ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

সৈয়দপুরে ২৮ মহিলার ভিজিডি’র সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :  নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ২৮ জন মহিলার ভিজিডি’র সঞ্চয়ের প্রায় ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মহিলারা প্রায় ৫ মাস যাবত টাকা উত্তোলনের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বার বার ধর্ণা দিয়েও তাদের সঞ্চয় উদ্ধার করতে পারেনি। এমতাবস্থায় হতদরিদ্র ওই মহিলারা চরম হতাশায় পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের মো: আনোয়ার হোসেন’র স্ত্রী মোছা: তাজমুন নেছা যার কার্ড নং ৭৯। তিনি জানান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অধিনে হতদরিদ্র মহিলাদের জন্য ভিজিডি’র মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ চাল নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কার্ড সংগ্রহ করা এবং প্রতিমাসে চাল নেয়ার সময় সঞ্চয় বাবদ ন্যুনতম ১০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। এভাবে ২ বছর যাবত চাল নেয়ার সময় সঞ্চয় করলে মেয়াদ শেষে সমুদয় সঞ্চয় ও লভ্যাংশ একসাথে দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ২৮ জন নারী তাদের সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বার বার ধর্না দিয়েও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। তারা একবার বলছেন টাকা পাওয়া যাবে আবার বলছেন আপনাদের সঞ্চয় যে এনজিও’র মাধ্যমে কালেকশন করা হয়েছিল তারা প্রকল্প শেষে চলে গেছে। তাই তাদের কাছ থেকে টাকা না পাওয়া গেলে দেয়া সম্ভব হবেনা। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জন মহিলার প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার অবস্থা দেখা দিয়েছে। তাজমুন নেছ্ধাসঢ়; আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করা সহ টাকাগুলো আত্মসাতের অপচেষ্টা করছেন। তা না হলে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সকল মহিলা তাদের ভিজিডি’র সঞ্চয়ের টাকা পেলেও আমাদের ক্ষেত্রে কেন এনজিও’র দোহাই দেয়া হচ্ছে। এমনকি বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রুপের মহিলারাও তাদের সঞ্চয় পেয়েছে। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান দাবি করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকার বিষয়ে জানার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গেলে অফিসের কর্মচারী হামিদুর রহমান আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং সমাধান হলে ডেকে নিয়ে টাকা দেয়া হবে বলে অফিসে বার বার না আসার জন্য ধামকি দেন। পরে অবশ্য সঞ্চয় উত্তোলনের জন্য টাকা খরচ করতে হবে বলে জানান হামিদুর। এ ব্যাপারে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রণোবেশ চন্দ বাগচী জানান, অধিকাংশ মহিলারাই সঞ্চয়ের টাকা পেয়েছে। ২৯ জনের টাকা নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছে তবে অচিরেই তারা টাকা পাবেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুর নাহার শাহজাদীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মূলত: ওই ২৮ জন মহিলার সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন করতো ঝিনাইদহের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট এক্সিবিউটিভ সোসাইটি (ডাস্ধসঢ়;) নামের একটি এনজিও। তারা প্রকল্প শেষে চলে যাওয়ার সময় হিসেবে বেশ গড়মিল রেখে যায়। যে কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের। দ্রুতই এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং মহিলারা তাদের সঞ্চয়ের টাকা অবশ্যই পাবেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

সৈয়দপুরে ২৮ মহিলার ভিজিডি’র সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৮:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :  নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ২৮ জন মহিলার ভিজিডি’র সঞ্চয়ের প্রায় ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মহিলারা প্রায় ৫ মাস যাবত টাকা উত্তোলনের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বার বার ধর্ণা দিয়েও তাদের সঞ্চয় উদ্ধার করতে পারেনি। এমতাবস্থায় হতদরিদ্র ওই মহিলারা চরম হতাশায় পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের মো: আনোয়ার হোসেন’র স্ত্রী মোছা: তাজমুন নেছা যার কার্ড নং ৭৯। তিনি জানান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অধিনে হতদরিদ্র মহিলাদের জন্য ভিজিডি’র মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ চাল নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কার্ড সংগ্রহ করা এবং প্রতিমাসে চাল নেয়ার সময় সঞ্চয় বাবদ ন্যুনতম ১০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। এভাবে ২ বছর যাবত চাল নেয়ার সময় সঞ্চয় করলে মেয়াদ শেষে সমুদয় সঞ্চয় ও লভ্যাংশ একসাথে দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ২৮ জন নারী তাদের সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বার বার ধর্না দিয়েও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। তারা একবার বলছেন টাকা পাওয়া যাবে আবার বলছেন আপনাদের সঞ্চয় যে এনজিও’র মাধ্যমে কালেকশন করা হয়েছিল তারা প্রকল্প শেষে চলে গেছে। তাই তাদের কাছ থেকে টাকা না পাওয়া গেলে দেয়া সম্ভব হবেনা। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জন মহিলার প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার অবস্থা দেখা দিয়েছে। তাজমুন নেছ্ধাসঢ়; আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করা সহ টাকাগুলো আত্মসাতের অপচেষ্টা করছেন। তা না হলে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সকল মহিলা তাদের ভিজিডি’র সঞ্চয়ের টাকা পেলেও আমাদের ক্ষেত্রে কেন এনজিও’র দোহাই দেয়া হচ্ছে। এমনকি বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রুপের মহিলারাও তাদের সঞ্চয় পেয়েছে। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান দাবি করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকার বিষয়ে জানার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গেলে অফিসের কর্মচারী হামিদুর রহমান আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং সমাধান হলে ডেকে নিয়ে টাকা দেয়া হবে বলে অফিসে বার বার না আসার জন্য ধামকি দেন। পরে অবশ্য সঞ্চয় উত্তোলনের জন্য টাকা খরচ করতে হবে বলে জানান হামিদুর। এ ব্যাপারে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রণোবেশ চন্দ বাগচী জানান, অধিকাংশ মহিলারাই সঞ্চয়ের টাকা পেয়েছে। ২৯ জনের টাকা নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছে তবে অচিরেই তারা টাকা পাবেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুর নাহার শাহজাদীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মূলত: ওই ২৮ জন মহিলার সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন করতো ঝিনাইদহের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট এক্সিবিউটিভ সোসাইটি (ডাস্ধসঢ়;) নামের একটি এনজিও। তারা প্রকল্প শেষে চলে যাওয়ার সময় হিসেবে বেশ গড়মিল রেখে যায়। যে কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের। দ্রুতই এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং মহিলারা তাদের সঞ্চয়ের টাকা অবশ্যই পাবেন।