নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ নানা প্রকার অনৈতিকতার অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে অপহরণকারী আসামীর সঙ্গে ওসির সখ্য শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পর থেকেই প্রকাশ হতে থাকে ওসি এমদাদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার রমরমা বাণিজ্যের বিষয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সনে কোনাবাড়ী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে ওসি এমদাদ মাত্র চার মাসে মধ্যে ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন একটি প্রাইভেট কার। শুধু তাই নয়, কোনাবাড়ী থেকে শাকিল নামে এক ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে মাধারীপুরে নিজ গ্রামে কাজ শুরু করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ির। এ নিয়ে নানা মুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। ওসি এমদাদ হোসেনের নেতৃত্বে এস আই রফিকুল ইসলাম রবির মাধ্যমে কোনাবাড়ীতে রেজাউল নামে এক কেমিকেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় নিয় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। কয়েকদিন আগে দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকে থেকে জনি নামের এক যুবককে মধ্যপান অবস্থায় গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে এস আই হামিদ। পরে ওসি এমদাদের নির্দেশে পূণরায় বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় জনিকে। জনির রুমের আসবাবপত্র উলোট পালোট করে ৫৭ হাজার টাকা নিয়ে আসে ওই এসআই। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে প্রায় ২০০ অবৈধ ইটভাটা আছে যার বেশীরভাগ ভাটাই কোনাবাড়ী থানার আওতাধীন। আর সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন ওসি এমদাদ স্থানীয় এক কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করে ১৪ লাখ ৫০হাজার টাকা চুক্তি করে ভাটার মালিকদের সাথে। যার মধ্যে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে ভাটার মালিকরা। গাজীপুরে পুলিশ সুপার শামসুর নাহার যোগদানের পর পুরো জেলায় আবাসিক হোটেল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মেট্রো উদ্বোধন করার পর কিছুদিন আবাসিক হোটেল গুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তা আবার চালু করা হয়। নাম না বলার শর্তে এক হোটেল মালিক বলেন এককালিন ১৪ লাখ টাকা দিছি ওসি এমদাদরে। আর প্রতিদিন দিতে হচ্ছে প্রতিটি হোটেল থেকে ৬ হাজার টাকা করে। এদিকে অপহরণের মামলা ধামাচাপা দিতে ইউনিক ইটভাটা থেকে তার নিজ বাড়ী নির্মাণের জন্য দুই গাড়ী ইট নিয়ে যায় মাদারীপুরে। টাকা নেওয়া বাদ যায়নি কোনাবাড়ীতে ছোট ছোট খাবার হোটেল গুলো থেকেও। নাম না বলার শর্তে এক হোটেল মালিক বলেন সারারাত খাবার হোটেল খোলা থাকে বলে প্রতিমাসে ৪ টি হোটেল থেকে ৬হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার উঠিয়ে দেই। রেহাই পাচ্ছেনা ভাংগারি দোকানীরাও। নাম না বলা শর্তে এক দোকান মালিক জানান,আমাদের প্রতিটি দোকান থেকে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দিতে হয় থানায় এভাবে মোট ৭২ হাজার টাকা আসে প্রতি মাসে ভাংগাড়ির দোকান থেকে। এদিকে নাম না বলার শর্তে এক দোকানদার বকেন কোনাবাড়ী থানার আওতাধীন প্রায় ২০০/২৫০ টি ক্যারাম বোর্ড আছে সবগুলে থেকে প্রতিমাসে বোর্ড প্রতি ৫০০ টাকা করে দিতে হয় থানায়। কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানা হয়ার পরে এমন কোন সেক্টর নেই যে থানায় টাকা না দিতে হয়। ওসি এমদাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছেনা। কোনাবাড়ীতে যেন এক আতংকের নাম ওসি এমদাদ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানায় চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রেতাসহ বিভিন্ন মামলার ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রবিবার রাতে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খানের নেতৃত্বে এলাকার বিভিন্ন স্থানে চালনো হয় অভিযান। এ সময় বেশ কিছু মাদক উদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন পুলিশ। কাশিমপুর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, গতকাল থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে (৫০০ পুড়িয়া হিরোইন ওজন ৪০ গ্রাম যার মুল্যে প্রায় এক লক্ষ টাকা) তিনজন মাদক বিক্রেতা, একজন মাদক সেবনকারী, তিনজন চেক ডিজঅনার মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি, দুই জন হত্যা মামলার গ্রেপ্তার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামিসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে সোমবার সকালে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আকবার আলী খান।
সংবাদ শিরোনাম ::
কোনবাড়ী থানার ওসি বিরুদ্ধে অনৈকিতকার অভিযোগ
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ১১:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
- ১৫৬২ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ