ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

কম টাকায় সোনার বার কিনে দেওয়া কথা বলে প্রতারণা

মাসুদ হাসান রিদম :  শুল্ক বিভাগের জব্দ করা সোনা কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ  লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।  এই চক্রটি নিজেদের শুল্ক বিভাগের সহকারি কমিশনার পরিচয়ও দিত তারা। পাঁচ বছর আগে একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণাই ছিল তাদের মূল কাজ।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময়ে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের  বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ জান্নাত আরা।
এমন অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি  বুধবার রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের নবাবি ভোজের সামনে থেকে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুল্ক কমিশনার হিসেবে পরিচয়দানকারি খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন, তার দুই ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার এবং  সাইফুল ইসলাম।  এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১৮ টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেইলি রোড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা শুল্ক বিভাগের  জব্দকরা সোনার বার কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।  ওমর মবিন মোবাইলে পাওয়া  মৃনাল নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানাযায়, তাকে নিলামে মাল কিনে দেবে বলে গত ৬ জানুয়ারি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আসামি ওমর মবিনের মোবাইলের হোয়াট অ্যাপের মেসেজে ৪০ কোটি টাকার চেকের কপি ও অসংখ্য ফাঁকা চেকের কপি পাওয়া যায়।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কখনও নিজেদের শুল্ক বিভাগের কমিশনার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভিকটিম সিআইডির সাথে যোগাযোগ করেছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন পাঁচ থেকে সাত বছর আগে একজন সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হন। এই চক্রটি রাজধানীর বড় বড় হোটেলে খাবার খেতে যেতেন যাতে তার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে বুঝতে পারে এরা বড় মাপের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান,   রুহুল আমিন এবং উপপরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

কম টাকায় সোনার বার কিনে দেওয়া কথা বলে প্রতারণা

আপডেট টাইম ১১:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৯
মাসুদ হাসান রিদম :  শুল্ক বিভাগের জব্দ করা সোনা কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ  লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।  এই চক্রটি নিজেদের শুল্ক বিভাগের সহকারি কমিশনার পরিচয়ও দিত তারা। পাঁচ বছর আগে একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণাই ছিল তাদের মূল কাজ।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময়ে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের  বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ জান্নাত আরা।
এমন অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি  বুধবার রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের নবাবি ভোজের সামনে থেকে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুল্ক কমিশনার হিসেবে পরিচয়দানকারি খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন, তার দুই ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার এবং  সাইফুল ইসলাম।  এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১৮ টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেইলি রোড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা শুল্ক বিভাগের  জব্দকরা সোনার বার কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।  ওমর মবিন মোবাইলে পাওয়া  মৃনাল নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানাযায়, তাকে নিলামে মাল কিনে দেবে বলে গত ৬ জানুয়ারি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আসামি ওমর মবিনের মোবাইলের হোয়াট অ্যাপের মেসেজে ৪০ কোটি টাকার চেকের কপি ও অসংখ্য ফাঁকা চেকের কপি পাওয়া যায়।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কখনও নিজেদের শুল্ক বিভাগের কমিশনার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভিকটিম সিআইডির সাথে যোগাযোগ করেছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন পাঁচ থেকে সাত বছর আগে একজন সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হন। এই চক্রটি রাজধানীর বড় বড় হোটেলে খাবার খেতে যেতেন যাতে তার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে বুঝতে পারে এরা বড় মাপের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান,   রুহুল আমিন এবং উপপরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত।