মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি:
উপজেলার কলসকাঠির ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার দুর্নীতির সত্যতার প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
জানা যায় ঐ মাদ্রাসার সভাপতি নাসির উদ্দীন সালমান, অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ ও প্রভাষক মোস্তাকুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, ভুয়া ম্যানেজিং কমিটি গঠনের দূর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন স্হানীয় ওয়াহেদ খান নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ( ভারপ্রাপ্ত ) প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম ১৬/১/২০২৪ ইং মঙ্গলবার দিনভর ঐ মাদ্রাসায় তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমান পায়। তদন্ত কালীন সময় অভিযুক্ত সভাপতি নাসির উদ্দীন সালমান অনুপস্থিত ছিলেন। এবং অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান দেখাতে পারে নি।
তদন্ত চলাকালীন স্হানীয় বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীরা অভিযুক্তদের সীমাহীন দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বর্ণনা তদন্ত কমিটির কাছে তুলে ধরেন।
তদন্ত কমিটি সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমান পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জানা যায়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর প্রেক্ষিতে সভাপতি, অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত প্রভাষক মিলে অন্য কোন সদস্য কে না জানিয়ে গোপনে ২ জন সদস্যের একটি ভুয়া কমিটি গঠন করে। এবং নিজেদের চাহিদা মত ভোটার বানাতে ভোটার তালিকায় ৯ ম শ্রেনীর ছাত্র ইসরাইল (রোল নং – ২৯) পিতাঃ ইকবাল হোসেন ( মৃত) কে অভিভাবক সদস্য ও একই শ্রেনীর ছাত্র রেজাউল মুন্সি রোল – ৪১ যে বর্তমানে ঐ মাদ্রাসার ছাত্র না তার পিতা আবুল মুন্সি কে অভিভাবক সদস্য বানায়।
তাছাড়াও বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দীন সালমানের নামে বিভিন্ন লোককে চাকুরী দেওয়ার কথা বলেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও সীমাহীন অভিযোগ করেছে স্হানীয়রা।
বর্তমান সভাপতি নাছির উদ্দিন সালমান এলাকায় দুর্ণীতিবাজ নামে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন লোককে চাকুরি দেয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মাদরাসার সভাপতি, অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের দুর্ণীতির অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।।