ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কমিটির রেজুলেশন ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ গোপনে অফিস সহকারী নিয়োগের চেষ্টা

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : মাদরাসা কমিটির কোন রকম রেজুলেশন বা মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সংবাদপত্রে ছোট্ট আকারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গোপনে অফিস সহকারী নিয়োগের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করার প্রাক্কালে ব্যাক ডেটে রেজুলেশন তৈরী করতে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নিতে গিয়ে জনৈক সদস্যের অসম্মতির কারণে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় মাদরাসা সুপার ও সভাপতি বিপাকে পড়েছে। তারপরও এমন অনিয়মের মধ্য দিয়েই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতির ছেলেকে নিয়োগ দিতে চাপ অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর বালাপাড়া ইসলামিয়া মাদরাসায়। জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে মাদরাসাটির অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদটি শুন্য রয়েছে। এ সুযোগে ওই পদে নিজের ছেলেকে চাকুরী নিয়ে দিতে তৎপর হয় ্ধসঢ়;ইতোপুর্বে ওই পদে দায়িত্বপালনকারী বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডা. সাহজাদা সরকার। তার পরামর্শে মাদরাসার সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মজিবর রহমান ও মাদরাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম গত ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায়। সেখানে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের সোনালী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা হতে ৫শ’ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করার জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী ডা. সাহজাদা সরকারের ছেলে রুবেল আমিনসহ তার নিজস্ব আরও ৩ জন আবেদন করে। এ ব্যাপারে মাদরসার সুপার শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই নিয়োগ নিয়ে আমি প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সভাপতির চাপে রেজুলেশন না করেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি। সেসময় সভাপতি বলেছিলে রেজুলেশন সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া পরে করা হবে। ইতোমধ্যে গত ৬ এপ্রিল ডা. সাহজাদা সরকার, তার ছেলে রুবেল আমিন, রশিদুল, ভায়রা ভাই আকবর সহ বেশ কয়েকজন মাদরসায় এসে নিয়োগ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এসময় তাদের প্রতিবাদ করলে তারা অশ্রাব্য কথাবার্তা বলে আমাকে শাসিয়ে যায়। এদিকে মাদরাসার সভাপতি মো: মজিবর রহমান বলেন, ডা. সাহজাদা সরকার এই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরী করেছেন। সেসাথে তাদের পৌত্রিক সম্পত্তিতে মাদসরাটি গড়ে উঠেছে। একারণে তার ছেলেকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। সে অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ডা. সাহজাদা মাদরাসার উন্নয়ন ফান্ডে কোন ডোনেশন করবে কি না তা নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি দেখা দেয়। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। যথাসম্ভব নিয়োগটি বৈধ করতে প্রয়োজনে ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর নিয়ে রেজুলেশন তৈরী করা হবে। ৬ এপ্রিলের ঘটনা বিষয়ে সভাপতি বলেন, তারা মূলত: গায়ের জোড় দেখাচ্ছে। যা তারা ঠিক করছেন না। ডা. সাহজাদা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সভাপতি ও সুপারের ব্যাপার। চাপ দেয়া বা সরকারী দলের নেতা হিসেবে ক্ষমতা দেখানোর কোন বিষয় সঠিক নয়। পৌত্রিক সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এবং পূর্বে ওই পদে আমি নিজে চাকুরী করায় পৌষ্য কোটায় চাকুরী দেয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছি মাত্র।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কমিটির রেজুলেশন ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ গোপনে অফিস সহকারী নিয়োগের চেষ্টা

আপডেট টাইম ০২:১৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : মাদরাসা কমিটির কোন রকম রেজুলেশন বা মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সংবাদপত্রে ছোট্ট আকারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গোপনে অফিস সহকারী নিয়োগের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করার প্রাক্কালে ব্যাক ডেটে রেজুলেশন তৈরী করতে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নিতে গিয়ে জনৈক সদস্যের অসম্মতির কারণে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় মাদরাসা সুপার ও সভাপতি বিপাকে পড়েছে। তারপরও এমন অনিয়মের মধ্য দিয়েই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতির ছেলেকে নিয়োগ দিতে চাপ অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর বালাপাড়া ইসলামিয়া মাদরাসায়। জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে মাদরাসাটির অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদটি শুন্য রয়েছে। এ সুযোগে ওই পদে নিজের ছেলেকে চাকুরী নিয়ে দিতে তৎপর হয় ্ধসঢ়;ইতোপুর্বে ওই পদে দায়িত্বপালনকারী বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডা. সাহজাদা সরকার। তার পরামর্শে মাদরাসার সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মজিবর রহমান ও মাদরাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম গত ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায়। সেখানে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের সোনালী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা হতে ৫শ’ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করার জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী ডা. সাহজাদা সরকারের ছেলে রুবেল আমিনসহ তার নিজস্ব আরও ৩ জন আবেদন করে। এ ব্যাপারে মাদরসার সুপার শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই নিয়োগ নিয়ে আমি প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সভাপতির চাপে রেজুলেশন না করেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি। সেসময় সভাপতি বলেছিলে রেজুলেশন সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া পরে করা হবে। ইতোমধ্যে গত ৬ এপ্রিল ডা. সাহজাদা সরকার, তার ছেলে রুবেল আমিন, রশিদুল, ভায়রা ভাই আকবর সহ বেশ কয়েকজন মাদরসায় এসে নিয়োগ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এসময় তাদের প্রতিবাদ করলে তারা অশ্রাব্য কথাবার্তা বলে আমাকে শাসিয়ে যায়। এদিকে মাদরাসার সভাপতি মো: মজিবর রহমান বলেন, ডা. সাহজাদা সরকার এই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরী করেছেন। সেসাথে তাদের পৌত্রিক সম্পত্তিতে মাদসরাটি গড়ে উঠেছে। একারণে তার ছেলেকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। সে অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ডা. সাহজাদা মাদরাসার উন্নয়ন ফান্ডে কোন ডোনেশন করবে কি না তা নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি দেখা দেয়। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। যথাসম্ভব নিয়োগটি বৈধ করতে প্রয়োজনে ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর নিয়ে রেজুলেশন তৈরী করা হবে। ৬ এপ্রিলের ঘটনা বিষয়ে সভাপতি বলেন, তারা মূলত: গায়ের জোড় দেখাচ্ছে। যা তারা ঠিক করছেন না। ডা. সাহজাদা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সভাপতি ও সুপারের ব্যাপার। চাপ দেয়া বা সরকারী দলের নেতা হিসেবে ক্ষমতা দেখানোর কোন বিষয় সঠিক নয়। পৌত্রিক সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এবং পূর্বে ওই পদে আমি নিজে চাকুরী করায় পৌষ্য কোটায় চাকুরী দেয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছি মাত্র।