ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

শ্রীপুর পৌরসভার সড়ক চলাচলের একেবারেই অনোপযোগী

মোঃ মেহেদী হাসান, গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক সড়কের অধিকাংশ অংশে পিচ উঠে গেছে প্রায় এগারো বছর। সড়কটি দেখলে মনেই হবে না এটি একটি পৌর-এলাকার সড়ক। তিন কিলোমিটার সড়ক যেন এখন পরিণীত হয়েছে নর্দমায়। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে পানি থইথই করে। এখন কাদা জমে চাষ জমির রূপ নিয়েছে সড়কটি। শুকনোকালে ওড়ে বালু চার পাশ হয়ে যায় অন্ধকার। তিন কিলোমিটার সড়কটি আনসার রোড থেকে বহেরার চালা নতুন বাজার হয়ে এক্স সিরামিক্সপর্যন্ত। স্থানীয় পথচারী ও এলাকার সাধারন লোকেরা বলছেন, গত এক দিনের বৃষ্টিতে সড়কটি দিয়ে হাঁটাই দায় হয়ে পড়েছে। পুরো সড়কে কাদাপানি। এক্স-সিরামিক্স থেকে মাঝে মধ্যে ফেলা ইটগুলো সরে সেটি এখন কাঁচা সড়কে রূপ নিয়েছে। সড়কটি আবেদ আলী গার্লস হাই স্কুল, আলহাজ্ব ধনাই বেপারি হাই স্কুল সহ স্থানীয় পাঁচটি মসজিদ, দশটি ছোট বড় স্কুল প্রতিষ্ঠান, বারোটি গার্মেন্টস কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের একমাত্র পথ । এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন ২৫ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারী আসা-যাওয়া করেন। স্কুলের শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী, গার্মেন্টস শ্রমিকেরা যাতায়াত করেন। সড়কটি ২০০৪ সালের শেষ দিকে নির্মান করা হয়, কিন্তু ২০০৭ সালের দিকে সড়কটির পিচ ডালাই ও খোয়া উঠে গর্ত তৈরি হয়। এরপর কয়েক দফা গর্ত ভরাট করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ও ভারী যানবাহনের চাপে তা টেকে না। দুই পাশে পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এরপর দিনের পর দিন সেটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল জানান, বাসা থেকে বেরহয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে পানি ও কাদাযুক্ত সড়ক মাড়িয়ে যেতে হয়। বছরের পর বছর এ অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু এ সড়ক সংস্কার হচ্ছে না। গত রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আনসার রোড মোড় থেকে শুরু করে সম্পুর্ন সড়ক জুড়ে প্রচুর কাদা ও পানি জমে আছে। এর ওপর দিয়ে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন বাহন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের সুনামধন্য কাউন্সিলর হাবিব উল্লাহ ভাই বলেন, ২০২০ সালের আগেই সড়োকটি দুই পাশে ড্রেন সহ কংক্রিডের ডালাই দিয়ে সড়কটি নির্মান করা হবে। শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান কামাল জানান , এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল পরিণতির ফলে গাড়ি ভাড়ার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন যাতায়েত করতে হয়। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সকলের আবেদন একটাই এই সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

শ্রীপুর পৌরসভার সড়ক চলাচলের একেবারেই অনোপযোগী

আপডেট টাইম ১১:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯

মোঃ মেহেদী হাসান, গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক সড়কের অধিকাংশ অংশে পিচ উঠে গেছে প্রায় এগারো বছর। সড়কটি দেখলে মনেই হবে না এটি একটি পৌর-এলাকার সড়ক। তিন কিলোমিটার সড়ক যেন এখন পরিণীত হয়েছে নর্দমায়। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে পানি থইথই করে। এখন কাদা জমে চাষ জমির রূপ নিয়েছে সড়কটি। শুকনোকালে ওড়ে বালু চার পাশ হয়ে যায় অন্ধকার। তিন কিলোমিটার সড়কটি আনসার রোড থেকে বহেরার চালা নতুন বাজার হয়ে এক্স সিরামিক্সপর্যন্ত। স্থানীয় পথচারী ও এলাকার সাধারন লোকেরা বলছেন, গত এক দিনের বৃষ্টিতে সড়কটি দিয়ে হাঁটাই দায় হয়ে পড়েছে। পুরো সড়কে কাদাপানি। এক্স-সিরামিক্স থেকে মাঝে মধ্যে ফেলা ইটগুলো সরে সেটি এখন কাঁচা সড়কে রূপ নিয়েছে। সড়কটি আবেদ আলী গার্লস হাই স্কুল, আলহাজ্ব ধনাই বেপারি হাই স্কুল সহ স্থানীয় পাঁচটি মসজিদ, দশটি ছোট বড় স্কুল প্রতিষ্ঠান, বারোটি গার্মেন্টস কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের একমাত্র পথ । এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন ২৫ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারী আসা-যাওয়া করেন। স্কুলের শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী, গার্মেন্টস শ্রমিকেরা যাতায়াত করেন। সড়কটি ২০০৪ সালের শেষ দিকে নির্মান করা হয়, কিন্তু ২০০৭ সালের দিকে সড়কটির পিচ ডালাই ও খোয়া উঠে গর্ত তৈরি হয়। এরপর কয়েক দফা গর্ত ভরাট করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ও ভারী যানবাহনের চাপে তা টেকে না। দুই পাশে পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এরপর দিনের পর দিন সেটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল জানান, বাসা থেকে বেরহয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে পানি ও কাদাযুক্ত সড়ক মাড়িয়ে যেতে হয়। বছরের পর বছর এ অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু এ সড়ক সংস্কার হচ্ছে না। গত রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আনসার রোড মোড় থেকে শুরু করে সম্পুর্ন সড়ক জুড়ে প্রচুর কাদা ও পানি জমে আছে। এর ওপর দিয়ে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন বাহন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের সুনামধন্য কাউন্সিলর হাবিব উল্লাহ ভাই বলেন, ২০২০ সালের আগেই সড়োকটি দুই পাশে ড্রেন সহ কংক্রিডের ডালাই দিয়ে সড়কটি নির্মান করা হবে। শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান কামাল জানান , এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল পরিণতির ফলে গাড়ি ভাড়ার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন যাতায়েত করতে হয়। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সকলের আবেদন একটাই এই সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।