স্টাফ রিপোর্টার
নওগাঁ মহাদেবপুরে মিথ্যে মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কামরুল হাসান নামে এক ভুক্তভোগী। কামরুল হাসান উপজেলার হাতুর ইউনিয়নের সাগরইল গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ৩ টায় তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমার ছোট ভাই মতিউর রহমানের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বিষয়টি স্থানীয়রা নিষ্পত্তি করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমার ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে (২৩ ফেব্রুয়ারি) মহাদেবপুর থানা একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে আমি কামরুল ইসলাম কে (৪৮)১ নং আসামি আমার চাচা নজরুল ইসলাম (৫৫) ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না তাকে দুই নং আসামি এবং আমার জামাতা মাসুদ রানাকে (২৮) তিন নং আসামি করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই ভাতিজা মতিউর রহমান ও কামরুল ইসলাম জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের যের ধরে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। যা আমি শুনেছি। ঘটনার সময় আমি মহাদেবপুরে ছিলাম। এরপরেও আমাকে ফাঁসানোর জন্য আসামি করা হয়েছে। মাসুদ রানা জানান আমি এলাকার একটি মসজিদে দাওয়াতে এসেছিলাম। ঐদিন আমার শ্বশুর এবং চাচা শ্বশুর উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা দেখেছি কিন্তু কোন মারামারি হয়নি। পরবর্তীতে আমার চাচা শ্বশুর একটি মামলা করে সেখানে আমার নাম দিয়েছেন। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণীত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, আইনুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। তবে মতিউর রহমান বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সে আঘাতটি বাম হাতে ঠেকাতে গেলে আমার হাত কেটে যায় আমি মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর মামলা করেছি। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার (ওসি) তদন্ত আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলাটি গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারির বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে।