চেয়ে কোচিং করাতেই বেশি আগ্রহী। সেই সাথে যে সকল শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদের বিষয়ে শ্রেণি কক্ষে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন তারা। এছাড়া বিদ্যালয়ের সাময়িক, নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন কৌশলে ‘সাজশনের নামে’ আগের তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেন। আর পাবলিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীদের পাস করাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে দৌড়তে দেখা যায় তাদের। এ বিষয়ে এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ফজলে রাব্বী বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষার পদ্বতিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়িত্বে থাকেন। শিক্ষকরাও চান তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর অর্জন করে। এতে ভবিষতে আরো বেশি ছাত্র পাওয়া যাবে প্রাইভেট পড়াতে। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষকদের দৌড়-ঝাপ লক্ষ্য করা যায়। উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের দেখভালের জন্য অভিভাবকরা প্রাইভেট শিক্ষক বা কোচিং করাতে দেন। কিন্তু কোচিং করার ক্ষেত্রে অনেকের পছন্দের শিক্ষক থাকতেই পারে। তাই বলে বেশি নম্বর অর্জনের জন্য প্রশ্ন ফাস কিংবা শ্রেণি কক্ষে বৈষম্যমূলক আচরণ কোন ভাবে কাম্য নয়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন বলে করেন তারা।।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মতলব উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাকের ডোগায় এমপিও ভূক্ত শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য।

আপডেট টাইম ০২:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

রিপোর্টার তপছিল হাসানঃ চাঁদপুর মতলব সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাকের ডোগায় এমপিও ভূক্ত শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চারয়ে যাচ্ছে কোচিং এর ফাদ। কোচিং এর ফাঁদে রয়েছে শিক্ষার্থীরা,আর এতে শিক্ষকদের বাড়ি হয়ে ওঠেছে এখন ‘মিনি স্কুল’। বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের পরও দুর্বল শিক্ষার্থীদের অধিক যতœ নেওয়ার নামে চাঁদপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষক কোচিং এর নামে মিনি স্কুল খুলে বসেছেন। শ্রেণি কক্ষে দুর্বল শিক্ষার্থীরা পাঠদান বুঝে উঠতে পারেনা বলেই তাদের অভিভাবকরা প্রাইভেট পড়াতে দেন। কিন্তু প্রাইভেট পড়ানোর নামে শিক্ষকরা যেন তাদের বাড়িটি স্কুলে পরিণত করেছেন। তাঁরা এক একটি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে কোচিং করান। এতে প্রাইভেট পড়ার নামে শিক্ষার্থীরা কী সঠিক পাঠদান পাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানের চেয়ে কোচিং করাতেই বেশি আগ্রহী। সেই সাথে যে সকল শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদের বিষয়ে শ্রেণি কক্ষে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন তারা। এছাড়া বিদ্যালয়ের সাময়িক, নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন কৌশলে ‘সাজশনের নামে’ আগের তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেন। আর পাবলিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীদের পাস করাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে দৌড়তে দেখা যায় তাদের। এ বিষয়ে এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ফজলে রাব্বী বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষার পদ্বতিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়িত্বে থাকেন। শিক্ষকরাও চান তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর অর্জন করে। এতে ভবিষতে আরো বেশি ছাত্র পাওয়া যাবে প্রাইভেট পড়াতে। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষকদের দৌড়-ঝাপ লক্ষ্য করা যায়। উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের দেখভালের জন্য অভিভাবকরা প্রাইভেট শিক্ষক বা কোচিং করাতে দেন। কিন্তু কোচিং করার ক্ষেত্রে অনেকের পছন্দের শিক্ষক থাকতেই পারে। তাই বলে বেশি নম্বর অর্জনের জন্য প্রশ্ন ফাস কিংবা শ্রেণি কক্ষে বৈষম্যমূলক আচরণ কোন ভাবে কাম্য নয়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন বলে করেন তারা।।