লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মিরাশি ইউনিয়নের বড়আব্দা গ্রামে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীক ছুরিকাঘাত করেছে বাবুল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীকে রক্ষা করতে এসে ওই বখাটের হামলায় আরও দুই নারী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত ৯ টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়া আহত ওই প্রবাসীর স্ত্রীর বড় বোন অনুফা আক্তার (৩৫) ও ভাইয়ের স্ত্রী জনি আক্তার (২০)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায় উপজেলার বড়আব্দা গ্রামের প্রবাসী আজাদ মিয়ার স্ত্রী (২৭) তার দুই সন্তান নিয়ে মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। এতে প্রতিবেশী যুবক বাবুল মিয়ার সুযোগ পেলেই তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
শনিবার (১০-ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী বড়আব্দা বাজারে বাবুলের দোকানে গেলে তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বাবুল মিয়া ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তার দোকানে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় চিৎকারে তার বড় বোন অনুফা আক্তার ও তার ভাইয়ের স্ত্রী জনি আক্তার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে বাবুল। আহত অবস্থায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন অপর একটি সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় প্রবাসী আজাদ মিয়ার ছেলে রাহিম বাবুলের মুদির দোকানে বিস্কুটের জন্য যায়।
এ সময় তাকে আটকে রেখে সময়ক্ষেপণ করে বাবুল ওই সময়ে রাহিম বাড়ি ফিরতে দেরি হলে তার খোঁজে বাবুলের দোকানে যান আজাদের স্ত্রী। সেখানে বাবুল তাকে একা পেয়ে কু-প্রস্তাব দেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে দস্তাদস্তি হয়। একপর্যায়ে বাবুল দোকানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, বিষয়টি আমার অবগত নয় ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।