ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

ঝিনাইদহ বিয়ের আসর থেকে এক ভুয়া সেনা কর্মকর্তা আটক

মোঃশাহ আলম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লাউদিয়া (রতনহাট) থেকে ৯ ই জুন রোজ রবিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় ধারী শ্রাবণ নামের এক প্রতারক কে বিয়ের আসর থেকে আটক করেছে ঝিনাইদহ থানা বে-রসিক পুলিশ। জানা গেছে শ্রাবণের প্রকৃত নাম জীবন চৌধুরী ওরফে টিটন। সে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ধান্যহাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সাখাওয়াত হোসেন জানান রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে এক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর সেকেন্ট লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে রতনহাট গ্রামে একটি মেয়েকে বিবাহ করছে। তার আচার আচারনে স্থানীয় জনসাধারণের মনে সন্দেহ হলে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ কে খবর দেয়।

এই খবরে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সাখাওয়াত হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে বিয়ের আসর থেকে আটক করে। এই সময়ে তার নিকট থেকে সেনা বাহিনীর ব্যবহার কৃত সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট নামের একটি পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়। যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী জানায় যে জীবন চৌধুরী ওরফে টিটন বিভিন্ন কখন সেনা অফিসার, র‍্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৪/৫ বিয়ে করেছে। তাছাড়া অনেক মেয়ে কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে। তার বর্তমানে একটি ছেলে সন্তান আছে। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম এলাকায় জামাত নেতা হিসাবে পরিচিত। ঝিনাইদহ সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে শ্রাবণ নামের এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতারণা মূলক কাজ করিয়া আসিতেছে। ইতিপূর্বে তার নামে মহেশপুর থানায় ৩২৪, ৩২৬.৩০৭, ৫০৬, ১১৪, ৩৪১, ৩২৩, ৩৭৯, ৫০৬, সহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১১ একটি ও ২০১২ সালে দুইটি মোট ৩ টি মামলা আছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

ঝিনাইদহ বিয়ের আসর থেকে এক ভুয়া সেনা কর্মকর্তা আটক

আপডেট টাইম ০২:৩৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০১৯

মোঃশাহ আলম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লাউদিয়া (রতনহাট) থেকে ৯ ই জুন রোজ রবিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় ধারী শ্রাবণ নামের এক প্রতারক কে বিয়ের আসর থেকে আটক করেছে ঝিনাইদহ থানা বে-রসিক পুলিশ। জানা গেছে শ্রাবণের প্রকৃত নাম জীবন চৌধুরী ওরফে টিটন। সে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ধান্যহাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সাখাওয়াত হোসেন জানান রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে এক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর সেকেন্ট লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে রতনহাট গ্রামে একটি মেয়েকে বিবাহ করছে। তার আচার আচারনে স্থানীয় জনসাধারণের মনে সন্দেহ হলে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ কে খবর দেয়।

এই খবরে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সাখাওয়াত হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে বিয়ের আসর থেকে আটক করে। এই সময়ে তার নিকট থেকে সেনা বাহিনীর ব্যবহার কৃত সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট নামের একটি পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়। যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী জানায় যে জীবন চৌধুরী ওরফে টিটন বিভিন্ন কখন সেনা অফিসার, র‍্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৪/৫ বিয়ে করেছে। তাছাড়া অনেক মেয়ে কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে। তার বর্তমানে একটি ছেলে সন্তান আছে। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম এলাকায় জামাত নেতা হিসাবে পরিচিত। ঝিনাইদহ সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে শ্রাবণ নামের এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতারণা মূলক কাজ করিয়া আসিতেছে। ইতিপূর্বে তার নামে মহেশপুর থানায় ৩২৪, ৩২৬.৩০৭, ৫০৬, ১১৪, ৩৪১, ৩২৩, ৩৭৯, ৫০৬, সহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১১ একটি ও ২০১২ সালে দুইটি মোট ৩ টি মামলা আছে।