দুমকি (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে ধর্ষণে ১২ বছরের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশুর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় পলায়নরত ধর্ষককে মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে র্যাব-৮
ভিকটিম সাদিয়া আক্তারের বাবা কবির খন্দকার বাদী হয়ে গত ১৭/০৩/২৪ইং তারিখ দুলাল খন্দকারকে একমাত্র আসামি করে দুমকি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করার পর র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সোহেল রানার নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আভিযানিক দল ওই দিনই সন্ধ্যা ০৭ টার দিকে বরগুনা জেলার সদর থানাধীন ফুলঝুঁড়ি এলাকা হতে ধর্ষণ মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামী দুলাল খন্দকার(৩৫), পিতা- মৃত বারেক খন্দকার, সাং-দুমকি, থানা-দুমকি, জেলা-পটুয়াখালী’কে আটক করেছে ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দুমকি থানার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির খন্দকারের মেয়ে ভিকটিম সাদিয়া আক্তার ৭ম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। হঠাৎ ভিকটিম সাদিয়ার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় এবং ডাক্তার পরীক্ষা শেষে জানায় যে, সে ২৯ সপ্তাহ ০১ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, গত ১৭/০৮/২০২৩ তারিখ রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে আসামী দুলাল খন্দকার ভিকটিম সাদিয়াকে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আসামী দুলাল ভিকটিম সাদিয়াকে একাধিকবার পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ২৮/০৮/২০২৩ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১১টায় আসামী দুলাল পুনরায় ভিকটিম সাদিয়াকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।
অবশেষে ভিকটিম সাদিয়ার পিতা কবির খন্দকার বাদী হয়ে আসামী দুলাল খন্দকারের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৬ তারিখঃ ১৭/০৩/২০২৪ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
ঘটনাটি র্যাবের নজরে আসলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৭/০৩/২০২৪ইং সন্ধ্যা ৭টায় আসামি দুলাল খন্দকারকে আটক করে।
পরে আটককৃত আসামীকে দুমকি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, আটককৃত আসামিকে পটুয়াখালী কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।