মাসুদ হাসান রিদম : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, রোজ গার্ডেনের ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি এ রোজ গার্ডেন থেকে। তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেন প্যালেসে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সভাপতি হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। অন্যদিকে, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৯৫৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয় এবং নাম রাখা হয় “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ”। এদেশের ইতিহাস ও রোজ গার্ডেনের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর টিকাটুলি কে এম দাস লেন রোডে অবস্থিত রোজ গার্ডেন প্যালেস পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে প্যালেসটির মালিকানা সরকার বুঝে পেয়েছে। ভবনটির মালিক লায়লা রকিব ভবনটিকে যে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করেছেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী রোজ গার্ডেনে ঢাকা নগর জাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এগোচ্ছি। সেজন্যই আজকের এ পরিদর্শনে আসা। ঐতিহাসিক এ ভবনটিকে সুন্দরভাবে সংরক্ষণের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করা হবে।
পরিদর্শনকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব নিজাম উদ্দিন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।