মো.ফখর উদ্দিন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লাসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। জানা যায়, মাছ ধরতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে ‘এফবি মা জননী’ নামের এই ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ হয়। এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ফিশিং ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ মাঝিমাল্লারা হল, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মো. মোরশেদ, মো. রাশেদ, মো. ছালাম, জালাল উদ্দিন, আলী হোসেন, মো. মান্নান, ট্রলারের মাঝি সরেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়াসহ ট্রলারের ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি রাতে রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা সাঙ্গু নদী থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে এই ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের গভীর অংশে মাছ ধরতে যায়। ট্রলারটি রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক মুন্না ও বটতলী ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের যৌথ মালিকানাধীন বলে জানায়।
ট্রলারের মালিক ওবাইদুল হক মুন্না জানান, গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা থেকে ১৩ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। দুই দিন পর ট্রলারের মাঝি কালু মিয়া মুঠোফোনে জানায়, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে তারা বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে সাগরে ভাসছে। এরপর আমরা তাদের উদ্ধারে অন্য একটি ট্রলার পাঠালেও মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে নৌ বাহিনীকে অবহিত করেছি।
এদিকে নিখোঁজ জেলে মোরশেদের খোঁজে তার বাবা মফিজুর রহমান বিকল্প ট্রলার নিয়ে সাগরে গেলেও এখনো ফেরেনি এবং নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজও মেলেনি বলে জানায় মোরশেদের মা ফেরদৌস বেগম।
গহিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টা আমি শুনছি তবে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। আমি কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনকে অবহিত করেছি। আমরা নির্বাচনি দায়িত্বে ছিলাম। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদেরকে কেউ জানায়নি৷ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷