মোঃ হাছান আলী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে, চায়ের দোকান কিংবা বিভিন্ন আড্ডাখানায় শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীতা বাছাই নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অঙ্গণে মাঠ কাঁপানো ছাত্র নেতা খাজে আহমেদ মজুমদার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে একজন যোগ্য দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলার সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর একাধিক নাম শোনা গেলেও খাজে আহমেদ মজুমদারের নামই আলোচনায় শীর্ষে আছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীতার ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তারুণ্যের গণজোয়ার ও তাঁর বিশাল কর্মীবাহিনী বলে দিচ্ছে জনপ্রিয়তায় খাজে আহমেদ মজুমদার প্রার্থী হলে বিজয় নিশ্চিত।
স্থানীয় বিজ্ঞ জনেরা মনে করছেন, খাজে আহমেদ মজুমদার একজন উদীয়মান সাহসী, ত্যাগী, সৎ, নিষ্ঠাবান ও কারা নির্যাতিত ছাত্র নেতা। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন উপজেলা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবেন। এছাড়াও দলীয় কাজের সবকিছু মূল্যায়ণ করে আওয়ামীলীগ অবশ্যই তাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসীর দোয়া থাকলে বিজয় সুনিশ্চিত মনে করে তারা। জনসাধারণের দোয়া ও ভালবাসায় নির্বাচিত হলে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল সম্প্রদায়ের পাশে থেকে কাজ করতে পারবে বলে বিশ্বাস তাদের।
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী সংক্রান্ত বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আবু সুফিয়ান (শাহীন) ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করে বলেন, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি উদীয়মান ছাত্র নেতা হিসেবে খাজে আহমেদ মজুমদার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। তবে, আলোচনা ছাড়া দলীয় সিদ্ধান্তে কে বা কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা এখন সঠিক বলা যাবেনা। এটা ঠিক যে, যাতে সকল সম্প্রদায়ের ভারসাম্যতা বজায় থাকে বা প্রতিনিধিত্বের অংশীদার হতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দল প্রার্থী বাছাই করে উপজেলা কমিটি শুধুমাত্র জেলা কমিটিতে সুপারিশ করবে। তারপর জেলা কমিটি আলোচনা করে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবে মন্তব্য করেন তিনি।