ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

নাসিকায় রক্তক্ষরণে অযথা আতঙ্ক নয়, জেনে নিন প্রতিরোধের উপায়

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  নাক থেকে আচমকা ব্লিডিং? ভয় পাবেন না। রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায় জানালেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. অভিরাল রায়।

শীতকালে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ অনেকের কাছেই পরিচিত, আতঙ্কেরও। কিন্তু এমনটা হওয়ার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, নিশ্বাস ফুসফুসে যাওয়ার আগে নাককে আর্দ্র করে দেয়। তাই আবহাওয়া খুব ঠান্ডা ও শুষ্ক হলে শ্বাসও শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় নাকের ভিতরের আর্দ্রতা কমে যায়। তখন নাকের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যায়। এর ফলে নাকের অস্বস্তি বাড়ে। চুলকানি হয়। এই সময় আঙুল দিয়ে নাকের ভিতর খোঁচাখুঁচি করলে শুষ্ক ত্বক সহজেই ফেটে যায় এবং সেখানকার রক্তবাহ থেকে রক্তপাত হয়। এই পরিস্থিতিতে কোন কোন বিষয় বিপদজনক, তাও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা –

১. ব্লাড প্রেশার বাড়লে বিপদ
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাই যখনই এমন হবে, আগে প্রেশার চেক করে নিতে হবে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নাক দিয়ে রক্তক্ষরণের ঘটনা মাঝে মাঝে হতে পারে। তাতে প্রথমেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছু নেই। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ব্লাড প্রেশার কমানোর ওষুধ খান। কিছু হাই ডোজের অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবনের জন্যও এমন হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যে কোনও ওষুধের সাইড এফেক্ট জেনে খাওয়া উচিত।

তক্ষুনি কী করবেন?
যে কোনও কারণেই নাক দিয়ে রক্ত পড়ুক না কেন, প্রথমেই দু’আঙুল দিয়ে দুই নাসারন্ধ্র চেপে ধরুন। তারপর ওই অবস্থায় মাথা হেলিয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকার মতো পজিশন করে বসে থাকুন। এতে রক্তপাত বন্ধ হয়। দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে।

২.পলিপ বা টিউমার থাকলে চিন্তা
আচমকা নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে চিন্তা হওয়া এমনি স্বাভাবিক। কিন্তু শুষ্কতা, হাই প্রেশারের কারণে হলেও চিন্তার কিছু নেই। নাকে কোনও খাবারের গুঁড়ো, বীজ, মরা পোকামাকড় আটকে গেলে অনেক সময় তার উপরে আপনা থেকেই টিস্যু তৈরি হয়ে যায়। পাতলা চামড়ার প্রলেপ পড়ে। এমন কোনও ফরেন বডির কারণে তৈরি হওয়া টিস্যু যেহেতু স্বাভাবিক নয়, তাই মাঝে মাঝে এগুলি থেকে রক্তক্ষরণ হয়। এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু নাকে কোনও পলিপ থাকলে সামান্য আঘাতে প্রায়ই রক্তক্ষরণ হতে পারে। পলিপ বা টিউমারের মতো নাকে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে অবশ্যই তা থেকে বিপদ হতে পারে। এমন হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। পরামর্শমতো বায়োপসি করিয়ে দেখে নেওয়া উচিত অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অংশ ক্যানসারযুক্ত কি না।

ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, শরীর ভিতরে গরম হয়ে গেলে তার লক্ষণ নাক দিয়ে রক্ত পড়া। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। নাক দিয়ে রক্তপাতের প্রবণতা থাকলে অনেকে ঠান্ডা জলে স্নান করেন। শীতেও গরম জল ব্যবহার করেন না। এঁদের এই ধারণারও চিকিৎসাশাস্ত্রে কোনও ভিত্তি নেই।

প্রতিরোধের উপায়
স্প্রে ব্যবহার
১.নাক শুষ্ক হওয়ার কারণে রক্তপাতের প্রবণতা থাকলে বা রক্তপাত এড়াতে বিশেষ ধরনের স্প্রে ব্যবহার করা যায়। এই স্প্রে নাকের ভিতরে করে দিলে নাক আর্দ্র হয়ে যায়। ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা স্প্রে ব্যবহার করাই উচিত।
২.নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর নাক চেপে ধরেও যদি না কমে তখন আর এক রকমের স্প্রে পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করলে তৎক্ষণাৎ রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। এটিও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে কিনে রাখা উচিত।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

নাসিকায় রক্তক্ষরণে অযথা আতঙ্ক নয়, জেনে নিন প্রতিরোধের উপায়

আপডেট টাইম ০৪:৫৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  নাক থেকে আচমকা ব্লিডিং? ভয় পাবেন না। রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায় জানালেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. অভিরাল রায়।

শীতকালে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ অনেকের কাছেই পরিচিত, আতঙ্কেরও। কিন্তু এমনটা হওয়ার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, নিশ্বাস ফুসফুসে যাওয়ার আগে নাককে আর্দ্র করে দেয়। তাই আবহাওয়া খুব ঠান্ডা ও শুষ্ক হলে শ্বাসও শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় নাকের ভিতরের আর্দ্রতা কমে যায়। তখন নাকের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যায়। এর ফলে নাকের অস্বস্তি বাড়ে। চুলকানি হয়। এই সময় আঙুল দিয়ে নাকের ভিতর খোঁচাখুঁচি করলে শুষ্ক ত্বক সহজেই ফেটে যায় এবং সেখানকার রক্তবাহ থেকে রক্তপাত হয়। এই পরিস্থিতিতে কোন কোন বিষয় বিপদজনক, তাও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা –

১. ব্লাড প্রেশার বাড়লে বিপদ
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাই যখনই এমন হবে, আগে প্রেশার চেক করে নিতে হবে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নাক দিয়ে রক্তক্ষরণের ঘটনা মাঝে মাঝে হতে পারে। তাতে প্রথমেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছু নেই। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ব্লাড প্রেশার কমানোর ওষুধ খান। কিছু হাই ডোজের অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবনের জন্যও এমন হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যে কোনও ওষুধের সাইড এফেক্ট জেনে খাওয়া উচিত।

তক্ষুনি কী করবেন?
যে কোনও কারণেই নাক দিয়ে রক্ত পড়ুক না কেন, প্রথমেই দু’আঙুল দিয়ে দুই নাসারন্ধ্র চেপে ধরুন। তারপর ওই অবস্থায় মাথা হেলিয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকার মতো পজিশন করে বসে থাকুন। এতে রক্তপাত বন্ধ হয়। দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে।

২.পলিপ বা টিউমার থাকলে চিন্তা
আচমকা নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে চিন্তা হওয়া এমনি স্বাভাবিক। কিন্তু শুষ্কতা, হাই প্রেশারের কারণে হলেও চিন্তার কিছু নেই। নাকে কোনও খাবারের গুঁড়ো, বীজ, মরা পোকামাকড় আটকে গেলে অনেক সময় তার উপরে আপনা থেকেই টিস্যু তৈরি হয়ে যায়। পাতলা চামড়ার প্রলেপ পড়ে। এমন কোনও ফরেন বডির কারণে তৈরি হওয়া টিস্যু যেহেতু স্বাভাবিক নয়, তাই মাঝে মাঝে এগুলি থেকে রক্তক্ষরণ হয়। এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু নাকে কোনও পলিপ থাকলে সামান্য আঘাতে প্রায়ই রক্তক্ষরণ হতে পারে। পলিপ বা টিউমারের মতো নাকে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে অবশ্যই তা থেকে বিপদ হতে পারে। এমন হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। পরামর্শমতো বায়োপসি করিয়ে দেখে নেওয়া উচিত অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অংশ ক্যানসারযুক্ত কি না।

ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, শরীর ভিতরে গরম হয়ে গেলে তার লক্ষণ নাক দিয়ে রক্ত পড়া। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। নাক দিয়ে রক্তপাতের প্রবণতা থাকলে অনেকে ঠান্ডা জলে স্নান করেন। শীতেও গরম জল ব্যবহার করেন না। এঁদের এই ধারণারও চিকিৎসাশাস্ত্রে কোনও ভিত্তি নেই।

প্রতিরোধের উপায়
স্প্রে ব্যবহার
১.নাক শুষ্ক হওয়ার কারণে রক্তপাতের প্রবণতা থাকলে বা রক্তপাত এড়াতে বিশেষ ধরনের স্প্রে ব্যবহার করা যায়। এই স্প্রে নাকের ভিতরে করে দিলে নাক আর্দ্র হয়ে যায়। ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা স্প্রে ব্যবহার করাই উচিত।
২.নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর নাক চেপে ধরেও যদি না কমে তখন আর এক রকমের স্প্রে পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করলে তৎক্ষণাৎ রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। এটিও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে কিনে রাখা উচিত।