ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বেনাপোল বন্দরে চুরির মালামাল নিয়ে মারামারি

শার্শা(যশোর)প্রতিনিধিঃ বেনাপোল স্থল বন্দর এর বিভিন্ন পন্যাগার থেকে মালামাল চুরির ঘটনা নতুন নয়। বন্দরের এক শ্রেনীর অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন পন্যাগার থেকে মালামাল চুরির পাশাপাশি শুল্ক চুরি চক্রের কাজেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কখনো কখনো এরকম ঘটনার কথা কম বেশী উদঘাটিত হলেও তার কোন শাস্তি মুলক প্রতিকার হয়না। এরকম একটি ঘটনা আবার ঘটেছে গত ১৭ এপ্রিল বন্দরের ৩৭ নং শেড বা পন্যাগারে। ওই শেডের ইনচার্জ সবুজ চন্দ্র রায় ওই দিন রাত্রে একটি পন্য চালানের কিছু মাল চুরি করে সরিয়ে রাখে। এই ঘটনা শেডের পন্য কর্মচারীরা টের পেলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যার পরিনতিতে চরম মারামারিতে সংঘটিত হয়। এর পরই ওই শেডের অনেক  তথ্য বেরিয়ে আসে।
জানা গেছে ৩৭ নং শেড এর ইনচার্জদ্বয় জাভেদ-ই বিল্লাহ ও গোলাম মোস্তফা অন্যত্র বদলী হওয়ার পর এই শেড এর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন সবুজ চন্দ্র রায়। দায়িত্ব পাওয়ার পর বেনাপোল বন্দর এর একটি চিহিৃত শুল্ক চোর চক্রের ইন্ধনে এই লোকটি পরিচালিত হতে থাকেন। ঘোষনা বহির্ভুত মালামাল শেড অভ্যান্তরে নামানো, কম দামি মালের বদলে বেশী দামের পন্য চালান সরবরাহ দেওয়া, মেনিফেস্ট ছাড়া মাল উঠানামনোই সহযোগিতা করা ইত্যকার নানান অপকর্মে এই লোকটি জড়িয়ে পড়ে বলে একাধিক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এই শেড থেকে এই ব্যাক্তির ছেড়ে দেওয়া একটি পন্য চালান কাস্টমস এর গোয়েন্দা শাখার হাতে সম্প্রতি ধরা পড়ার পর ওই পন্য চালানে অতিরিক্ত ৩০ লাখ টাকা শুল্ক আদায় করা হয়েছে। কাগজপত্র ছাড়া কাস্টমস কার্গো শাখার এন্ট্রি ছাড়াই ঢুকে পড়া হরেক রকমের শুল্ক চুরির পন্যাদি উঠানামানোর কাজে এই শেডটি অনেকদিন যাবৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে বন্দর এর বেশ কয়জন  কর্মচারী অভিযোগ উঠিয়েছেন।
এব্যাপারে সবুজ চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তা বানোয়াট। বরং আমি একটি পন্য চালানের খালাসকারী সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর কাছ থেকে ৪ টি ইনার প্যাকেজ (কসমসেটিক্স, ইমিটেশন) পন্য  চেয়েনি। অথচ আমাকে অহেতুক এই ঘটনার রেশ ধরে শেড ইনচার্জ হাফিজুর রহমান কিল, ঘুষি, লাথি মেরে চরম ভাবে অপদস্থ করে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাফিজ বলেন, আসল ঘটনা ভিন্ন।প্রকৃতপক্ষে সবুজ চন্দ্র রায় এই শেড এর দায়িত্বে আসার পর থেকেই ঘোষনা বহির্ভুত পন্য নামানো, ম্যানিফেষ্ট ছাড়া পন্য নামানো উঠানোর কাজে সহযোগিতা করা, কমদামি পন্য ছাড় করার অনুমতি পত্র নিয়ে পাশে থাকা দামি পন্য সরবরাহ করার কাজে  সহযোগিতা করা ইত্যকার সব অপকর্ম চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে শুল্ক চুরির ঘোষনা বহির্ভুত মালামাল এই লোকটির সহযোগিতায় পন্যাগারটির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়, যাতে চুরির প্রকৃত ঘটনা ধরা না পড়ে।  আমি এসব অপকর্মের  প্রতিবাদ করায় তিনি  মিথ্যা মারধরের অভিযোগ করছেন। আমি এ ব্যাপারে বন্দরের ট্রাফিক পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাসের নিকট একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছি।
এ ব্যাপারে বন্দর পরিচালককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে উপ-পরিচালক মামুন কবির তালুকদার টেলিফেনে বলেন, এটা আমাদের একটি ইন্টারনাল ব্যাপার। আমি ঢাকায় রয়েছি, বেনাপোলে এসে এসব বিষয় কথা বলব।
এদিকে সবুজ চন্দ্র রায় এসব ঘটনার কথা যাতে সংবাদ মাধ্যমে না আসে সে ব্যাপারে বন্দর এর অপর একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর খোদাবক্স লিটনকে দিয়ে মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বেনাপোল বন্দরে চুরির মালামাল নিয়ে মারামারি

আপডেট টাইম ০৪:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯
শার্শা(যশোর)প্রতিনিধিঃ বেনাপোল স্থল বন্দর এর বিভিন্ন পন্যাগার থেকে মালামাল চুরির ঘটনা নতুন নয়। বন্দরের এক শ্রেনীর অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন পন্যাগার থেকে মালামাল চুরির পাশাপাশি শুল্ক চুরি চক্রের কাজেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কখনো কখনো এরকম ঘটনার কথা কম বেশী উদঘাটিত হলেও তার কোন শাস্তি মুলক প্রতিকার হয়না। এরকম একটি ঘটনা আবার ঘটেছে গত ১৭ এপ্রিল বন্দরের ৩৭ নং শেড বা পন্যাগারে। ওই শেডের ইনচার্জ সবুজ চন্দ্র রায় ওই দিন রাত্রে একটি পন্য চালানের কিছু মাল চুরি করে সরিয়ে রাখে। এই ঘটনা শেডের পন্য কর্মচারীরা টের পেলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যার পরিনতিতে চরম মারামারিতে সংঘটিত হয়। এর পরই ওই শেডের অনেক  তথ্য বেরিয়ে আসে।
জানা গেছে ৩৭ নং শেড এর ইনচার্জদ্বয় জাভেদ-ই বিল্লাহ ও গোলাম মোস্তফা অন্যত্র বদলী হওয়ার পর এই শেড এর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন সবুজ চন্দ্র রায়। দায়িত্ব পাওয়ার পর বেনাপোল বন্দর এর একটি চিহিৃত শুল্ক চোর চক্রের ইন্ধনে এই লোকটি পরিচালিত হতে থাকেন। ঘোষনা বহির্ভুত মালামাল শেড অভ্যান্তরে নামানো, কম দামি মালের বদলে বেশী দামের পন্য চালান সরবরাহ দেওয়া, মেনিফেস্ট ছাড়া মাল উঠানামনোই সহযোগিতা করা ইত্যকার নানান অপকর্মে এই লোকটি জড়িয়ে পড়ে বলে একাধিক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এই শেড থেকে এই ব্যাক্তির ছেড়ে দেওয়া একটি পন্য চালান কাস্টমস এর গোয়েন্দা শাখার হাতে সম্প্রতি ধরা পড়ার পর ওই পন্য চালানে অতিরিক্ত ৩০ লাখ টাকা শুল্ক আদায় করা হয়েছে। কাগজপত্র ছাড়া কাস্টমস কার্গো শাখার এন্ট্রি ছাড়াই ঢুকে পড়া হরেক রকমের শুল্ক চুরির পন্যাদি উঠানামানোর কাজে এই শেডটি অনেকদিন যাবৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে বন্দর এর বেশ কয়জন  কর্মচারী অভিযোগ উঠিয়েছেন।
এব্যাপারে সবুজ চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তা বানোয়াট। বরং আমি একটি পন্য চালানের খালাসকারী সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর কাছ থেকে ৪ টি ইনার প্যাকেজ (কসমসেটিক্স, ইমিটেশন) পন্য  চেয়েনি। অথচ আমাকে অহেতুক এই ঘটনার রেশ ধরে শেড ইনচার্জ হাফিজুর রহমান কিল, ঘুষি, লাথি মেরে চরম ভাবে অপদস্থ করে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাফিজ বলেন, আসল ঘটনা ভিন্ন।প্রকৃতপক্ষে সবুজ চন্দ্র রায় এই শেড এর দায়িত্বে আসার পর থেকেই ঘোষনা বহির্ভুত পন্য নামানো, ম্যানিফেষ্ট ছাড়া পন্য নামানো উঠানোর কাজে সহযোগিতা করা, কমদামি পন্য ছাড় করার অনুমতি পত্র নিয়ে পাশে থাকা দামি পন্য সরবরাহ করার কাজে  সহযোগিতা করা ইত্যকার সব অপকর্ম চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে শুল্ক চুরির ঘোষনা বহির্ভুত মালামাল এই লোকটির সহযোগিতায় পন্যাগারটির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়, যাতে চুরির প্রকৃত ঘটনা ধরা না পড়ে।  আমি এসব অপকর্মের  প্রতিবাদ করায় তিনি  মিথ্যা মারধরের অভিযোগ করছেন। আমি এ ব্যাপারে বন্দরের ট্রাফিক পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাসের নিকট একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছি।
এ ব্যাপারে বন্দর পরিচালককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে উপ-পরিচালক মামুন কবির তালুকদার টেলিফেনে বলেন, এটা আমাদের একটি ইন্টারনাল ব্যাপার। আমি ঢাকায় রয়েছি, বেনাপোলে এসে এসব বিষয় কথা বলব।
এদিকে সবুজ চন্দ্র রায় এসব ঘটনার কথা যাতে সংবাদ মাধ্যমে না আসে সে ব্যাপারে বন্দর এর অপর একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর খোদাবক্স লিটনকে দিয়ে মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন।