ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায়-ফটিকছড়ি উপজেলায় ভোট আজ “অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স ও কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের সাথে চুক্তি সই” গজারিয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা, থানার সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচি গত ১৯শে মে রাত ১১ টায় সাইনবোর্ড লিংকরোডে অটো সিএনজি ভাঙচুর বাকেরগঞ্জের এমপি হাফিজ মল্লিকের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দিশেহারা একটি কুচক্রী মহল।। টাঙ্গাইলে উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ও ৪র্থ ধাপের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় টাঙ্গাইলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গলাচিপায় প্রকাশ্যে নিধন হচ্ছে রেনু পোনা,কথা বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

ফারুক হোসেন / পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

– জেলার গলাচিপা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে আবাধে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় হাজার প্রজাতির মাছ । সরকার বছরে কয়েকবার জেলেদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন, তারপরও কেন অবাদে এসব মাছের পোনা নিধন করছে সেটা বোধগম্য নয়। অনেকটা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব জলজ প্রাণীর ধ্বংসযজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে ) বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কিনে নিয়ে স্থানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে গলাচিপা উপজেলার উপজেলায় বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ। গলাচিপা সদরের নিকট ভর্তি নদী ও আড়ৎ গুলোতে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে ক্রয় বিক্রয় ও নিধন হচ্ছে রেনু পোনা আর এ বিষয়ে কোন প্রকার কিছু জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেনো কিছু বোঝেন না ।
মৌসুমে প্রতি বছর দেখা যায় মশারী নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ।গলাচিপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন চর হরীদাপপুর,পানপ্রট্টি,তেতুলীয়া নদীর তীর ও বদানতলী সহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রায় জেলে বা রেনু নিধন কাজে নিয়জিত ব্যাক্তি ও শিশু এবং নারীরা বলেন, মাছুয়া অফিসার ও তার অফিসের লোকদের ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করছেন ।
দেখা যায়, জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্হানীয় ঘের মালিকরা এদের কাছ রেনু পোনা সরবরাহ করছে।
স্থানীয় একজন জেলে জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া,কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই ,না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। ছোট ছোট ঘের যারা করে তারা এই পোনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজ জীবের পোনা বা রেণুও।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জহিরনন্নবী’র কাছে গেলে তিনি সাংবাদিক দেখে দ্রুতগতিতে রুম থেকে বেড় হয়ে জান জেতে জেতে বলেন জেলা সিনিয়র স্যার কোন প্রকার সাক্ষাৎকার দিতে নিষেধ করেছেন । দেশের চলামান আইন বলে রেনু পোনা ধরা ও পরিবহন করা আইনগত অপরাধ। সার্বিক বিষয়ে জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম বলেন আসলে জহিরনন্নবী লাজুক ও ভীতু প্রকৃতির তাই কোন কিছু বলেন নি তবে আমি সার্বিক বিষয় খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন তাছাড়া রেনু পোনা নিধনে আমার দপ্তর জিরো টলারেন্স এতে করে কোন প্রকরা ছাড় দেয়া হয় না আর হবেও না বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান ।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায়-ফটিকছড়ি উপজেলায় ভোট আজ

গলাচিপায় প্রকাশ্যে নিধন হচ্ছে রেনু পোনা,কথা বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

আপডেট টাইম ০৬:১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

ফারুক হোসেন / পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

– জেলার গলাচিপা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে আবাধে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় হাজার প্রজাতির মাছ । সরকার বছরে কয়েকবার জেলেদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন, তারপরও কেন অবাদে এসব মাছের পোনা নিধন করছে সেটা বোধগম্য নয়। অনেকটা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব জলজ প্রাণীর ধ্বংসযজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে ) বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কিনে নিয়ে স্থানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে গলাচিপা উপজেলার উপজেলায় বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ। গলাচিপা সদরের নিকট ভর্তি নদী ও আড়ৎ গুলোতে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে ক্রয় বিক্রয় ও নিধন হচ্ছে রেনু পোনা আর এ বিষয়ে কোন প্রকার কিছু জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেনো কিছু বোঝেন না ।
মৌসুমে প্রতি বছর দেখা যায় মশারী নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ।গলাচিপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন চর হরীদাপপুর,পানপ্রট্টি,তেতুলীয়া নদীর তীর ও বদানতলী সহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রায় জেলে বা রেনু নিধন কাজে নিয়জিত ব্যাক্তি ও শিশু এবং নারীরা বলেন, মাছুয়া অফিসার ও তার অফিসের লোকদের ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করছেন ।
দেখা যায়, জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্হানীয় ঘের মালিকরা এদের কাছ রেনু পোনা সরবরাহ করছে।
স্থানীয় একজন জেলে জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া,কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই ,না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। ছোট ছোট ঘের যারা করে তারা এই পোনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজ জীবের পোনা বা রেণুও।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জহিরনন্নবী’র কাছে গেলে তিনি সাংবাদিক দেখে দ্রুতগতিতে রুম থেকে বেড় হয়ে জান জেতে জেতে বলেন জেলা সিনিয়র স্যার কোন প্রকার সাক্ষাৎকার দিতে নিষেধ করেছেন । দেশের চলামান আইন বলে রেনু পোনা ধরা ও পরিবহন করা আইনগত অপরাধ। সার্বিক বিষয়ে জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম বলেন আসলে জহিরনন্নবী লাজুক ও ভীতু প্রকৃতির তাই কোন কিছু বলেন নি তবে আমি সার্বিক বিষয় খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন তাছাড়া রেনু পোনা নিধনে আমার দপ্তর জিরো টলারেন্স এতে করে কোন প্রকরা ছাড় দেয়া হয় না আর হবেও না বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান ।