ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি এলাকায় মায়ের বাড়ী গিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি এলাকায় কাপড় পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মাইসা নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে মোসাঃ মাইসা (২০) নামের এক বিবাহিত মেয়ে তার বাবার বাড়ীতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে বলে জানা যায়। মেয়ের মা কহিনুর জলকুড়ি কড়ইতলা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। নিহত মাইসা মৃত মোঃ বাবু ও প্রবাসী কহিনুর আক্তার বেবীর মেয়ে। মেয়ের স্বামী নাম মোঃ সাগর মিয়া (২৭) মোঃ খবির উদ্দিনের ছেলে।
পরিবারের সদ্যরা জানায়, মেয়েটি বিবাহিত দুই বছরে তার মায়ের বাড়ী তেমন বেড়াতে আসতো না। তবে ঐ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাড়ী এসে তার কাপড়ে পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেক সময় অতিক্রম করলে ঘরের লোকজন জানলা দিয়ে দেখতে পায় সে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছে। এরপর তারা আত্নীয়স্বজন সংঙ্গে সংঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্দার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলের বাবা মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সাগর ও মাইসার। এরপর সুখে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো। মেয়ার মা বিদেশ থেকে এসে মেয়ে তার স্বামীর থেকে আলাদা করার চাপ দেয়। ঘটনার দিন মাইসা প্রথমে তার নানীর বাসায় যায় এবং পরে জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় মা কহিনূরের বাসায় গিয়ে নাকি আত্ম হত্যা করে। মেয়ের মারা যাওয়ার খবর তারা আমাদেরকে দেয় পরের দিন দুপুরে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মমার্হত হয়ে যাই। এবং আমার পরিবার ও ছেলে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এখন এই ঘটনা নিয়ে মেয়ের মা আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হয়রানী করছে। আমরা পুলিশের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এদিকে নিহত মাইসরা খালা ইতি জানায়, ঘটনার দিন রার সাড়ে ৮ টার দিকে আমার বোনের জালকুড়ি এলাকার বাসায় আসে এবং কিছুক্ষন পর কাপড় পাল্টানোর কথা বলে রুমে ঢোকে। অনেকক্ষন ঞয়ে গেলেও সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় জানালা দিয়ে দেখা যায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তবে তারা স্বামীর নির্যাতনের কারনে মেয়ে বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এস আই) হুমায়ুন—৩ জানান, আত্মহত্যার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেলে আমরা বুঝতে পারব এই আত্নহত্যার কারন জানা যাবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি এলাকায় মায়ের বাড়ী গিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা

আপডেট টাইম ০৫:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি এলাকায় কাপড় পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মাইসা নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে মোসাঃ মাইসা (২০) নামের এক বিবাহিত মেয়ে তার বাবার বাড়ীতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে বলে জানা যায়। মেয়ের মা কহিনুর জলকুড়ি কড়ইতলা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। নিহত মাইসা মৃত মোঃ বাবু ও প্রবাসী কহিনুর আক্তার বেবীর মেয়ে। মেয়ের স্বামী নাম মোঃ সাগর মিয়া (২৭) মোঃ খবির উদ্দিনের ছেলে।
পরিবারের সদ্যরা জানায়, মেয়েটি বিবাহিত দুই বছরে তার মায়ের বাড়ী তেমন বেড়াতে আসতো না। তবে ঐ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাড়ী এসে তার কাপড়ে পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেক সময় অতিক্রম করলে ঘরের লোকজন জানলা দিয়ে দেখতে পায় সে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছে। এরপর তারা আত্নীয়স্বজন সংঙ্গে সংঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্দার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলের বাবা মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সাগর ও মাইসার। এরপর সুখে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো। মেয়ার মা বিদেশ থেকে এসে মেয়ে তার স্বামীর থেকে আলাদা করার চাপ দেয়। ঘটনার দিন মাইসা প্রথমে তার নানীর বাসায় যায় এবং পরে জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় মা কহিনূরের বাসায় গিয়ে নাকি আত্ম হত্যা করে। মেয়ের মারা যাওয়ার খবর তারা আমাদেরকে দেয় পরের দিন দুপুরে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মমার্হত হয়ে যাই। এবং আমার পরিবার ও ছেলে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এখন এই ঘটনা নিয়ে মেয়ের মা আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হয়রানী করছে। আমরা পুলিশের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এদিকে নিহত মাইসরা খালা ইতি জানায়, ঘটনার দিন রার সাড়ে ৮ টার দিকে আমার বোনের জালকুড়ি এলাকার বাসায় আসে এবং কিছুক্ষন পর কাপড় পাল্টানোর কথা বলে রুমে ঢোকে। অনেকক্ষন ঞয়ে গেলেও সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় জানালা দিয়ে দেখা যায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তবে তারা স্বামীর নির্যাতনের কারনে মেয়ে বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এস আই) হুমায়ুন—৩ জানান, আত্মহত্যার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেলে আমরা বুঝতে পারব এই আত্নহত্যার কারন জানা যাবে।