ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

সৈয়দপুরে রাতারাতি রেলওয়ের কোটি টাকার ভবনটি গায়েব দেখার কেউ নেই

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চত্বরে অবস্থিত রেলওয়ে বিভাগের এটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই ভবনটি দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে ঈদুল ফিতরের সরকারী ছুটিকালিন সময় ওই ভবনটি ভেঙ্গে তা গায়েব করে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম। জানা যায়, সৈয়দপুর লেলওয়ে কারখানা স্থাপনকালে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত করা হয়েছিল বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ও ইন্সটিটিউট। তারই একটি ভবন হলো সৈয়দপুর গার্ডপাড়াস্থ রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ল বিআর সিং ইন্সটিটিউট। যার বিল্ডিং নম্বর জি/১২১। এই ভবনটি ছিল সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য পাঠাগার ক্লাব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছোট পরিসরের অডিটোরিয়াম। এলাকাবাসী জানায়, ব্যক্তি মালিকা সহ রেলওয়ের কিছু জমির মধ্যে স্থাপন করা হয় সৈয়দপুর পাইলট স্কুল। দিনে দিনে স্কুলটির কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি একই নামে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যার প্রবেশদ্বারেই ছিল রেলওয়ের ওই ভবনটি। ভবনটি ব্যবহার করা হতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ভবন হিসাবে। বর্তমানে ভবনটি এখন সেখানে নেই। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ মতে, রেলওয়ের কোন ভবন অপসারণ বা ভেঙ্গে ফেলতে হলে নিয়ম অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করবেন। ভবন ভাঙ্গার পর সেই ভবনে রেলওয়ের রেল সাদৃশ্য কোন বস্তু যেমন গার্ডার, বীম, রেললাইন এগুলো আইডাব্লু অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। যার কোন নিয়মই পালন করা হয়নি। বরং ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার বিল্ডিং ও উক্ত বিল্ডিং এ ব্যবহৃত বীম গার্ডার ও রেললাইন গায়েব করে দেয়া হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, কোয়াটার ও বাংলো রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অফিসের মাত্র কয়েক গজ নিকটের এই ভবনটি রাতারাতি ভেঙ্গে ফেলার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ব্যাপারে কোন খবর না রাখায় বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি ঈদের ছুটির সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার গার্ডপাড়া এলাকার জি/১২১ নম্বর বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটির অনুসন্ধানে আমরা নেমেছি। ৮ জুন সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, আমি বিষয়টি জানিনা, কারণ আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

সৈয়দপুরে রাতারাতি রেলওয়ের কোটি টাকার ভবনটি গায়েব দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম ০৯:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চত্বরে অবস্থিত রেলওয়ে বিভাগের এটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই ভবনটি দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে ঈদুল ফিতরের সরকারী ছুটিকালিন সময় ওই ভবনটি ভেঙ্গে তা গায়েব করে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম। জানা যায়, সৈয়দপুর লেলওয়ে কারখানা স্থাপনকালে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত করা হয়েছিল বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ও ইন্সটিটিউট। তারই একটি ভবন হলো সৈয়দপুর গার্ডপাড়াস্থ রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ল বিআর সিং ইন্সটিটিউট। যার বিল্ডিং নম্বর জি/১২১। এই ভবনটি ছিল সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য পাঠাগার ক্লাব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছোট পরিসরের অডিটোরিয়াম। এলাকাবাসী জানায়, ব্যক্তি মালিকা সহ রেলওয়ের কিছু জমির মধ্যে স্থাপন করা হয় সৈয়দপুর পাইলট স্কুল। দিনে দিনে স্কুলটির কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি একই নামে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যার প্রবেশদ্বারেই ছিল রেলওয়ের ওই ভবনটি। ভবনটি ব্যবহার করা হতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ভবন হিসাবে। বর্তমানে ভবনটি এখন সেখানে নেই। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ মতে, রেলওয়ের কোন ভবন অপসারণ বা ভেঙ্গে ফেলতে হলে নিয়ম অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করবেন। ভবন ভাঙ্গার পর সেই ভবনে রেলওয়ের রেল সাদৃশ্য কোন বস্তু যেমন গার্ডার, বীম, রেললাইন এগুলো আইডাব্লু অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। যার কোন নিয়মই পালন করা হয়নি। বরং ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার বিল্ডিং ও উক্ত বিল্ডিং এ ব্যবহৃত বীম গার্ডার ও রেললাইন গায়েব করে দেয়া হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, কোয়াটার ও বাংলো রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অফিসের মাত্র কয়েক গজ নিকটের এই ভবনটি রাতারাতি ভেঙ্গে ফেলার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ব্যাপারে কোন খবর না রাখায় বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি ঈদের ছুটির সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার গার্ডপাড়া এলাকার জি/১২১ নম্বর বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটির অনুসন্ধানে আমরা নেমেছি। ৮ জুন সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, আমি বিষয়টি জানিনা, কারণ আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।