ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

অবশেষে মৃত মনির হোসেনের ৩ হত্যাকারী কোর্টে প্রেরণ।

রিপোর্টার মোঃ তপছিল হাসানঃ অবশেষে মৃত মনির হোসেনের ৩ হত্যাকারীদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়। পরিবারের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রথমে গুম, তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী, পূর্ন টাকা না পাওয়ায় পরে নির্মমভাবে হত্যা করলেন শিশু শ্রেনীর ছাত্র মনির হোসেনকে (৭)। এ জঘন্যতম ঘটনার সাথে জড়িত নূরে মদিনা মহিলা মাদ্রাসার খুনি মোঃ (১) মুহতামিম হাফেজ মাওঃ মুফতি মোঃ হাদিউজ্জামান (৪২), (২) মোঃ তোহা (১৭), (৩) মোঃ আকরাম (২৩)। গত ০৭/০৪/২০১৯ইং এ মনির হোসেন প্রতিদিনের ন্যয় উক্ত মাদ্রাসায় পড়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় উপস্থিত হয়। ক্লাস চলাকালীন সময় সকাল ১১টায় খুনি হাদিউজ্জামান মনিরকে আয়েশা মসজিদে প্রলভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যেয়ে তোহা। পরবর্তীতে খুনি হাদিউজ্জামান, তোহা ও আকরাম মসজিদের দোতলায় একটি সিড়ির রুমে তোহা ডেকে নিয়ে যেয়ে পরবর্তীতে বেলা ১১.৩০ মিনিটে তাদের ভয়ানক রুপ দেখে মনির হোসেন চিৎকার দেয় ঐ সময়ে তিন খুনি মনিরকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ফেলে ঐ সময়ে গলার মধ্যে পা দ্বারা চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার দায় এড়ানোর জন্য এ তিন খুনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং মনিরের পিতা সাইদুলের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। হাদিউজ্জামান তোহাকে ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কুটকৌশল অবলম্বন করে মুঠোফোনে কথা বলে সাইদুলের পরিবারের সাথে কালক্ষেপন করে। পরবর্তীতে ০৭/০৪/২০১৯ইং এ ডেমরা থানায় সাইদুল একটি জিডি করেন যার নং-৩৪০ দায়িত্বপ্রাপ্ত এস.আই নাজমুল হাসান। জিডির বলে বামৈল, ইসলামবাগ ও ডগাইর, বাশেরপুল এলাকায় তদন্ত কাজ শুরু করেন ডেমরা থানার ওসি তদন্ত। ওসি তদন্ত মোঃ সেলিমের নেতৃত্বে তার সঙ্গীয় ফোর্স এস.আই নাজমুল হাসান ও কন্সটেবলসহ ৬ জন। ওসি তদন্ত মোঃ সেলিম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে আয়েশা মসজিদের তৃতীয় তলা থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে। তোহার দেয়া তথ্য মতে, ০৮/০৪/২০১৯ইং বিকাল ৫ টায় মনিরের মৃত দেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করে ডেমরা থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃতরা হলেন, মাদ্রাসার মুহতামিম ও মসজিদের ইমাম হাদিউজ্জামান, হাফেজ মোঃ জাকারিয়া, শিক্ষিকা আমেনা ও ফাহিমা, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মসজিদের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমানকে। এসপি ইফতে খায়রুল ও ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ নিজ সততা ও দক্ষতায় মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে মনির হোসেনের হত্যাসহ আরো কিছু ভয়ানক তথ্য বের হয়ে আসে। অবশেষে থানায় দেয়া জবানবন্দিতে হাদিউজ্জামাস, তোহা ও আকরাম মনিরে হোসেনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাসহ মাদ্রাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন বলে তারা জানান। তোহা ও আকরামকে দিয়ে মাদ্রাসায় সুন্দরী ললনাদের এনে জঙ্গি তৎপরতাকারীদের যৌন পিপাসা মিটাতেন এবং দেহ ব্যবসার বিভিন্ন কাষ্টমার এই মাদ্রাসায় নিয়ে আসতেন। এই হাফেজ মাওঃ মুফতি মোঃ হাদিউজ্জামান ডেমরা থানায় তার আরেকটি নাম প্রকাশ করে আব্দুল জলিল হাদি। সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদ্বয় হতে চাদা উত্তোলন থেকে শুরু করে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত আছেন এই সেই বর্বরোচিত হত্যাকারী হাদিউজ্জামান। জনমনে প্রশ্ন হচ্ছে মনির হোসেন হত্যার আসল রহস্য কি? হাদির কি মুক্তিপন দাবী? না কোন মাদ্রাসায় হাদির আপত্তিকর কিছু দেখে ফেললেন মনির হোসেন? এই বিষয়ে সাংবাদিকদের ও এলাকা বাসীর সন্দেহের তালিকায় আছেন আয়েশা মসজিদের সভাপতি সালাহউদ্দিন সাউদ (সেন্টু), সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান, মসজিদ কমিটির অন্যতম সদস্য আসলাম, পিতা আব্দুল লতিফ (হাজী টাওয়ার), শিক্ষিকা আমেনা, মোয়াজ্জেম হাফিজ মোঃ জাকারিয়াসহ আরও অজ্ঞাত অনেকে। এ ব্যাপারে হাদিউজ্জামান তোহা ও আকরামকে আসামী করে ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নং-১৮/৯/৪/২০১৯ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮/৩০ তদসহ ৩০২/২০০১/৩৪ মোতাবেক সিএমএম কোর্টে প্রেরণ করা হয়-১০/০৪/২০১৯ইং সকাল ৮ ঘটিকায়। জোড়ালোভাবে হত্যাকারীদের ফাসির দাবী জানান মনির হোসেনের পরিবার ও এলাকাবাসীসহ সমস্ত মহল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন মৃত মনির হোসেনের পরিবার। নিউজ চলমান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

অবশেষে মৃত মনির হোসেনের ৩ হত্যাকারী কোর্টে প্রেরণ।

আপডেট টাইম ০১:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯

রিপোর্টার মোঃ তপছিল হাসানঃ অবশেষে মৃত মনির হোসেনের ৩ হত্যাকারীদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়। পরিবারের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রথমে গুম, তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী, পূর্ন টাকা না পাওয়ায় পরে নির্মমভাবে হত্যা করলেন শিশু শ্রেনীর ছাত্র মনির হোসেনকে (৭)। এ জঘন্যতম ঘটনার সাথে জড়িত নূরে মদিনা মহিলা মাদ্রাসার খুনি মোঃ (১) মুহতামিম হাফেজ মাওঃ মুফতি মোঃ হাদিউজ্জামান (৪২), (২) মোঃ তোহা (১৭), (৩) মোঃ আকরাম (২৩)। গত ০৭/০৪/২০১৯ইং এ মনির হোসেন প্রতিদিনের ন্যয় উক্ত মাদ্রাসায় পড়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় উপস্থিত হয়। ক্লাস চলাকালীন সময় সকাল ১১টায় খুনি হাদিউজ্জামান মনিরকে আয়েশা মসজিদে প্রলভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যেয়ে তোহা। পরবর্তীতে খুনি হাদিউজ্জামান, তোহা ও আকরাম মসজিদের দোতলায় একটি সিড়ির রুমে তোহা ডেকে নিয়ে যেয়ে পরবর্তীতে বেলা ১১.৩০ মিনিটে তাদের ভয়ানক রুপ দেখে মনির হোসেন চিৎকার দেয় ঐ সময়ে তিন খুনি মনিরকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ফেলে ঐ সময়ে গলার মধ্যে পা দ্বারা চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার দায় এড়ানোর জন্য এ তিন খুনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং মনিরের পিতা সাইদুলের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। হাদিউজ্জামান তোহাকে ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কুটকৌশল অবলম্বন করে মুঠোফোনে কথা বলে সাইদুলের পরিবারের সাথে কালক্ষেপন করে। পরবর্তীতে ০৭/০৪/২০১৯ইং এ ডেমরা থানায় সাইদুল একটি জিডি করেন যার নং-৩৪০ দায়িত্বপ্রাপ্ত এস.আই নাজমুল হাসান। জিডির বলে বামৈল, ইসলামবাগ ও ডগাইর, বাশেরপুল এলাকায় তদন্ত কাজ শুরু করেন ডেমরা থানার ওসি তদন্ত। ওসি তদন্ত মোঃ সেলিমের নেতৃত্বে তার সঙ্গীয় ফোর্স এস.আই নাজমুল হাসান ও কন্সটেবলসহ ৬ জন। ওসি তদন্ত মোঃ সেলিম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে আয়েশা মসজিদের তৃতীয় তলা থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে। তোহার দেয়া তথ্য মতে, ০৮/০৪/২০১৯ইং বিকাল ৫ টায় মনিরের মৃত দেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করে ডেমরা থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃতরা হলেন, মাদ্রাসার মুহতামিম ও মসজিদের ইমাম হাদিউজ্জামান, হাফেজ মোঃ জাকারিয়া, শিক্ষিকা আমেনা ও ফাহিমা, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মসজিদের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমানকে। এসপি ইফতে খায়রুল ও ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ নিজ সততা ও দক্ষতায় মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে মনির হোসেনের হত্যাসহ আরো কিছু ভয়ানক তথ্য বের হয়ে আসে। অবশেষে থানায় দেয়া জবানবন্দিতে হাদিউজ্জামাস, তোহা ও আকরাম মনিরে হোসেনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাসহ মাদ্রাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন বলে তারা জানান। তোহা ও আকরামকে দিয়ে মাদ্রাসায় সুন্দরী ললনাদের এনে জঙ্গি তৎপরতাকারীদের যৌন পিপাসা মিটাতেন এবং দেহ ব্যবসার বিভিন্ন কাষ্টমার এই মাদ্রাসায় নিয়ে আসতেন। এই হাফেজ মাওঃ মুফতি মোঃ হাদিউজ্জামান ডেমরা থানায় তার আরেকটি নাম প্রকাশ করে আব্দুল জলিল হাদি। সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদ্বয় হতে চাদা উত্তোলন থেকে শুরু করে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত আছেন এই সেই বর্বরোচিত হত্যাকারী হাদিউজ্জামান। জনমনে প্রশ্ন হচ্ছে মনির হোসেন হত্যার আসল রহস্য কি? হাদির কি মুক্তিপন দাবী? না কোন মাদ্রাসায় হাদির আপত্তিকর কিছু দেখে ফেললেন মনির হোসেন? এই বিষয়ে সাংবাদিকদের ও এলাকা বাসীর সন্দেহের তালিকায় আছেন আয়েশা মসজিদের সভাপতি সালাহউদ্দিন সাউদ (সেন্টু), সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান, মসজিদ কমিটির অন্যতম সদস্য আসলাম, পিতা আব্দুল লতিফ (হাজী টাওয়ার), শিক্ষিকা আমেনা, মোয়াজ্জেম হাফিজ মোঃ জাকারিয়াসহ আরও অজ্ঞাত অনেকে। এ ব্যাপারে হাদিউজ্জামান তোহা ও আকরামকে আসামী করে ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নং-১৮/৯/৪/২০১৯ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮/৩০ তদসহ ৩০২/২০০১/৩৪ মোতাবেক সিএমএম কোর্টে প্রেরণ করা হয়-১০/০৪/২০১৯ইং সকাল ৮ ঘটিকায়। জোড়ালোভাবে হত্যাকারীদের ফাসির দাবী জানান মনির হোসেনের পরিবার ও এলাকাবাসীসহ সমস্ত মহল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন মৃত মনির হোসেনের পরিবার। নিউজ চলমান।