( বরিশাল) প্রতিনিধি।
বাকেরগঞ্জের নিয়ামতিতে একটি সেতু ভেঙ্গে ১৭ বছর ধরে খালের পানিতে পরে থাকায় দূর্ভোগে স্হানীয় তিন গ্রামের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের কুমার বাড়ির খালের সেতুটি ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে সেতুটি খালের পানিতে পরে থাকায় জনসাধারণের চলাচলে চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তুু কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণের পদক্ষেপে একেবারে উদাসীন।
বাকেরগঞ্জ – বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে সংযোগ স্হাপন কারী এই সেতুটি না থাকায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা, রামনগর, পোড়াচিনা গ্রামে কোন যানবাহন যেতে পারছে না। ফলে এই এলাকাগুলির মানুষের জরুরি প্রয়োজনে রোগী স্থানান্তর সহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের মালামাল বহনে চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
অপরদিকে এই ভাঙ্গা সেতু ব্যবহার করে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র – ছাত্রীরা চলাচল করছে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে এলজিইডি এই সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তুু নির্মাণের সাত বছরের মাথায়ই ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে।
বর্তমানে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ বয়স্ক নাড়ী পুরুষ অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছে। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।
উপজেলা এলজিইডি প্রোকৌশলী আবুল খায়ের মিয়ার কাছে ভাঙ্গা সেতুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেতু ভেঙ্গে খালের পানিতে তা আমার জানা ছিলনা। পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মোঃ জাহিদিল ইসলাম
( বরিশাল ) প্রতিনিধি