ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া … “বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল

হরিণাকুন্ডু থানায় জিডি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার! ভ্যানচালক

মোঃশাহ আলম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়ে পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন ছকির উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। রবিবার সকালে থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার হুমকি দেওয়ার পর থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্তি গ্রামের ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিন। সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জিডি নিতে গড়িমসি করেন। তাকে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান এর কাছে যেতে বলেন। ভ্যানচালক ছকির একটি লিখিত ডায়েরী নিয়ে ওসি’র কাছে গেলে তিনি নিজে স্থাণীয় এক সাংবাদিকের সামনে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান নির্দেশ দেন তাকে থানা গারদে ডুকাতে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডায়েরি করতে গিয়ে সামান্য একজন দিনমজুর বিনা অপরাধে ৭ ঘন্টা থানা গারদে থাকতে হয়। এর পর নিরীহ ছকির ওসির হাতেপায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি করতে থাকে। তারপরও তাকে আটক করে থানা গারদে পাঠানো হয়। তার দেওয়া ডায়েরি অনুসারে জানাযায়, ছকির উদ্দিন গত ১৬-০৫-২০১৯ইং তারিখে প্রতিবেশী আশরাফুলের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং পরে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয় ভাবে আপোষ-মিমাংসা হওয়ায় পরের দিন ১৭-০৫-২০১৯ ইং তারিখে সে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করায় তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের মেম্বর আনিচুর রহমান ও তার লোকজন বসতবাড়িতে গিয়ে ছকিরউদ্দিনকে ভয়ভীতির হুমকি এবং এক পর্যায়ে তাকে খুন করার হুমকি দেয়। হত্যার হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য সে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হরিণাকুন্ডু থানার ওসি তার কোন কথায় না শুনে তাকে মারতে যায় এবং থানা গারদে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। একটি শার্তানেসি মহলকে খুশি এবং তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সামান্য একজন দিনমজুর ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিনকে থানা গারদে সাত ঘন্টা আটকে রাখে। তাকে ব্যবহার করে থানার ওসি, আনিচ মেম্বরসহ একটি মহল মোটা অংকের বানিজ্য করতে চেয়েছিল। স্থানীয় একটি গ্রুপের প্ররোচনায় ছকিরউদ্দিন অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়। প্রতিবেশিদের সাথে মিমাংসা হওয়ায় ওসি ও মেম্বরসহ সকলের বানিজ্য ভন্ডুল হয়ে যাওয়ায় ছকির উদ্দিনের উপর তারা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। এইসব কারনেই ছকির থানায় জিডি করতে গেলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

হরিণাকুন্ডু থানায় জিডি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার! ভ্যানচালক

আপডেট টাইম ০৫:২১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

মোঃশাহ আলম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়ে পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন ছকির উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। রবিবার সকালে থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার হুমকি দেওয়ার পর থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্তি গ্রামের ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিন। সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জিডি নিতে গড়িমসি করেন। তাকে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান এর কাছে যেতে বলেন। ভ্যানচালক ছকির একটি লিখিত ডায়েরী নিয়ে ওসি’র কাছে গেলে তিনি নিজে স্থাণীয় এক সাংবাদিকের সামনে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান নির্দেশ দেন তাকে থানা গারদে ডুকাতে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডায়েরি করতে গিয়ে সামান্য একজন দিনমজুর বিনা অপরাধে ৭ ঘন্টা থানা গারদে থাকতে হয়। এর পর নিরীহ ছকির ওসির হাতেপায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি করতে থাকে। তারপরও তাকে আটক করে থানা গারদে পাঠানো হয়। তার দেওয়া ডায়েরি অনুসারে জানাযায়, ছকির উদ্দিন গত ১৬-০৫-২০১৯ইং তারিখে প্রতিবেশী আশরাফুলের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং পরে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয় ভাবে আপোষ-মিমাংসা হওয়ায় পরের দিন ১৭-০৫-২০১৯ ইং তারিখে সে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করায় তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের মেম্বর আনিচুর রহমান ও তার লোকজন বসতবাড়িতে গিয়ে ছকিরউদ্দিনকে ভয়ভীতির হুমকি এবং এক পর্যায়ে তাকে খুন করার হুমকি দেয়। হত্যার হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য সে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হরিণাকুন্ডু থানার ওসি তার কোন কথায় না শুনে তাকে মারতে যায় এবং থানা গারদে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। একটি শার্তানেসি মহলকে খুশি এবং তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সামান্য একজন দিনমজুর ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিনকে থানা গারদে সাত ঘন্টা আটকে রাখে। তাকে ব্যবহার করে থানার ওসি, আনিচ মেম্বরসহ একটি মহল মোটা অংকের বানিজ্য করতে চেয়েছিল। স্থানীয় একটি গ্রুপের প্ররোচনায় ছকিরউদ্দিন অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়। প্রতিবেশিদের সাথে মিমাংসা হওয়ায় ওসি ও মেম্বরসহ সকলের বানিজ্য ভন্ডুল হয়ে যাওয়ায় ছকির উদ্দিনের উপর তারা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। এইসব কারনেই ছকির থানায় জিডি করতে গেলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।