ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত –রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। হবিগঞ্জে এসএসসিতে ফেল করায় ৩ জনের বিষপান কিশোরী নিহত বিসিক কলাবাগানে ভেকুর আঘাতে তিতাস গ্যাসের সংযোগ পাইপ ফেটে আগুনে ৯ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায় চট্টগ্রামে ন্যাশনাল ব্যাংকের মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

হবিগঞ্জে ১ কোটি ২৭ লাখ কেজি চা উৎপাদন

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুরে ভ্যালিতে ২০২৩ সালে চায়ের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ৪১ শতাংশ উৎপাদন বেড়ে চায়ের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ কেজি। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবং রোগবালাই কম থাকায় ভ্যালির ১৭টি চা বাগানে গেল বছর এমন উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু চায়ের মূল্য কমে যাওয়ায় ভ্যালির অনেক বাগান লোকসানে পড়েছে চা বাগান ও ভ্যালি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনসহ নানা কারণে ভ্যালির ১৭ চা বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ৯৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩১ কেজি চা। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই কম থাকা এবং বাগান কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপের কারণে ২০২৩ সালে চায়ের মওসুমে ভ্যালিতে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৯১

হাজার ৭৯৪ কেজি যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৮ লাখ কেজি বা ৪১.৯২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন বেড়েছে ডানকান ব্রাদার্সের চান্দপুর চা বাগানে। এ বাগানে উৎপাদন ২০২২ সালের তুলনায় ১শ’ শতাংশ বেড়েছে। লস্করপুর চা বাগানে ৬৭ শতাংশ এবং রেমা চা বাগানে ৫০ শতাংশ চা বেশি উৎপাদন হয়েছে। সবগুলো বাগানে উৎপাদন বাড়লেও ২০২৩ সালে ভ্যালির একমাত্র নোয়াপাড়া চা বাগানে ৩ শতাংশ চা কম উৎপাদন হয়েছে। একই ভাবে ২০২১ সালে ভ্যালিতে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ২ লাখ কেজি বিগত কয়েক বছর ধরেই ভ্যালিতে চায়ের উৎপাদন কোনো বছর কম এবং কোন বছর বাড়ছিল। তবে ২০১৯ সালেও ভ্যালিতে চায়ের উৎপাদন প্রথমবার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ২২ লাখ কেজি। ২০২২ সালে ভ্যালিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২১৪ সেন্টিমিটার হলে ২০২৩ সালে ভ্যালিতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ২০৮ সেন্টিমিটার।

কিন্তু চা উৎপাদনে অনূকুল আবহাওয়া ও তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় ছিল। ফলে উৎপাদন বেড়েছে আনুপাতিক হারে। দেশে চায়ের আনুপাতিক উৎপাদন বাড়লেও বাড়েনি চায়ের মূল্য। গত এক দশক ধরেই চায়ের নিলামে গড় প্রতি কেজি ২শ’ টাকার কাছাকাছি উঠানামা করছে। এতে ভ্যালির কোন কোন চা বাগান লোকসান দিচ্ছে। বিশেষ করে দেউন্দি টি কোম্পানির ৪টি বাগান গত তিন বছর ধরেই লোকসান দিয়ে এখন বাগান চালাতে পারছেনা। শ্রমিকদের এরিয়া ও বেতনা ভাতা বকেয়া পড়ছে। ভ্যালির সভাপতি এনটিসি’র মালিকানাধীন চণ্ডিছড়া চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খান জানান, আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আনুপাতিক এবং সকলের সমন্বিত চেষ্টার কারণে ভ্যালিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে চায়ের মূল্য এখন অনেক কম তাই চা শিল্প ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু।

হবিগঞ্জে ১ কোটি ২৭ লাখ কেজি চা উৎপাদন

আপডেট টাইম ০৫:৪৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুরে ভ্যালিতে ২০২৩ সালে চায়ের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ৪১ শতাংশ উৎপাদন বেড়ে চায়ের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ কেজি। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবং রোগবালাই কম থাকায় ভ্যালির ১৭টি চা বাগানে গেল বছর এমন উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু চায়ের মূল্য কমে যাওয়ায় ভ্যালির অনেক বাগান লোকসানে পড়েছে চা বাগান ও ভ্যালি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনসহ নানা কারণে ভ্যালির ১৭ চা বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ৯৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩১ কেজি চা। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই কম থাকা এবং বাগান কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপের কারণে ২০২৩ সালে চায়ের মওসুমে ভ্যালিতে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৯১

হাজার ৭৯৪ কেজি যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৮ লাখ কেজি বা ৪১.৯২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন বেড়েছে ডানকান ব্রাদার্সের চান্দপুর চা বাগানে। এ বাগানে উৎপাদন ২০২২ সালের তুলনায় ১শ’ শতাংশ বেড়েছে। লস্করপুর চা বাগানে ৬৭ শতাংশ এবং রেমা চা বাগানে ৫০ শতাংশ চা বেশি উৎপাদন হয়েছে। সবগুলো বাগানে উৎপাদন বাড়লেও ২০২৩ সালে ভ্যালির একমাত্র নোয়াপাড়া চা বাগানে ৩ শতাংশ চা কম উৎপাদন হয়েছে। একই ভাবে ২০২১ সালে ভ্যালিতে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ২ লাখ কেজি বিগত কয়েক বছর ধরেই ভ্যালিতে চায়ের উৎপাদন কোনো বছর কম এবং কোন বছর বাড়ছিল। তবে ২০১৯ সালেও ভ্যালিতে চায়ের উৎপাদন প্রথমবার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ২২ লাখ কেজি। ২০২২ সালে ভ্যালিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২১৪ সেন্টিমিটার হলে ২০২৩ সালে ভ্যালিতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ২০৮ সেন্টিমিটার।

কিন্তু চা উৎপাদনে অনূকুল আবহাওয়া ও তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় ছিল। ফলে উৎপাদন বেড়েছে আনুপাতিক হারে। দেশে চায়ের আনুপাতিক উৎপাদন বাড়লেও বাড়েনি চায়ের মূল্য। গত এক দশক ধরেই চায়ের নিলামে গড় প্রতি কেজি ২শ’ টাকার কাছাকাছি উঠানামা করছে। এতে ভ্যালির কোন কোন চা বাগান লোকসান দিচ্ছে। বিশেষ করে দেউন্দি টি কোম্পানির ৪টি বাগান গত তিন বছর ধরেই লোকসান দিয়ে এখন বাগান চালাতে পারছেনা। শ্রমিকদের এরিয়া ও বেতনা ভাতা বকেয়া পড়ছে। ভ্যালির সভাপতি এনটিসি’র মালিকানাধীন চণ্ডিছড়া চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খান জানান, আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আনুপাতিক এবং সকলের সমন্বিত চেষ্টার কারণে ভ্যালিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে চায়ের মূল্য এখন অনেক কম তাই চা শিল্প ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে।