স্টাফ রির্পোটার: সিদ্ধিরগঞ্জে আ’লীগের সিনিয়র নেতাদের নামে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ শেয়ারকারী আ’লীগ বিদ্বেষী সেভেন মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী রতনের সহযোগী দারোয়ানের পোলা আল-আমীনের নজর এবার সাইলো এলাকার তেল চোরদের উপর পরেছে। তাইতে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তেল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটার্স দিয়েছে। সেই স্ট্যাটার্স মতে সাইলোতে যারা তেল ব্যবসা করছেন তারা সকলেই তেল চোর। আল-আমীন তার ফেসবুকে স্ট্যাটার্সে লিখেছে, সিদ্ধিরগঞ্জে বেড়ে গেছে তেল চুরির রমরমা ব্যবসা। এখন সব এলাকাতেই বিশেষ অভিযান দেখে তেল চুরি করার ব্যবসায়ীরা সাইলো এলাকাকে নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নিয়েছে। এরপর সে একটি তেল চুরির ছবি পোষ্ট করেছে। এই ছবিতে তেলের হাউজের জায়গায় মালিক মোহাম্মদ আলী খালি গায়ে দেখা য়ায়। এই মোহাম্মদ আলী জায়গার মালিক। তিনি তো তেল চোর না। কিন্তু আল-আমীনের ভাষায় এই মোহাম্মদ আলী ও তেল চোর তাই বুঝাতে চাইছে আলামিন। এই আল-আমিন এখন এলাকায় খুব আলোচনায়। সকলের প্রশ্ন সভেন মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী রতনের সহযোগী দারোয়ানের পোলা আল-আমীনের খুটির জোর কোথায়? সে কার জোরে যার তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে। একবার সাংবাদিকদের নিয়ে, আবার আ’লীগ সিনিয়র নেতা যেমন আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, হাজী ইয়াছিন মিয়া, আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতিসহ অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী সংবাদ শেয়ার, সর্বশেষ তেল ব্যবসায়ীদেরকে তেল চোর বলে মন্তব্য। খোজ নিয়ে জানা যায়, সাইলো এলাকায় হযরত আলা হয়রত এন্টারপ্রাইজ, সাদ্দাম এন্টারপ্রাইজ, মতিউর রহমান মতি ট্রেডার্স এর তেলের হাউস রয়েছে। আল-আমীনের ভাষ্য মতে এরা সবাই কি তেল চোর? এই ব্যাপারে আল-আমীন জানায়, এই সকল তেলের হাউস তাদের এলাকার পরিবেশ দুষিত করছে। তাই সে এই বিষয় নিয়ে স্ট্যাটার্স দিয়েছে। এদিকে সাইলো এলাকার কয়েকজন আল-আমীনের ব্যাপারে বলেন, কেহ না কেহ আল-আমীনের পিছন থেকে তাকে নিয়ে খেলছে। তা না হলে তের ব্যবসা, সাংবাদিক ও আ’লীগ নেতাদের নিয়ে বিদ্বেষ করা আল-আমীনের এতো সাহস হবে না বলে তারা মনে করেন। কারন, সিদ্ধিরগঞ্জের কোন আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলেই সবার আগে শেয়ার করে এই আল-আমীন। তার ফেসবুক আইডিতে এর প্রমান পাওয়া গেছে। এর উদ্দেশ্য কি? স্থানীয় আ’লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের দাবী আল-আমীনকে গ্রেফতার করে এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তা বাহির করা হোক? এদিকে খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, আল-আমিন আন্ত:জেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের মিজানুর রহমান দিপুর সেকেন্ড ইন কমান্ড। সে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে চাদা সংগ্রহ করে দিপুর হাতে তুলে দেয়। এছাড়া পাওয়ার প্লান্টের বিভিন্ন চাদাবাজির কাজগুলো আল-আমিন করে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত দিনে ৩৩৫ মেঘাওয়ার্ড জিএল এনডি স্টোর থেকে স্টোর কিপারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই আল-আমীনের মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সরকার ও নেড এনডি, এক্সসেপটা, সামসাং-এ লুটপাট করছে এই আল-আমীনের মাধ্যমে। এদের মধ্যে কোনটায় গ্যাস দেওয়া, লোক দেয়ার কাজ করে আল-আমীন। ভিতর থেকে লোহা এনে তা বিক্রি করে দেয় এই আল-আমীন। শ্রমিকদের বেতন থেকেও কমিশন খায় সে। সামস্যাং কোম্পানীর বিপুল পরিমানে ট্রান্সফর্মার তেল বের করে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে আল-আমিনের বিরুদ্ধে। আ’লীগ নেতাদের নিয়ে বিদ্বেষ সৃস্টিকারী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তিকারী ও তেল ব্যবসায়ীদের তেল চোর বলে সম্বন্ধনকারী আল-আমীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছে বিভিন্ন মহল