ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী গোদাগাড়ীর ছয়ঘাটিতে রাতের আঁধারে ২০ বিঘা ফসলী জমির মাটি বিক্রির অভিযোগ হবিগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গৃহবধুর নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে গেছে –২৪ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মাধ্যমে ‘বরগুনা জেলার সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ’ মামলার পলাতক প্রধান আসামি খলিল ও বশির’কে রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-০৮ এর যৌথ আভিযানিক দল। –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ @ গুটি সোহাগসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। ডেমরার পরে আবারো সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীর কাছে হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক কর্মীরা ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ কর্তৃক ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন। সিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের রেকার অপারেটর সোহেলের আত্মকাহিনী দৈনিক মাতৃভূমির খবর ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ‘””শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ”” উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি

উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে;গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম, এমপি বলেছেন, ‘উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা শুধু উন্নয়নের কথা এখন বলতে চাই না। বলতে চাই টেকসই উন্নয়নের কথা। কোনভাবেই যেনো একটি সৃষ্টি বিপন্নতার দিকে চলে না যায়। গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী বা নির্মাণ কাজে সম্পৃক্তদের আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা, সততা আর নিষ্ঠার দ্বারা কাজ না হলে সে কাজের ক্ষতি হবে সুদূরপ্রসারী। ফলে দায়-দায়িত্বের জায়গা আমাদের কঠিন ও কঠোরভাবে মনে-প্রাণে বোধ করতে হবে’। রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথো বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্র, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, বিপন্ন ও তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। যাদের ত্যাগে, শ্রমে ও অর্থে আজ আমরা এখানে এসেছি, আমাদের সবচেয়ে বড় দায় তাদের জন্য। আর তাদের জন্য দায়ের জায়গায়টি হচ্ছে, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে’। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বড় ধরণের উন্নয়নে চালিকা শক্তি বা ক্যাপ্টেন আপনারা। সে কারণে আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের সঙ্গে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সকলে সম্পৃক্ত। তাই আপনাদের কাজের পরিসর আরো বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে গুণগত মানের। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র তেরো মাসে বিশতলা ভবন পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করার কৃতিত্ব যারা নিতে পারেন তাদের কেনো ছোটখাটো বিষয়ে বদনামের বোঝা নিতে হবে। আপনারা প্রমাণ করেছেন, আপনাদের যোগ্যতা, দক্ষতা অনেকের চেয়ে অনেক বেশী। সেই দক্ষতা, যোগ্যতার বিস্তার কেনো হবে না। সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকবে না’। অনাকাঙিক্ষত হস্তক্ষেপে আমি বিশ্বাস করিনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোথাও কাউকে বলিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাজ করেন। আমার মনে হয়েছে, আমরা যে যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবো। তবে সেই জায়গাতে আমি হস্তক্ষেপ করি এবং করবো, যদি দৃশ্যমান হয় যে কাজটি হওয়া উচিত ছিলো, সেটি হয়নি। মেরামতের নামে কাজ না করে কোটি কোটি টাকা বিনষ্ট করলে আমি চোখ বন্ধ করে থাকবো না। মেরামতের নামে অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আছে। এই অভিযোগ আমি শুনতে চাইনা। তবে আপনাদের কেউ হুমকি দিয়ে, প্রভাব বিস্তার করে কাজের পথে বাধা সৃষ্টি করলে আমি যেকোন পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছি। আপনারা কোনো হুমকিতে অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপে ভীত সন্ত্রস্থ হবেন না, কাজের গতি স্তিমিত করবেন না’। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করার বাজে সংস্কৃতি আমাদের দেশে চালু হয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী যোগ করেন, ‘আমি যতদিন এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আছি, এই হস্তক্ষেপ যে যেখানে করবে, সে সফল হতে পারবে না। আপনারা মাথা নোয়াবেন না। মেরুদন্ড সোজা করে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী দেশে কেউ না’। মন্ত্রী বলেন, ‘একটা দেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার চলমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অনিয়মের পরিসর থেকে বেরিয়ে আসুন। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরো যত্নশীলতার সাথে দেখবেন। আমি চাই আমাদের সকল কাজে দায়বদ্ধতা, সততা, স্বচ্ছতা যেনো নিশ্চিত হয়। কোনো দুর্নীতি আমাদের কাউকে যেনো স্পর্শ করতে না পারে’। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। সে কাজে আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই। রাষ্ট্রকে সাশ্রয়ী করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পরিহার করতে চাই। আর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হবার জন্য আহ্বান জানাতে চাই। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ সাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন ও ড. মোঃ আফজাল হোসেন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী গোদাগাড়ীর ছয়ঘাটিতে রাতের আঁধারে ২০ বিঘা ফসলী জমির মাটি বিক্রির অভিযোগ

উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে;গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম, এমপি বলেছেন, ‘উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা শুধু উন্নয়নের কথা এখন বলতে চাই না। বলতে চাই টেকসই উন্নয়নের কথা। কোনভাবেই যেনো একটি সৃষ্টি বিপন্নতার দিকে চলে না যায়। গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী বা নির্মাণ কাজে সম্পৃক্তদের আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা, সততা আর নিষ্ঠার দ্বারা কাজ না হলে সে কাজের ক্ষতি হবে সুদূরপ্রসারী। ফলে দায়-দায়িত্বের জায়গা আমাদের কঠিন ও কঠোরভাবে মনে-প্রাণে বোধ করতে হবে’। রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথো বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্র, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, বিপন্ন ও তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। যাদের ত্যাগে, শ্রমে ও অর্থে আজ আমরা এখানে এসেছি, আমাদের সবচেয়ে বড় দায় তাদের জন্য। আর তাদের জন্য দায়ের জায়গায়টি হচ্ছে, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে’। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বড় ধরণের উন্নয়নে চালিকা শক্তি বা ক্যাপ্টেন আপনারা। সে কারণে আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের সঙ্গে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সকলে সম্পৃক্ত। তাই আপনাদের কাজের পরিসর আরো বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে গুণগত মানের। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র তেরো মাসে বিশতলা ভবন পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করার কৃতিত্ব যারা নিতে পারেন তাদের কেনো ছোটখাটো বিষয়ে বদনামের বোঝা নিতে হবে। আপনারা প্রমাণ করেছেন, আপনাদের যোগ্যতা, দক্ষতা অনেকের চেয়ে অনেক বেশী। সেই দক্ষতা, যোগ্যতার বিস্তার কেনো হবে না। সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকবে না’। অনাকাঙিক্ষত হস্তক্ষেপে আমি বিশ্বাস করিনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোথাও কাউকে বলিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাজ করেন। আমার মনে হয়েছে, আমরা যে যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবো। তবে সেই জায়গাতে আমি হস্তক্ষেপ করি এবং করবো, যদি দৃশ্যমান হয় যে কাজটি হওয়া উচিত ছিলো, সেটি হয়নি। মেরামতের নামে কাজ না করে কোটি কোটি টাকা বিনষ্ট করলে আমি চোখ বন্ধ করে থাকবো না। মেরামতের নামে অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আছে। এই অভিযোগ আমি শুনতে চাইনা। তবে আপনাদের কেউ হুমকি দিয়ে, প্রভাব বিস্তার করে কাজের পথে বাধা সৃষ্টি করলে আমি যেকোন পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছি। আপনারা কোনো হুমকিতে অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপে ভীত সন্ত্রস্থ হবেন না, কাজের গতি স্তিমিত করবেন না’। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করার বাজে সংস্কৃতি আমাদের দেশে চালু হয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী যোগ করেন, ‘আমি যতদিন এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আছি, এই হস্তক্ষেপ যে যেখানে করবে, সে সফল হতে পারবে না। আপনারা মাথা নোয়াবেন না। মেরুদন্ড সোজা করে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী দেশে কেউ না’। মন্ত্রী বলেন, ‘একটা দেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার চলমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অনিয়মের পরিসর থেকে বেরিয়ে আসুন। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরো যত্নশীলতার সাথে দেখবেন। আমি চাই আমাদের সকল কাজে দায়বদ্ধতা, সততা, স্বচ্ছতা যেনো নিশ্চিত হয়। কোনো দুর্নীতি আমাদের কাউকে যেনো স্পর্শ করতে না পারে’। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। সে কাজে আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই। রাষ্ট্রকে সাশ্রয়ী করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পরিহার করতে চাই। আর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হবার জন্য আহ্বান জানাতে চাই। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ সাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন ও ড. মোঃ আফজাল হোসেন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।