বরিশাল প্রতিনিধিঃ
জাটকা ধরার আট মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ লা নভেম্বর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩০ শে জুন২০২৪ ইং পর্যন্ত।
এর আগে ২২ দিনের জন্য মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে জাটকা ইলিশ ধরার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার । এ সময় ( ১০ ইঞ্চির) কম আকারের ইলিশ ধরা সম্পুর্ন নিষেধ।
এই নিষিদ্ধ সময় জাটকা ইলিশ ধরা, ক্রয়- বিক্রয়,বাজারজাত করন, ও পরিবহন সম্পুর্ন নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞা সফল করার লক্ষ্যে বরিশালের বিভিন্ন হাট – বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও জেলে পল্লী গুলোতে সচেতনতা মুলক প্রচার – প্রচারনা চালায় মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন মাধ্যম। তারপরও অবাধে চলছে জাটকা ইলিশ ধরা ও বিক্রয়। ফলে ইলিশের ভরা মৌসুমে ইলিশ সংকটের আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত দুই আড়াই মাসে জেলায়, প্রায় ২০ টন জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। এবং ১২ লাখ টন নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়,জনবল স্বল্পতার কারনে সব নদ- নদীতে অভিযান সম্ভব হচ্ছে না।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরি চালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, জাটকা ইলিশ রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে অভিযান চলছে। এবং ১১ জানুয়ারি থেকে জোরেশোরে সম্মিলিত ভাবে অভিযান চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকায় প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে তালতলী থেকে জাটকা এনে বিক্রি করেন এক বিক্রেতা। যাহাতে এক কেজি জাটকায় প্রায় ১০ টি মাছ পাওয়া যায়।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গার বাজার, যেমন নতুন বাজার, কাশিপুর বাজার, বটতলা বাজার, পোর্ট রোডর মত বাজারে প্রকাশ্য চলে জাটকা বিক্রি।
বরিশালের মেহেন্দগঞ্জ ও হিজলার মেঘনা নদী জাটকা আহরণের প্রধান কেন্দ্র স্হল। এখান কার স্হানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রভাবশালীরা মাছঘাট গুলোর মালিক। তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন শতশত জেলে মেঘনা বিভিন্ন পয়েন্টে জাটকা ইলিশ ধরে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির হিজলা উপজেলার সভাপতি জাকির হোসেন বলেন,৷ প্রতিদিন শত শত জেলে মেঘনায় জাল ফেলে মাছ আহরণ করে।
মেঘনা তীরের ধুলাখোলা ইউনিয়নের জাতীয় মৎস্য জীবী সমিতির সভাপতি মনির মাতুব্বর বলেন, জাটকা ইলিশ ধরার কারনে কয়েক বছর ধরে ভরা মৌসুমে মেঘনায় ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না।