স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের প্রথম মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন উপজেলার ২ মেয়র, ৮ ইউপি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ২ সদস্য। ২৪ জুন (সোমবার) সকালে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন আহমেদ উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্বভার গ্রহণ পরবর্তী চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের প্রথম মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা অডিটোরিয়ামে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের বরণ করে নেয়া হয়। তবে সভায় উপজেলার ২ পৌরসভার মেয়র ও ৮ ইউপি চেয়ারম্যানের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তিন সংরক্ষিত প্রতিনিধির দু’জন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভা মুলতবি করে আগামী ৩ জুলাই পুনরায় সভা আহ্বান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. কামেলা খানম রূপা, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। এ ব্যাপারে মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে দুই মেয়র ও একাধিক চেয়ারম্যান কল রিসিভ করেননি। চেয়ারম্যান এড. খোরশেদ বিন ইছহাক তার মা অসুস্থ এবং আবদুর শুক্কুর ও এসএম সায়েম নিজেরা অসুস্থ বলে জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জানান, গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জসিম উদ্দীন আহমদ চেয়ারমান নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাসায় দেয়া বক্তব্যে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে গরিব-অসহায়দের জন্য ১৭ রকমের ভাতা আত্মসাৎ করার কথা বলায় তিনি যাননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম বলেন, চেয়ারম্যানদেরকে যথাযথভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। বরকল ও ধোপাছড়ির চেয়ারম্যান তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে মেসেজ দিয়েছেন। অন্যরা কেউ কিছু জানাননি। সভায় ২ মেয়র, ৮ ইউপি চেয়ারম্যান, ২ ভাইস-চেয়ারম্যান, ৩ সংরক্ষিত সদস্যসহ ১৬ জনের ভোটে ১ম সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান, ১৭টি কমিটি গঠনসহ ৫টি এজেন্ডা ছিল। ১৬ জন ভোটারের মধ্যে কমপক্ষে নয়জন উপস্থিত হলে কোরাম পূর্ণ হয়। কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভাপতি সমন্বয় সভা মুলতবি করেছেন। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমদ বলেন, আমার সাথে সবার টেলিফোনে কথা হয়েছে। আমি কারও বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি। আমি প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয়। আমি মানুষকে সম্মান দিতে জানি। মেয়র ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত না থাকার বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো। তবে মানুষের ব্যক্তিগত কাজ থাকতে পারে।