ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা”

‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান ভূপেন হাজারিকার পরিবারের

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রয়াত ভূপেন হাজারিকার পরিবার। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই সম্মান প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার ভূপেন হাজারিকার ছেলে তেজ ভূপেন হাজারিকা জানিয়ে দেন, তাঁর পরিবার এই ভারতরত্ন গ্রহণ করবে না। নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ করে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তেজ হাজারিকা বলেছেন, ‘আমি এনআরসি নিয়ে আসামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। ভূপেন হাজারিকা সব সময় আসামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন করেছেন। আমরা তাই এই সম্মান গ্রহণ করতে পারব না। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, ভারত সরকার তাঁকে যে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করতে চেয়েছে, তা আমাদের পরিবার গ্রহণ করবে না। নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামের সাদিয়ায় ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ৮৫ বছর বয়সে ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে তিনি মারা যান। ভূপেন হাজারিকা আসামের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন বাঙালিদের ভালোবাসার শিল্পী। তিনি প্রচুর বাংলা গান গেয়েছেন। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। সিনেমায় তিনি বহু নেপথ্য সংগীতও গেয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও প্রচুর গান গেয়েছেন তিনি। তাঁর গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রদান করে।

ভূপেন হাজারিকা ছিলেন সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, চলচ্চিত্রকার এবং কবি। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পদক পেয়েছেন ১৯৯২ সালে। ২০০৯ সালে পেয়েছেন আসামরত্ন পদক, ১৯৭৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী, রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মভূষণ পেয়েছেন ২০০১ সালে, পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন ২০১২ সালে। আরও পেয়েছেন সংগীত নাটক একাডেমি পদকসহ বহু পুরস্কার ও পদক।

সূত্র : প্রথমআলো

 

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ।

‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান ভূপেন হাজারিকার পরিবারের

আপডেট টাইম ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রয়াত ভূপেন হাজারিকার পরিবার। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই সম্মান প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার ভূপেন হাজারিকার ছেলে তেজ ভূপেন হাজারিকা জানিয়ে দেন, তাঁর পরিবার এই ভারতরত্ন গ্রহণ করবে না। নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ করে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তেজ হাজারিকা বলেছেন, ‘আমি এনআরসি নিয়ে আসামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। ভূপেন হাজারিকা সব সময় আসামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন করেছেন। আমরা তাই এই সম্মান গ্রহণ করতে পারব না। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, ভারত সরকার তাঁকে যে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করতে চেয়েছে, তা আমাদের পরিবার গ্রহণ করবে না। নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামের সাদিয়ায় ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ৮৫ বছর বয়সে ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে তিনি মারা যান। ভূপেন হাজারিকা আসামের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন বাঙালিদের ভালোবাসার শিল্পী। তিনি প্রচুর বাংলা গান গেয়েছেন। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। সিনেমায় তিনি বহু নেপথ্য সংগীতও গেয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও প্রচুর গান গেয়েছেন তিনি। তাঁর গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রদান করে।

ভূপেন হাজারিকা ছিলেন সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, চলচ্চিত্রকার এবং কবি। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পদক পেয়েছেন ১৯৯২ সালে। ২০০৯ সালে পেয়েছেন আসামরত্ন পদক, ১৯৭৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী, রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মভূষণ পেয়েছেন ২০০১ সালে, পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন ২০১২ সালে। আরও পেয়েছেন সংগীত নাটক একাডেমি পদকসহ বহু পুরস্কার ও পদক।

সূত্র : প্রথমআলো