ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

আনোয়ারার ১৩ জেলে ট্রলারসহ ৭ দিন ধরে নিখোঁজ বঙ্গোপসাগরে

মো.ফখর উদ্দিন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লাসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। জানা যায়, মাছ ধরতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে ‘এফবি মা জননী’ নামের এই ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ হয়। এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ফিশিং ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ মাঝিমাল্লারা হল, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মো. মোরশেদ, মো. রাশেদ, মো. ছালাম, জালাল উদ্দিন, আলী হোসেন, মো. মান্নান, ট্রলারের মাঝি সরেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়াসহ ট্রলারের ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি রাতে রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা সাঙ্গু নদী থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে এই ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের গভীর অংশে মাছ ধরতে যায়। ট্রলারটি রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক মুন্না ও বটতলী ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের যৌথ মালিকানাধীন বলে জানায়।

ট্রলারের মালিক ওবাইদুল হক মুন্না জানান, গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। দুই দিন পর ট্রলারের মাঝি কালু মিয়া মুঠোফোনে জানায়, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে তারা বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে সাগরে ভাসছে। এরপর আমরা তাদের উদ্ধারে অন্য একটি ট্রলার পাঠালেও মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে নৌ বাহিনীকে অবহিত করেছি।

এদিকে নিখোঁজ জেলে মোরশেদের খোঁজে তার বাবা মফিজুর রহমান বিকল্প ট্রলার নিয়ে সাগরে গেলেও এখনো ফেরেনি এবং নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজও মেলেনি বলে জানায় মোরশেদের মা ফেরদৌস বেগম।

গহিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টা আমি শুনছি তবে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। আমি কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনকে অবহিত করেছি। আমরা নির্বাচনি দায়িত্বে ছিলাম। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদেরকে কেউ জানায়নি৷ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

আনোয়ারার ১৩ জেলে ট্রলারসহ ৭ দিন ধরে নিখোঁজ বঙ্গোপসাগরে

আপডেট টাইম ০৫:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

মো.ফখর উদ্দিন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লাসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। জানা যায়, মাছ ধরতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে ‘এফবি মা জননী’ নামের এই ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ হয়। এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ফিশিং ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ মাঝিমাল্লারা হল, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মো. মোরশেদ, মো. রাশেদ, মো. ছালাম, জালাল উদ্দিন, আলী হোসেন, মো. মান্নান, ট্রলারের মাঝি সরেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়াসহ ট্রলারের ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি রাতে রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা সাঙ্গু নদী থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে এই ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের গভীর অংশে মাছ ধরতে যায়। ট্রলারটি রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক মুন্না ও বটতলী ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের যৌথ মালিকানাধীন বলে জানায়।

ট্রলারের মালিক ওবাইদুল হক মুন্না জানান, গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। দুই দিন পর ট্রলারের মাঝি কালু মিয়া মুঠোফোনে জানায়, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে তারা বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে সাগরে ভাসছে। এরপর আমরা তাদের উদ্ধারে অন্য একটি ট্রলার পাঠালেও মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে নৌ বাহিনীকে অবহিত করেছি।

এদিকে নিখোঁজ জেলে মোরশেদের খোঁজে তার বাবা মফিজুর রহমান বিকল্প ট্রলার নিয়ে সাগরে গেলেও এখনো ফেরেনি এবং নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজও মেলেনি বলে জানায় মোরশেদের মা ফেরদৌস বেগম।

গহিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টা আমি শুনছি তবে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। আমি কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনকে অবহিত করেছি। আমরা নির্বাচনি দায়িত্বে ছিলাম। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদেরকে কেউ জানায়নি৷ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷