ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

আজ বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তচিন্তার লেখক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের এই দিনে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল।

১৯২৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভাগীয় নেতা ছিলেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে জহিরউদ্দিন বিশ্বাস রাজশাহীতে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে ১৯৪৯ সালে বিএ সম্মান ও ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে ১৯৫৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে বিএ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে ইতিহাসের রিডার (১৯৬২-৬৪) ও আইন বিভাগের ডিন (১৯৬১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। পরে সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল (১৯৬৯) ও হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের (১৯৭২) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেরও (১৯৭২) সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

তিনি লেখক, বিশ্লেষক, কবি হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। রবীন্দ্রগবেষণায় তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ’। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে_ যথাশব্দ, বাংলাদেশের তারিখ, কোরান সূত্র, বচন ও প্রবচন, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক, কোরান শরীফের সরল বঙ্গানুবাদ, মিত্রাক্ষর অভিধান, নির্বাচন হতে হবে তবে নির্বাচন যথেষ্ট নয় ও আইন কোষ প্রভৃতি। নানা ভাষার অজস্র কবিতা তিনি অনুবাদ করেছেন বাংলায়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

আজ বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট টাইম ০৬:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তচিন্তার লেখক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের এই দিনে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল।

১৯২৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভাগীয় নেতা ছিলেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে জহিরউদ্দিন বিশ্বাস রাজশাহীতে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে ১৯৪৯ সালে বিএ সম্মান ও ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে ১৯৫৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে বিএ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে ইতিহাসের রিডার (১৯৬২-৬৪) ও আইন বিভাগের ডিন (১৯৬১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। পরে সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল (১৯৬৯) ও হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের (১৯৭২) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেরও (১৯৭২) সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

তিনি লেখক, বিশ্লেষক, কবি হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। রবীন্দ্রগবেষণায় তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ’। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে_ যথাশব্দ, বাংলাদেশের তারিখ, কোরান সূত্র, বচন ও প্রবচন, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক, কোরান শরীফের সরল বঙ্গানুবাদ, মিত্রাক্ষর অভিধান, নির্বাচন হতে হবে তবে নির্বাচন যথেষ্ট নয় ও আইন কোষ প্রভৃতি। নানা ভাষার অজস্র কবিতা তিনি অনুবাদ করেছেন বাংলায়।