নাঈম হাসান:
শীত আসলেই মানুষের জিবনে এক অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করে।কৃষকের ঘরের মাচায় উঠে নতুন ধান।বিভিন্ন রকমের কৃষি ফসল।এসময় কৃষকের মুখে হাসি থাকে। বাড়ি বাড়ি থাকে পিঠার আমেজ।গৃহীনিরা বিভিন্ন রকমের পিঠা বানাতে ব্যাস্ত হয়ে যায়। জামাইকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো সহ,বিভিন্ন মেহমান আমন্রনের ধুম পড়ে যায় এসময়ে। শীত যেমন মানুষের আনন্দ বয়ে আনে, পাশাপাশি সাধারন গরীব মানুষের জিবনে নেমে আসে,কষ্ট,গরীব মানুষের জিবনে নেমে আসে চরম ভোগান্তি।শীত যেনো তাদের জিবনে এক অভিশাপ।তাদের নেই পরিধান করার মতো ভালো পোশাক।নেই শীতবস্র,অনেকের ঘরে লেপ তোশক,বা ভালো কাথা ক্রয় করার সামর্থও থাকেনা।খুব কষ্টে কোনরকমে দিনরাত পাড় করে তারা।অতিরিক্ত শীত সহ্য করতে না পেড়ে অনেক বৃদ্ধ মানুষ মারাও যাচ্ছে।সরেজমিনে ফুটপাতে ও রেললাইনের আশেপাশে গিয়ে দেখা গেছে তারা চট ও পাটের বস্তাও গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকে।কাপতে কাপতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে।
একদিকে গরীব অসহায় মানুষ শীতের সাথে বাচা মরার লড়াই করতে থাকে,অন্যদিকে এক প্রকার অমানুষ দালাল সিন্ডিকেট এই শীতকে পূজি করে, শীতের পোশাকের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুন করে দেয়,বেশি লাভের আশায়।এই অতিরিক্ত দাম থাকার কারনে সাধারন অসহায় গরীব মানুষদের পক্ষে শীতবস্র কেনার আওতার বাহিরে চলে যায়।এতে বিপাকে পড়েছে,সাধারন গরীব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে,রাকীব নামের এক ক্রেতার কাছ থেকে জানতে পারলাম।বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে ৫০০ টাকার মধ্যে ক্রয় করবে।এসে দেখে দোকানিরা ৯৫০ টাকা একদাম চাচ্ছে।অথচ এই পোশাকের মুল্য শীত কম থাকা অবস্থায় ৩৫০- ৪০০ টাকা ছিলো।তখন কিনে না নিয়ে এখন বিপদে পড়েছে।পাশাপাশি লেপ, তোশক,কম্বল এর দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন এরো বেশি।এগুলা যেনো দেখার কেও নেই।সাধারন জনগন তারা এই শীতবস্র এর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ শিরোনাম ::
শীতের তিব্রতা বাড়ার সাথে সাথে, সুযোগ নিচ্ছেন শীতবস্র ব্যাবসায়ীরা।সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারন অসহায় মানুষ
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ১০:১৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
- ৫৬০ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ